আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
edited by
১।আগের ১নং প্রশ্নের উবার চালাতে গেলে বা গাড়ি  বাড়ায় চালাতে গেলে চেষ্টা সর্বোচ্চ থাকবে জামাতে নামাজ পড়ার। মুল জামাত শেষ হয়ে গেলে পরে কোনো মুসল্লী পাইলে জামাত পরতে চেষ্টা করব। কোনো কারনে এক দুই ওয়াক্ত জামাত মিছ হয়ে গেলে কি নাজায়েজ হবে?

২।মুসলিম দেশগুলোতে  গেলাম সেখানে  কোনো কাজে ব্যাস্ত হয়ে যাওয়ার কারনে এক দুই ওয়াক্ত জামাত মিছ হয়ে গেলে। তবে কাউকে নিয়ে চেষ্টা করবো জামাত করার জন্য। এমতাবস্থায় জাওয়া জায়েজ হবে কি?
৩।দেশে যে কোনো হালাল কাজ করলেতো এক দুই ওয়াক্ত   জামাত মিছ হতে পারে কি করে সংসার চালাবো কাজ না করলে?

৪।আগের ৩নং প্রশ্নে ভালো করে  বিস্তারিত করত পারিনি। নবী রাসুল আঃ গন উনারা মাসুম আর সব মানুষ তো আর মাসুম না যে কোনো সময় গোনাহ জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেহেতু বিদেশে গেলে যেহেতু বউ সাথে থাকে না যিনা হস্তমৈথুন করার সম্ভাবনা বা আসংখা থাকে। দেশে থাকলেও নফছের তাড়নায় পরকিয়া করে। আমার করার ইচ্ছা নাই এখন আমি বিদেশে যেতে পারবো কি?

৫।আল্লাহ পাক এর কাছে কোনো প্রিয় কাজ আছে নাকি যে কেনো হালাল কাজ করা আল্লাহ পাক এর কাছে প্রিয়?


৬।ভবিষ্যতে একটা কথা বলার বা কাজ বা মনের বিশ্বাস  করার নিয়ত করি জায়েজ নাকি নাজায়েজ সে কথা বা কাজ মনের বিশ্বাস  করার আগে যদি আলেম ওলামাদের কাছ থেকে জেনে নেই তাহলে হবে নাকি এখনই জানা জরুরি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) উবার চালাতে গেলে বা গাড়ি বাড়ায় চালাতে গেলে যদি জামাতে নামাজ পড়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। এমতাবস্থায় কোনো কারনে এক দুই ওয়াক্ত জামাত মিছ হয়ে গেলে , তখন নাজায়েজ হবে না।

(২) মুসলিম দেশগুলোতে যাওয়ার পর সেখানে  কোনো কাজে ব্যাস্ত হয়ে যাওয়ার কারনে এক দুই ওয়াক্ত জামাত মিছ হয়ে গেলে। এমতাবস্থায় সেখানে যাওয়া নাজায়েয হবে না।

(৩) দেশে যে কোনো হালাল কাজ করলে এক দুই ওয়াক্ত জামাত মিছ হতে পারে, এমতাবস্থায়ও কোনো সমস্যা হবে না।

(৪) নিজে গোনাহ থেকে বেছে থাকার সর্বোচ্চ ইচ্ছা থাকলে তখন কোনো সমস্যা হবে না।


(৫)আল্লাহ পাক এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ হল, উনার ইবাদত করা।অবাধ্যতায় জড়িয়ে গেলে সাথে সাথেই তাওবাহ করে নেয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...