বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অতঃপর তিনি লিখেন,
ﻭﻟﻮ ﺳﻠﻢ ﻳﻬﻮﺩﻱ ﺃﻭ ﻧﺼﺮاﻧﻲ ﺃﻭ ﻣﺠﻮﺳﻲ ﻋﻠﻰ ﻣﺴﻠﻢ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﺎﻟﺮﺩ(ﻭ) ﻟﻜﻦ (ﻻ ﻳﺰﻳﺪ ﻋﻠﻰ ﻗﻮﻟﻪ ﻭﻋﻠﻴﻚ) ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻟﺨﺎﻧﻴﺔ (ﻭﻟﻮ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻰ اﻟﺬﻣﻲ ﺗﺒﺠﻴﻼ ﻳﻜﻔﺮ) ﻷﻥ ﺗﺒﺠﻴﻞ اﻟﻜﺎﻓﺮ ﻛﻔﺮ ﻭﻟﻮ ﻗﺎﻝ ﻟﻤﺠﻮﺳﻲ ﻳﺎ ﺃﺳﺘﺎﺫ ﺗﺒﺠﻴﻼ ﻛﻔﺮ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﻓﻴﻬﺎ: ﻟﻮ ﻗﺎﻝ ﻟﺬﻣﻲ ﺃﻃﺎﻝ اﻟﻠﻪ ﺑﻘﺎءﻙ ﺇﻥ ﻧﻮﻯ ﺑﻘﻠﺒﻪ ﻟﻌﻠﻪ ﻳﺴﻠﻢ ﺃﻭ ﻳﺆﺩﻱ اﻟﺠﺰﻳﺔ ﺫﻟﻴﻼ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ -
যদি কোনো ইহুদী বা খৃষ্টান বা অগ্নিপূজক মুসলমানকে সালাম করে তাহলে তাহলে জবাব প্রদাণ করতে কোনো সমস্যা নেই।তবে জবাব প্রদাণের সময় অবশ্যই "ওয়া আলাইকা/ওয়া আলাইকুম" এর বেশী বলবে না।কিন্তু যদি কোনো মুসলমান কোনো যিম্মি অমুসলিমকে সম্মাণ প্রদর্শন করে সালাম প্রদাণ করে,তাহলে সে কুফুরী কাজ করবে।কেননা কাফিরকে সম্মাণ প্রদর্শন করা কুফুরী। ঠিকতেমনিভাবে যদি কেউ কোনো অগ্নিপূজককে সম্মাণ প্রদর্শন করে বলে, হে উস্তাদ!তাহলে সেও কুফুরী করবে।যদি কোনো মুসলিম কোনো যিম্মি/অমুসলিমকে বলে,আল্লাহ তোমার হায়াত বৃদ্ধি করুক,এবং সে মনে মনে এ ধারণা রাখে যে,হয়তো সে ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা জিযিয়া প্রদাণ করবে,তাহলে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/6520
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অমুসলিম কর্তৃক মুসলিমকে 'নমস্কার', 'আদাব' ইত্যাদির জবাবে "ওয়া আলাইকা/ওয়া আলাইকুম" বলা হবে।
কলেজের প্রিন্সিপাল,স্বাভাবিকভাবেই অমুসলিম স্টাফ ও শিক্ষার্থীরা নমস্কার-আদাব ইত্যাদি বললে, চুপ না থেকে ওয়া আলাইকুম বলা যাবে।