ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/6571/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
পরীক্ষায় নকল করা হল ধোঁকা। সরকারী এবং সামাজিক আইন সকল দৃষ্টিতে
এটা জগন্যতম একটা অপরাধ।
ধোঁকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু-হুরায়রা
রাযি থেকে বর্ণিত,
عن
أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ
عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- যে ব্যক্তি আমরা
মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো,
সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং যে কাউকে ধোঁকা দিলো সেও আমাদের
অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১৪৬)
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে, হযরত আবু-হুরায়রা রাযি
থেকে বর্ণিত,
عن
أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোঁকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১৪৭)
যেহেতু নকল করা ধোকা আর জগন্যতম অপরাধ। এর জন্য অবশ্যই ননকলকারীকে
তাওবাহ করতে হবে। আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
https://ifatwa.info/101701/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ
ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ :
« ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ
তিনি বলেন,
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ
যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো। (সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)
মানুষ পরীক্ষায় নকল করে সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা
বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য। নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য।
অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আয়েশা রাযি
থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন,
ﻋﻦ
ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ
ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর
অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং
মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন। (সহীহ ইবনে
হিব্বান-২৭৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/539
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১-২. পরীক্ষা না দিয়ে
মার্ক নেওয়া জায়েজ হবে না। কোনো শিক্ষকের জন্যও টাকার বিনিময়ে মার্ক দেওয়া জায়েজ নয়।
দিলে বা নিলে গোনাহ হবে।