আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। এক লোক আছে ভয়ানক অহংকারী, ইগো প্রচুর, অন্যকে কষ্ট দিয়ে কথা বলে, নিজের কাজের প্রভাব অন্যের উপর কীভাবে পড়ছে তা নিয়ে কোন খেয়াল নাই। সে ইচ্ছা করে এমন করে কিনা জানি না, সম্ভবত তার ঐ সেন্সটা নাই যে তার কাজে অন্যজন কষ্ট পাচ্ছে। ঐ লোক আবার খুব ধার্মিক, অনেক কিছু মানে, মোটামুটি সৎ, কর্মঠ কিন্তু তার আবার এই সততা আর কর্মদক্ষতার অনেক  অহংকারও। তো তার কথায় ও কাজে কষ্ট পেয়ে একজন মানুষ প্রচণ্ড ট্রমায় চলে গেছেন যে কোন নামাজকালাম, কুরআন, কোন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গিয়েও ঐ ট্রমা থেকে বের হতে পারছেন না। বহুদিন ধরে ট্রমায় ভুগতে ভুগতে অসুস্থ হয়ে গেছেন। ওদিকে যিনি এই ট্রমা দিয়েছেন তার কোন অপরাধবোধ নেই, বরং গাড়িবাড়ি, টাকাপয়সা, পরিবার নিয়ে সুখে আছেন। অপর ব্যক্তি যিনি অসুস্থ তিনি প্রায়ই ঐ অহংকারী, টক্সিক ব্যক্তিকে বদদোয়া করেন। এমন কথাও বলেন যে আমাকে এত কষ্ট দিয়ে ও এত সুখে আছে, ওর সুখের উপর আমি বদনজর দিয়ে দিলাম। এই বদনজর দেওয়ার কারণে কি তিনি গুনাহগার হবেন? আর এই বদনজরের প্রভাব কি ঐ অপরাধী ব্যক্তির উপর পড়বে?

1 Answer

0 votes
ago by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ -
আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা শূরা-৪০)
ﻭَﻟَﻤَﻦ ﺻَﺒَﺮَ ﻭَﻏَﻔَﺮَ ﺇِﻥَّ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﻤِﻦْ ﻋَﺰْﻡِ ﺍﻟْﺄُﻣُﻮﺭِ
অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।(সূরা শূরা-৪৩)

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ
ﻭﻗﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻳَﺎ ﻋُﻘﺒَﺔَ ﺑﻦَ ﻋَﺎﻣِﺮ : ﺻِﻞْ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚَ ، ﻭَﺃَﻋْﻂِ ﻣَﻦْ ﺣَﺮَﻣَﻚَ ، ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻤَّﻦ ﻇَﻠَﻤَﻚَ
হে উকবা তুমি সম্পর্ক স্থাপন কর তার সাথে যে তোমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে,এবং দান কর তাকে  যে তোমাকে বঞ্চিত করেছে,এবং মাফ করে দাও তাকে যে তোমার উপর যুলুম করেছে। (মসনদে আহমদ-৪/১৫৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ জুলুম নির্যাতন করলে তার জুলুমের প্রতিবাদ বা প্রতিশোধ ততটুকুই জায়েয যতটুকু সে করেছে। জুলুমকারী নারী হোক বা পুরুষ হোক। তবে সাধারণত ক্ষমা করে দেয়াই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত। কেউ একজন বলল যে, আমি তার উপর বদনজর দিলাম, এদ্বারা তার উপর বদ নজর আপতিত হওয়া নিশ্চিত নয়। সুতরাং তার উপর বদ নজর ও বদ দু'আর পরিবর্তে তার হেদায়তের জন্য দু'আ করাই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...