আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। উস্তাদ আমি দোকানে জব করি। দোকানের একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট দেখাশোনা করি। দোকানের মালিকপক্ষ প্রতিদিন ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে নাস্তা খাওয়ার অনুমতি দিযেছেন। কিন্তু নিদিষ্ট কত টাকা নিতে এমন কোন কিছু বলেন নাই। তো আমি কখনো ৫০ টাকা কখনো ৮০ টাকা নিযে নাস্তা খাই। আমি যত টাকা নাস্তা খাই তা খরচের খাতায় উল্লেখ করে।
১)এখন আমি যে টাকা নাস্তা জন্য নেই সেটা যদি নাস্তা না খেয়ে  নিজের কাছে জমায় তাতে কি গুনাহ হবে।

২) দেখা গেল আমি ৫০ টাকা নাস্তার জন্য নিয়ে ২০ টাকা খেলাম বাকিটা নিজের কাছে জমায় তাতে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (596,370 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরোএ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3747

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে যদি তিনি নির্দিষ্ট কোনো খাতে খরচ করার জন্য ঐ টাকা হাদিয়া দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে সেই খাতেই খরচ করতে হবে। ভিন্ন উৎসে খরচ করলে,তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।কেননা সে আপনাকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দিচ্ছেন না। বরং লেনদেন করার জন্য আপনাকে অনুমতি দিচ্ছেন। যাকে এবাহত বলা হয়। তবে যদি সে আপনাকে মালিক বানিয়ে দেয়,এবং বলে, তোমাকে আমি ঐ মালিক বানিয়ে দিলাম, তাহলে আপনি যে কোনো খাতে ব্যবহার করতে পারবেন। তার কাছ থেকে বিষয়টা পরিস্কার ভাবে জেনে নিবেন।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3451


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনাকে দোকানের মালিক ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দিচ্ছেনা, তাই আপনার জন্য শুধুমাত্র নাস্তা বাবৎ খরচ করাই জায়েয হবে। নাস্তা ব্যতিত অন্য খাতে খরচ করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...