১।নেক আমল করি বা গোনাহ করি অথবা জায়েজ বা নাজায়েজ করি তওবা করি বা না করি মন খালি মন্দিরে বা অমুসলিমদের উপশানালে চলে যায় যতক্ষণ সজাগ থাকি বেশির ভাগ সময়। আবার মনের মধ্যে মাঝে মাঝে কল্পনা আসে মন্দিরে সিজদা দিতেছি নাউজুবিল্লাহ। নামাজে বেশি আসে সে সিজদার কল্পনা এ কারনে কি ইমানে সমস্যা হবে কি
২।খালি মনে আসে যে তুই চিরস্থায়ী জাহান্নাম যদি যাস ঐখানে আল্লাহ পাক কে গালি দিবি নাউজুবিল্লাহ আমি মনে মনে আসা করি আল্লাহ পাক দয়াবান আমাকে জান্নাত দিবেন। আর জানি যে মরার পর আর ইচ্ছাশক্তি আর থাকেনা। এসব কারনে ইমানে সমস্যা হবে কি?
৩।মনে আসে আল্লাহ পাক তোকে রিকশা ওয়ালা,মেথর বা মানুষ ছোটো করে দেখে এইসব কাজ দিবে মনে মনে রাগ উঠতে চায়, মনে মনে গালি দিতে চায় নাউজুবিল্লাহ কিন্তু আমি চাই না যে আল্লাহ পাক এর সাথে রাগ করতে গালি দিতে আমি চাই ধৈর্য ধরতে এখন আমার ইমানে সমস্যা হবে কি?
৪।আমার এক মেয়ে তিনমাস বয়সে মারা যায় আরেকটা আছে এখন ২০ মাস বয়স খালি মনে আসে যে সেও মারা যাবে সে মারা গেলে ইসলাম ত্যাগ করতে হবে, আল্লাহ পাক এর সাথে রাগ করতে হবে, গালি দিতে হবে নাউজুবিল্লাহ। কিন্তু আমি চাই ধৈর্য ধরতে এখন আমার ইমানে সমস্যা হবে কি?
৫।আমার ইচ্ছে যে আমার মেয়ে বড় হলে একজন আলেমের সাথে বিয়ে দেওয়া। কিন্তু মনে আসে দিনদার রিকশা ওয়ালা মেথর বা মানুষ ছোটো করে দেখে এইসব কাজ করে তাদের কাছে দিবি।এরপর মনে আসে ইসলাম ত্যাগ করতে হবে, আল্লাহ পাক এর সাথে রাগ করতে হবে, গালি দিতে হবে নাউজুবিল্লাহ। কিন্তু আমি চাই ধৈর্য ধরতে এখন আমার ইমানে সমস্যা হবে কি?
৬।ইসলাম ছাড়া অন্যন্য ধর্মের সকল কিছু কে মনে মনে একা একা বা মুসলমানদের সামনে যে কোনো গালি দিলে, যেকোনো অপমান সুচক বাক্য ব্যাবহার করলে, যেকোনো উপায়ে ঘৃণা করলে ইমানে সমস্যা হবে না কারও কাছে মাফ চাইতে হবে না এ আকিদা সঠিক কিনা?
৭।সয়তান যখন কুমন্ত্রণা বা ওসওয়াসা দেয় তখন আমি মনে মনে বা উচ্চারণ করে বলি চুপ থাক বে। আবার মনে মনে মন্দিরের কথা চলে আসছিলো আমি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বলি মনে আসার কারনে হুম আর মন্দির কে পায়ের দিকে থাক। উপরের প্রশ্নের মত বা সয়তান কে পায়ের দিকে থাক এভাবে ঘৃণা করা যাবে কি না?
৭।একবার মসজিদের কথা মনে এসে পায়ের দিকে চলে যায় আমি মনে মনে মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বলি মসজিদ উপরে থাকবে মন্দির কে উদ্দেশ্য করে বলি এটা পায়ের দিকে থাক, এবেডা পায়ের দিকে থাক, এই,,, পায়ের দিকে থাক আমার ইমানে সমস্যা হবে কি
বিঃদ্রঃ উপেরর প্রশ্নের গুলো কি ওসওয়াসার। আমি জানি আপনারা ওসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেননা। খালি আমাকে বলতেন উপরের প্রশ্নের ভিতরে ইমান চলে যাবে কি না। আর ওসওয়াসা রোগের লক্ষন গুলো কি আল্লাহ পাক, রাসুলুল্লাহ সাঃ ইসলাম সম্পর্কে বাজে চিন্তা, কথা আসে। শিরকি কুফরি নিয়ে অন্যন্য ধর্মের চিন্তা কথা আসে, নাপাকি ওযু নিয়ে সন্দেহ মনে আসতেই থাকে।এটা কি ওসওয়াসা বললে পাত্তা না দিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা করতাম?