আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
edited by

১।নেক আমল করি বা গোনাহ করি অথবা জায়েজ বা নাজায়েজ করি তওবা করি বা না করি মন খালি মন্দিরে বা অমুসলিমদের উপশানালে চলে যায় যতক্ষণ সজাগ থাকি বেশির ভাগ সময়। আবার মনের মধ্যে মাঝে মাঝে কল্পনা আসে মন্দিরে সিজদা দিতেছি নাউজুবিল্লাহ। নামাজে বেশি আসে সে সিজদার কল্পনা এ কারনে কি ইমানে সমস্যা হবে কি


২।খালি মনে আসে যে তুই চিরস্থায়ী জাহান্নাম যদি যাস ঐখানে আল্লাহ পাক কে গালি দিবি নাউজুবিল্লাহ আমি মনে মনে আসা করি আল্লাহ পাক দয়াবান আমাকে জান্নাত দিবেন। আর জানি যে মরার পর আর ইচ্ছাশক্তি আর থাকেনা। এসব কারনে ইমানে সমস্যা হবে কি?



৩।মনে আসে আল্লাহ পাক তোকে রিকশা ওয়ালা,মেথর বা মানুষ ছোটো করে দেখে এইসব কাজ দিবে মনে মনে রাগ উঠতে চায়, মনে মনে গালি দিতে চায় নাউজুবিল্লাহ কিন্তু আমি চাই না যে আল্লাহ পাক এর সাথে রাগ করতে গালি দিতে আমি চাই ধৈর্য ধরতে এখন আমার ইমানে সমস্যা হবে কি?



৪।আমার এক মেয়ে তিনমাস বয়সে মারা যায় আরেকটা আছে এখন ২০ মাস বয়স খালি মনে আসে যে সেও মারা যাবে সে মারা গেলে ইসলাম ত্যাগ করতে হবে, আল্লাহ পাক এর সাথে রাগ করতে হবে, গালি দিতে হবে নাউজুবিল্লাহ। কিন্তু আমি চাই ধৈর্য ধরতে এখন আমার ইমানে সমস্যা হবে কি?


৫।আমার ইচ্ছে যে আমার মেয়ে বড় হলে একজন আলেমের সাথে বিয়ে দেওয়া। কিন্তু মনে আসে দিনদার রিকশা ওয়ালা মেথর বা মানুষ ছোটো করে দেখে এইসব কাজ করে তাদের কাছে দিবি।এরপর মনে আসে  ইসলাম ত্যাগ করতে হবে, আল্লাহ পাক এর সাথে রাগ করতে হবে, গালি দিতে হবে নাউজুবিল্লাহ। কিন্তু আমি চাই ধৈর্য ধরতে এখন আমার ইমানে সমস্যা হবে কি?


৬।ইসলাম ছাড়া অন্যন্য ধর্মের সকল কিছু কে মনে মনে একা একা বা মুসলমানদের সামনে  যে কোনো  গালি দিলে, যেকোনো অপমান সুচক বাক্য ব্যাবহার করলে, যেকোনো উপায়ে ঘৃণা করলে ইমানে সমস্যা হবে না কারও কাছে মাফ চাইতে হবে না এ আকিদা সঠিক কিনা? 

 

৭।সয়তান যখন কুমন্ত্রণা বা ওসওয়াসা দেয় তখন আমি মনে মনে বা উচ্চারণ করে বলি চুপ থাক বে। আবার মনে মনে মন্দিরের কথা চলে আসছিলো আমি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে  বলি মনে আসার কারনে  হুম আর মন্দির কে  পায়ের দিকে থাক। উপরের প্রশ্নের মত বা সয়তান কে পায়ের দিকে থাক এভাবে ঘৃণা করা যাবে কি না? 

 

৭।একবার মসজিদের কথা মনে এসে পায়ের দিকে চলে যায় আমি মনে মনে  মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে বলি মসজিদ উপরে থাকবে  মন্দির কে উদ্দেশ্য করে বলি এটা পায়ের দিকে থাক, এবেডা পায়ের দিকে থাক, এই,,, পায়ের দিকে থাক আমার ইমানে সমস্যা হবে কি 

বিঃদ্রঃ উপেরর প্রশ্নের গুলো কি ওসওয়াসার।  আমি জানি আপনারা ওসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেননা। খালি আমাকে বলতেন উপরের প্রশ্নের ভিতরে ইমান চলে যাবে কি না। আর ওসওয়াসা রোগের লক্ষন গুলো কি আল্লাহ পাক, রাসুলুল্লাহ সাঃ  ইসলাম সম্পর্কে বাজে চিন্তা, কথা আসে। শিরকি কুফরি নিয়ে অন্যন্য ধর্মের  চিন্তা কথা আসে, নাপাকি ওযু নিয়ে সন্দেহ  মনে  আসতেই থাকে।এটা কি ওসওয়াসা  বললে পাত্তা না দিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা করতাম?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...