আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
6 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আমি কোন এক কাজে ব্যাস্ত আছি। তখন আমার সামনে আমার রুমমেট শব্দ করে কুরআন তেলওয়াত করছে। এখন আমি কি করবো? ঐ মুহুর্তে মনোযোগ দিয়ে শোনাও সম্ভব না। তাকে কি তিলওয়াত বন্ধ করতে বা মনে মনে পড়তে বলবো?  বন্ধ করতে বললে কেন বলছি সেটা তাকে বোঝাবো কিভাবে?


জসিউসজিস্কযুইস্মযুয়াওঅঅকনিয়াওইওনিযওকিয৭ওক

1 Answer

0 votes
ago by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

“ আর যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখন তোমরা চুপ থাকো ও মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করো যেন তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও।” (সূরা আ’রাফ: ২০৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن أبي سعيدٍ قالَ اعتَكفَ رسولُ اللَّهِ صلَّى اللَّهُ عليْهِ وسلَّمَ في المسجدِ فسمِعَهم يجْهَرونَ بالقراءةِ فَكشفَ السِّترَ وقالَ ألا إنَّ كلَّكم مُناجٍ ربَّهُ فلا يؤذِيَنَّ بعضُكم بعضًا ولا يرفعْ بعضُكم على بعضٍ في القراءةِ أو قالَ في الصَّلاةِ.

আবু সাঈদ খুদরী রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে (মসজিদে নববী) ইতিকাফ করছিলেন। এমন সময় তিনি শুনতে পেলেন, লোকেরা উঁচু স্বরে কুরআন তিলাওয়াত করছে। তখন তিনি পর্দার কাপড় সরিয়ে তাদের লক্ষ্য করে বললেন, “মনে রাখবে, তোমাদের সবাই তার পালনকর্তার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় নিমগ্ন রয়েছ। অতএব তোমাদের একজন অপরজনকে কষ্ট দিবে না এবং তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে (অথবা তিনি বলেছেন: সালাতের ক্ষেত্রে) একজন অপরজনের উপর আওয়াজ উঁচু করবে না।”
[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৩৩২; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস: ১১৬৫; মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১১৮৯৬; মুস্তাদরাকে হাকেম ১/৩১০]

শরহুল মুনতাহা কিতাবে বলা হয়েছে:

لا يجوز رفع الصوت بالقرآن في الأسواق مع اشتغال أهلها بتجارتهم وعدم استماعهم له، لما فيه من الامتهان (شرح المنتهى)

“বাজারের মধ্যে মানুষ যখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকে এবং কুরআনে মনোযোগ সহকারে শুনতে পারে না তখন সেখানে উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয নেই। কেননা এতে কুরআনের প্রতি অবমানা হয়।”

ইমাম বাইহাকী এই মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন:

فصل في رفع الصوت بالقرآن إذا لم يتأذ به أصحابه، أو كان وحده، أو كانوا يستمعون له
البيهقي في الشعب)

“অনুচ্ছেদ: যখন সঙ্গী-সাথীদেরকে কষ্ট না দেওয়া হবে অথবা যখন একাকী থাকবে এবং অন্যান্য লোকজন মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করবে তখন কুরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে আওয়াজ উঁচু করা।” (বাইহাকী, শুআবুল ঈমান)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এক্ষেত্রে যদি আপনার কষ্ট না হয়,সেক্ষেত্রে তিলাওয়াত বন্ধ করতে বা মনে মনে পড়তে বলার প্রয়োজনীয়তা নেই।

আপনি যতটা সম্ভব চুপ থাকবেন,এবং কানে যতটুকু তিলাওয়াতের আওয়াজ আসে,তাহা শুনবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...