আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in সালাত(Prayer) by (11 points)

গতকাল্কে করসিলাম প্রশ্ন কিন্ত ওয়াস ওয়াসার জবাব দিলো কেনো বুজলাম না আমি তো ওয়াস ওয়াসার প্রশ্ন করিনাই তাও এখন প্রশ্নে কোন ওয়াস ওয়াসার কথা ছিলো কিনা তা তো আর বুজিনা উস্তাদ এখন যদি উত্তর দেন ভালো হবে পড়ে প্রশ্ন আর কথা গুলা পড়ে। 

১#হুজুর অযুর করার সময় আমি মনে মনে বিসমিল্লাহ বলে তার পরে এইভাবে বিসমিল্লাহ মনে মনে পড়ার কারনে অযু তো হবে? 

২#আমি মাঝে মধ্যে অযু যেইখানে ৩বার করে হাত মুখ মাসাহ করা লাগে আমি অইখানে হাত বা মুখ বা পা ২ বার করে করি এতে কি অযু হবে আমার অযু তে কোন সমস্যা তো হবে না ? 

৩#আর মাঝে মধ্যে অযুর মাঝখানে আমি ধরেন হাত ধোয়ার পরে মুখ ধুইলাম এর পরে মনে হতে থাকে আমি মুখ দুইলাম কি না বা মাঝে মধ্যে মাথা মাসাহ করার কথা অযু শেষ এ মনে পরলে বা সন্দেহ হলে যে মাথা মাসাহ করলাম কিনাহ আমি তখন মাথা মাসেহ করে নি এতে কি আমার অযু ভেঙে যায় নাকি অযু হবে ? এই প্রশ্নটা জানিনা ঠিক ভাবে বললাম নাকি বুজাইয়া যদি বুজতে না পারেন উস্তাদ বলবেন কমেন্ট এ বলার চেষ্টা করবো আরো কিছুটা ভালো ভাবে ভেবে

৪#গতকালকে জুমার নামায এর শেষ রাকাত পেয়েছি মানে আমি যেই মসজিদ নামায পড়ি জুমার ওই মসজিদে আজকে কিছুটা আগে শুরু হয়েছে আর আমার ও দেরি হয়েছে তো আমি যেয়ে দেখি নামায এর রুকু শেষ হচ্চে এর পরে আমি জায়নামাজ নিচে বিচাইয়া আমি দাড়াইয়া আছি বুজার জন্য যে কত রাকাত চলতাসে তো যখন দেখলাম ২য় রাকাত চলতাছে তখনি নামায এ দারাইয়া বইসা পড়ি এর পরে সবার সালাম ফিরানোর পরে দাঁড়িয়ে আমি ২ রাকাত নামায পড়ে সালাম ফিরায় এখন আমার কি এমতাবস্থায় জুম্মা নামাজ হয়েছে উস্তাদ ?

৫#হুজুর মনে মনে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে বলতে যদি মুখ দিয়ে বা লেখে কোন মিথ্যা কথা বলে এতে তো তার শুধু গুনাহ হবে ইমানে কোন সমস্যা হবে না তাই তওবা করলেই হবে আল্লাহর কাছে ? 

৬##গেছে বা গেছো এই জাতীয় শব্দ কি তালা''' এর কিনায়া বাক্য বা কিনায়া তালা'''' এর অন্তর্ভুক্ত এই বাক্য গুলার দ্বারা তো কোন তালা''' জনিত সমস্যা হওয়ার সম্বাবনা নেই বা এইগুলা বলায় তো কোন সমস্যা হবে এমন সম্বাভনা নেই তো ? প্লিস জবাব টা দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আপনার অযু হবে।

(০২)
হাত মুখ তো মাসাহ করা লাগেনা।
হাত মুখ ধৌত করা লাগে,যাতে এক চুল সমপরিমাণ স্থানও যেনো শুকনো না থাকে।

পবিত্রতা (অযু/গোসল) ব্যতীত নামাজ কবুল হবে নাঃ

 عَنْ اَبِى الْمَلِيْحِ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: لَا يَقْبَلُ اللهُ صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلَا صَدَقَةً مِنْ غُلُوْلٍ 

– অর্থঃ হযরত আবূ মালিহ তাঁর পিতা (উসামা রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করবেন না এবং অবৈধ সম্পদের সাদকাও কবুল করবেন না। (সুনানে নাসাঈ হাদীস নং-০৬)

অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।

হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি হাত,পা,মুখ ২ বার করে এমনভাবে ধৌত করেন যে, আপনার হাত,পা,মুখ এর এক চুল সমপরিমাণ স্থানও শুকনো না থাকে,সব স্থানেই পানি পৌছে যায়,সেক্ষেত্রে আপনার অযু হয়ে যাবে।

অন্যথায় অযু হবেনা।

(০৩)
এতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
অযু হয়ে যাবে।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার জুম'আর নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।

(৫.৬)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...