বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
পায়জামা বা প্যান্ট ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে,যাদ্বারা সতর খুলে যাওয়ার ভয় হলে, তখন সিজদাহ্ তে যাওয়ার সময় প্যান্ট /পায়জামা টেনে ধরা যাবে।মাকরুহ হবে না।
(খ)
মান্নতের আভিধানিক অর্থ – অঙ্গীকার বা প্রতিজ্ঞা করা।
আর মান্নত পরিভাষায় বলা হয় যে, কোন কাজ যা ইতিপূর্বে আবশ্যক ছিল না, ওই কাজ কে নিজের উপর ওয়াজীব করে নেওয়া।
মান্নতের ব্যপারে চারটি উসূল (মূলনিতি)
—————————————
১। মান্নত পূরণ করা ওই সময় ওয়াজীব হবে, যখন কোন ব্যক্তি কোন ব্যপারে ইবাদতে মাকসুদা এর নিয়ত করবে।
ইবাদতে মাকসুদা বলা হয় যে উপাসনা কোন মাধ্যম ছাড়াই সয়ং সম্পূর্ণ যেমনঃ নফল নামাজ, রোযা, উমরা, সদকাহ বা দান, ও জিকির ইত্যাদি।
২। মান্নত যদি ইবাদতে মাকসুদার না করা হয় তাহলে ওই মান্নত পূরণ করা আবশ্যক বা জরুরী নই।
৩। মান্নত করার সময় মান্নতকে কোন জায়গা, যুগ-কাল, এববং সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট হয় না। তথা ওইসব শব্দের মাধ্যমে মান্নতকে সম্প্রিক্ত করা অনর্থক।
৪। মান্নতের কোন কাযা-কাফফারা নেই। তবে আপনার কাজ সফল হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মান্নত পূরণ করা উচিত।
(গ)
কেউ যদি রোযার মান্নত করে, তাহলে মান্নত পুরা করা ওয়াজিব। তাছাড়া অন্যান্য ইবাদতে মাকসুদা এর কেউ যদি মান্নত করে, তাহলে সেই মান্নতকে পুরা করাও ওয়াজিব।
(ঘ)
ভুলবশত কাউকে হত্যা করলে রোযা রাখা ওয়াজিব। এবং এইটার পর্যায়ভুক্ত অন্য কাজ করলেও এই মাসালা। এমন কোনো মাস’আলা আমাদের জানা নাই।
(ঙ)
নফল রোযা অবস্থায় হায়েয বা অন্য ওযর আসলে, সেই রোযাকে কাযা করতে হবে।
(চ)
উজবেকিস্তান,কাজাকিস্তান এইসব জায়গায় শরীয়তের বিধি-নিষেধ অনেকেই জানে না। কেননা তাদের ওখানে সাম্যবাদী নাস্তিকরা আক্রমণ চালিয়ে সেখানকার সকল উলামাকে হত্যা করে ফেলে।প্রায় অনেকদিন দিন যাবৎ তাদের ওখানে প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত ও প্রকাশ্য ইসলাম পালন বন্ধ ছিলো।যার ফলে এখন তাদের ওখানে দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানাশোনা ব্যক্তির সংখ্যা অতি নগণ্য।
(ছ)
কেউ যদি বিদেশ এ ২৯/৩০ দিন রোযা রেখে এই দেশের ঈদের আগের দিন বাংলাদেশে আসে, বাংলাদেশ এ তখনো রোযা চলছে। এই ক্ষেত্রে তাকে আবার বাংলাদেশে রোযা রাখা লাগবে।কেননা হাদীসে এসেছে, তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখো এবং চাঁদ দেখে রোযা ভঙ্গ করো।
(জ)
বিস্তারিত ব্যখ্যা করে উল্লেখ করুন।
(ঝ)
লক করা পিডিএফ কে আনলক করা যাবে না।