আসসালামু আলাইকুম,
আমার স্বামী আমাকে গতপর্শু দিন একটা খাবারের প্লেটের ছবি দেয়, আমি তাতে লাভ রিয়েক্ট দেই, পরে সে ম্যাসেজে আমাকে ভাল ভাবেই জিজ্ঞেস করে যে জান এই লাল লাভ টা কিভাবে দেয় আমি তাকে উত্তর দেই এরপর সে আমাকে কড়া ভাবে এটা বলে যে "আমি যেন সামনে থেকে আমাকে,
হোক বা অন্য কাউকে হোক লাভ লিখতে না দেখি খবরদার,
তো তার এই কথা তে আমার একটু খারাপ লাগে যে সে এমনি তেই বলতে পারতো আগেও কয়েকবার দিয়েছি এই রি এক্ট তখন বলতে পারতো বা সাথে খবরদার কথা টা বলায় বেশি খারাপ লাগে তো আমি আবার সেটা তাকে জানিয়ে দেই যে খবরদার কথা টা দেয়া খুব জরুরী ছিলো কিনা,
পরে ফোনে কথা বলার সময় আমার খারাপ লাগা থেকে জিজ্ঞেস করি যে বিয়ের সময় সে আমাকে লাভ শেপ বক্স কেন দিয়েছিলো, সে বলে নিজের পছন্দে না বন্ধুর পছন্দে নেওয়া হয়েছিলো, আমার প্রশ্ন করা থেকে তার খারাপ লাগে সে ভাবে যে আমি তার চেয়ে ১ বছরের বড় তাই বড়ত্ব জাহির করতেছি এসব বলে৷ বেশ কয়েক বার আফসোস করে যে ছোট মেয়ে আর নিজের চেয়ে কম শিক্ষত মেয়ে বিয়ে না করে ভুল করেছে।
প্রায় সময় ই ঝামেলা হলে এরকম আফসোস করে ফেলে।
আর আমার তখন খুব খারাপ লাগে৷ পরে আমি বার বার আফসোস করা দেখে বলেছি যে আপনি আমাকে বাদ দেন ছোট মেয়ে দেখে বিয়ে করে নেন।
তখন উনি কিছু না বলাতে আমি কান্না করেছি যে আপনি তো বলতে পারতেন যে তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।
তখন উনি আমার কান্নাকে পাত্তা না দিয়ে এটা বলেন যে তুমি ই তো আমি নিষেধ করার সাথে সাথে বলতে পারতে আমি আর করবো না। আমার মনের মধ্যে এটা ছিলো যে করবোনা আর কিন্তু ওভাবে বলাতে খারাপ লাগায় কিছু কথা বলে ফেলেছি।কিন্তু ওনার ধারণা আমি বড়ত্ব দেখানোর জন্য এমন করি।
আমি তখন ক্ষমা চাই, আর বলি যে এরপর থেকে আপনার কথায় খারাপ লাগলে না বলার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ ।
পরের দিন সে আমার সাথে ভালভাবে কথা বলে না, অনেকক্ষণ ধরে হ্যালো হ্যালো করেও শুধু হুম হুম ছাড়া কিছু বলে না আর আমি কিছু বললে তার উত্তর দেয় শুধু।
আর আজ সকালে আমি ফোন দিয়ে যা যা জিজ্ঞেস করেছি সেগুলা শুধু উত্তর দেয় আর কিছু বলে না, পরে কিছু কথা বলে যে আমি বড়ত্ব দেখিয়ে সেদিন ঐসব বলেছি, আর বলে যে আমাকে অন্য মেয়ে খুঁজে নেওয়ার কথা বলছো তুমি অন্য ছেলে খুঁজে নাও বা খোঁজ কথাটা এই টাইপ ছিলো।
আর বলে তোমার বোনদে সাথে বসো বসে বলো যে আমাদের এই ঝামেলা চলতেছে, আমি বলছি যে আমি তো আপনার সাথে থাকতেই চাচ্ছি আপনি ই তো আফসোস করতেছেন সমস্যা তো আপনার হচ্ছে আমার ঠ্যাকা পড়ে নাই বসার।
পরে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকি, তিনি হিফজ বিভাগের শিক্ষক আজ যখন কথা হচ্ছিলো ওনার ঘুমের সময় ছিলো আমি ও অনেক ক্ষণ চুপ করে থাকি কিছু বললে শুধু হুম হুম করে আর ঠিক করার চেষ্টা করলেও ভুল ধরতে থাকে এভাবে কথা বলেছি ওভাবে বলেছি।
তো প্রায় ১ ঘন্টা মত চুপ থাকার পর যখন হ্যালো বলি যে কিহইছে এরকম করে আছেন কেন তখন তুই তুই শুরু করেন বলেন তুই ইতো এরকম করতেছিস, তুই আর ফোন করবি না তোর ফোনের আমার দরকার নাই, আমি জিজ্ঞেস করছি যে আপনি কি নিয়্যাত করে এই কথা বলতেছেন তিনি কোন উত্তর দেন না, আমি বেশ কয়েক বার জিজ্ঞেস করেছি তিনি উত্তর দেন না।তিনি বেশ কয়েক বার আমাকে আর ফোন না দেওয়ার কথা বলেন, আমি বলছি ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলেন রাগ হয়ে কিছু বলিয়েন না, তো সে বলছে ঠাণ্ডা মাথায় ই বলছি, তোর তো আমার ভাত খাওয়ার ইচ্ছা নাই, তোর তো অন্য স্বামীর ভাত খাওয়ার ইচ্ছা সে জন্য তুই আমার ঘুমের সময় নষ্ট করলি।
কিছু কথা একটু আগে পিছে হতে পারে কিন্তু এইগুলা বলেছেন।
আমি বলছি আপনি তো আমি সকালে খাইছি কিনা সে কথাও জিজ্ঞেস করেন নাই, এই এক ঘন্ট কি আপনার কথা বলা নিষেধ ছিলো, আপনি তো এটা বলে ফোন রেখে দিতে পারতেন যে আমি ঘুমাবো।আপনি যেগুলো বলতেছেন এগুলা গুনাহ হচ্ছে, এগুলো নিকৃষ্ট কথা,
১. তো সে যে আমাকে বললো যে তুমি অন্য ছেলে খুঁজে নাও বা খোঁজ এর দ্বারা কি তালাক পতিত হবে?
সে প্রায় প্রায় ই ঝামেলা হলে এধরনের কথা বলে থাকে আর প্রচণ্ড আফসোস করে আমাকে বিয়ে করে ভুল করছে এসব টাইপ কথা বলে।
২. সে যে বললো ফোন রাখ তোর ফোনের আমার আর দরকার নাই এর দ্বারা কি তালাক পতিত হবে?
৩. আমার জন্য কোন নাসিহাহ থাকলে দিন যাথে নিজেকে শুধরাতে পারি।