আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
মুহতারাম,
১। কোন ওয়াক্তের আজানের আগে সে ওয়াক্তের সুন্নাত পড়ার হুকুম কী?( যেমন - ফজর বা জোহরের সুন্নাত আজানের আগে পড়া)

২। একটি প্রশ্নের উত্তরে ( https://ifatwa.info/108260/ )নামাজে খানযাব শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে আউযুবিল্লাহ পড়ে  থুথু ফেলা সম্পর্কে আপনারা বলেছেন- মনে মনে আউযুবিল্লাহ পড়তে এবং থুথু ফেলার মতো শুধু মাথা  ইশারা করতে।
    প্রশ্ন হলো- মনে মনে আউযুবিল্লাহ পড়া মানে কি নামাজের সিররি কেরাতের মতো আওয়াজ না করে জিহ্বা দিয়ে পড়া, নাকি  জিহ্বা না নাড়িয়ে অন্তর দিয়ে কেবল স্মরণ করা?
এমনি ভাবে থুথু ফেলার ক্ষেত্রেও কি জিহ্বা দিয়ে হবে,  নাকি জিহ্বা ব্যবহার না করে?

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  

(০১)
নামাজের ওয়াক্তের শুরু আর শেষ বুঝাতে হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمٍ، وَهُوَ ابْنُ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَمَّنِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ عِنْدَ الْبَيْتِ مَرَّتَيْنِ فَصَلَّى الظُّهْرَ فِي الأُولَى مِنْهُمَا حِينَ كَانَ الْفَىْءُ مِثْلَ الشِّرَاكِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ كُلُّ شَيْءٍ مِثْلَ ظِلِّهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ وَجَبَتِ الشَّمْسُ وَأَفْطَرَ الصَّائِمُ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ حِينَ بَرَقَ الْفَجْرُ وَحَرُمَ الطَّعَامُ عَلَى الصَّائِمِ . وَصَلَّى الْمَرَّةَ الثَّانِيَةَ الظُّهْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ لِوَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَيْهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ لِوَقْتِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ الآخِرَةَ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ صَلَّى الصُّبْحَ حِينَ أَسْفَرَتِ الأَرْضُ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ جِبْرِيلُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ هَذَا وَقْتُ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِكَ . وَالْوَقْتُ فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ " .

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জিবরীল (আঃ) কা'বা শরীফের চত্বরে দু'বার আমার নামাযে ইমামতি করেছেন। তিনি প্রথমবার যুহরের নামায আদায় করালেন যখন প্রতিটি জিনিসের ছায়া জুতার ফিতার মত ছিল। অতঃপর তিনি আসরের নামায আদায় করালেন যখন কোন বস্তুর ছায়া তার সমান ছিল। অতঃপর মাগরিবের নামায আদায় করালেন যখন সূর্য ডুবে গেল এবং যে সময়ে রোযাদার ইফতার করে। অতঃপর ইশার নামায আদায় করালেন যখন লাল বর্ণ অদৃশ্য হয়ে গেল। অতঃপর ফযরের নামায আদায় করালেন যখন ভোর বিদ্যুতের মত আলোকিত হল এবং যে সময় রোযাদারের উপর পানাহার হারাম হয়। তিনি (জিবরীল) দ্বিতীয় এবং পূর্ববর্তী দিন ঠিক যে সময় আসরের নামায আদায় করেছিলেন। অতঃপর আসরের নামায আদায় করালেন যখন কোন বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হল। অতঃপর মাগরিবের নামায আদায় করালেন পূর্বের দিনের সময়ে। অতঃপর ‘ইশার নামায আদায় করালেন যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ চলে গেল এবং ফযরের নামায আদায় করালেন যখন যমিন আলোকিত হয়ে গেল। অতঃপর জিবরীল (আঃ) আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, হে মুহাম্মাদ! এটাই হল আপনার পূর্ববর্তী নবীদের (নামাযের) ওয়াক্ত। নামাযের ওয়াক্ত এই দুই সীমার মাঝখানে। 
(হুকুমঃ হাসান সহীহ।)
 (তিরমিজি ১৪৯ মিশকাত— (৫৮৩), ইরওয়া— (২৪৯), সহীহ আবু দাউদ- (৪১৬)।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 

https://www.ifatwa.info/3575 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 
আযান প্রচলনের হেকমত বা রহস্য হিসেবে চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "বর্ণিত রয়েছে,
شُرِعَ الأَْذَانُ لِلإِْعْلاَمِ بِدُخُول وَقْتِ الصَّلاَةِ، وَإِعْلاَءِ اسْمِ اللَّهِ بِالتَّكْبِيرِ، وَإِظْهَارِ شَرْعِهِ وَرِفْعَةِ رَسُولِهِ، وَنِدَاءِ النَّاسِ إِلَى الْفَلاَحِ وَالنَّجَاحِ
তরজমাঃ-নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ হয়েছে, একথা বোঝানোর জন্য আযানের প্রচলন শুরু হয়।শুধু তাই নয় বরং তাকবীরের মাধ্যমে আল্লাহর নামকে উচু করার স্বার্থে।এবং আল্লাহ তা'আলার বিধি-বিধানকে প্রকাশ করতে ও তার রাসূল সাঃ এর মর্যদাকে বৃদ্ধি করতে সর্বোপরি লোকদিগকে কল্যাণ ও কামিয়াবির দিকে ডাকতে আযানের প্রচলন শুরু হয়।(২/৩৫৯)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা যায় যে,আযান হচ্ছে নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশের ঘোষক।কিন্তু যেহেতু আযানের পরপরই নামায শুরু করাটা সুবিধাজনক। তাই ওয়াক্ত প্রবেশের সাথে সাথেই আযান না দিয়ে বরং হাদীসে বর্ণিত মুস্তাহাব ওয়াক্তের কিছু পূর্বে আযান দেয়া হয়ে থাকে।সুতরাং প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলে আযান হোক বা নাই হোক,শোনা যাক বা নাই যাক।নামায পড়ে নিলে নামায অাদায় হয়ে যাবে।তবে প্রত্যেক নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্তেই নামায পড়া উত্তম।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3575

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
ওয়াক্ত আসলেই সুন্নাত পড়া যাবে।
আযান হোক বা না হোক,তাতে কোনো সমস্যা নেই।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ওয়াক্ত আসলে সেক্ষেত্রে আজানের আগে সে ওয়াক্তের সুন্নাত পড়া যাবে।

(০২)
আউযুবিল্লাহ বলার সময় জিহবা দিয়ে উচ্চারণ না করে অন্তরে স্মরণ করা ও থুথু ফেলার ক্ষেত্রে জিহ্বার ব্যবহার না করা, আওয়াজ না করার পরামর্শ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...