আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আমি পরিপূর্ণ পর্দা করি।আমি অবিবাহিত। আমি বাইরে গেলে কোনো পুরুষ চোখের সামনে পড়ে কেমন যেন লাগে। মনে হয় যেন কিছু বের হয়েছে। কিন্তু এগুলো কখনোই আমার ইচ্ছাতে হয় না,আসতাগফিরুল্লাহ। আমি কোনো পুরুষের কন্ঠ শুনতে পারি না,নিজের অজান্তে চোখ পড়ে গেলে নানা বাজে চিন্তা আসে মনে।মনে হয় আমাকে ফরজ গোসল করতে হবে।আমি হারাম কোনো কিছুই দেখিনা তারপরেও কেন  এসব চিন্তা আসে মনে। এই ভয়ে আমি কোথাও যেতে গেলেও দশবার ভাবতে হয় যদি বাসায় এসে ফরজ গোসল করা লাগে!

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

জবাব,


بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/86069/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,  নবীজী সাঃ বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা লাওহে মাহফুযে আদম সন্তানদের জন্য (নিম্নোক্ত কারণে) যিনার একটা অংশ লিখে রেখেছেন,যার শাস্তি সে অবশ্যই উপভোগ করবে।চোখের যিনা হচ্ছে বেগানা নারীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া।জবানের যিনা হচ্ছে উক্ত মহিলার সাথে কথা বলা।অন্তরের যিনা হচ্ছে মনে মনে যিনার আশা-আখাঙ্কা করা।আর লজ্জাস্থান কখনো যিনাকে বাস্তবায়িত করে আবার কখনো করে না।(সহীহ বুখারী-৫৮৮৯; সহীহ মুসলিম-২৬৫৭;মিরকাত-৮৬;)

মোল্লা আলী ক্বারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেনঃ

وفيه دلالة على أن التمني إذا استقر في الباطن، وأصر صاحبه عليه، ولم يدفعه يسمى زنا، فيكون معصية، ويترتب عليه عقوبة، ولو لم يعمل فتأمل.

এত্থেকে বুঝা গেলো যদি যিনার আশা-আখাঙ্কা মনের গভীরে স্থান করে নেয়,এবং সে নিয়মিত উক্ত চিন্তাকে মনের ভিতর লালন-পালন করে, বিসর্জন দেয়না, তাহলে এটাও যিনা বলে সাব্যস্ত হবে,এবং গুনাহ হবে। এ জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে,যদিও সে তার উক্ত চিন্তাকে বাস্তবায়িত করেনি। (মিরকাত ৮৬ হাদীসের আলোচনা দ্রষ্টব্য) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/510  

★★যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ

এক. জাগ্রত বা ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হওয়া। ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনা অনুভব না হলেও গোসল ফরজ। কেননা ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে মানুষ অনেক সময় টের পায় না। তাই কোনো ব্যক্তি ঘুম থেকে ওঠার পর যদি তার কাপড়ে নাপাকির চিহ্ন দেখে, তাহলে তার স্বপ্নদোষ বা বীর্যপাতের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক, সর্বাবস্থায় গোসল ফরজ হবে। (হেদায়া ১/৪৫, আন নুতাফ ফিল ফাতাওয়া পৃ. ২৯)

عن علي رضي الله عنه قال : كنت رجلا مذاء فقال لي رسول صلي الله عليه وسلم الله إذا رأيت المذي فاغسل ذكرك وتوضأ وضوءك للصلاة و إذا فضخت الماء فاغتسل .رواه النسائي بسند صحيح (193)

যার সারমর্ম হলো যখন পানি উত্তেজনার সাথে (টপকিয়ে) পড়বে তখন গোসল ফরজ হবে।

★★দুই. স্ত্রী সহবাস করা। সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে, চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক। (বুখারি, হা. ২৯১, মুসলিম, হা. ৩৪৩)

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে 

وفی الھندیۃ(۱۵/۱): الإیلاج فی أحد السبیلین اذا تواترت الحشفۃ یوجب الغسل علی الفاعل والمفعول بہ أنزل أولم ینزل۔

স্ত্রীর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে, চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক।

★★★তিন. নারীদের হায়েয (ঋতুস্রাব) এবং নেফাস (সন্তান প্রসবোত্তর স্রাব) বন্ধ হওয়ার পরও গোসল ফরজ। (রদ্দুল মুহতার ১/১৬৫)

 প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাহিরে বের হলেই এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোন পুরুষের উপর নজর পড়লেই গোসল ফরজ হবে না। বরং উপরে উল্লেখিত ৩টি কারণ ছাড়া গোসল ফরজ হয় না। সুতরাং স্বীয় নজর হেফাজতের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। যদি ভুলে কোন পুরুষের প্রতি নজর পড়ে যায় সাথে সাথে নজর ফিরিয়ে নিতে হবে। আপনি যদি বিবাহের উপযুক্ত বয়সে উপনিত হয়ে থাকেন তাহলে পারিবারিক ভাবে বিয়ের ফিকির করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। এই ফেতনাময় যুগে ঈমান ও আমলের হেফাজতের জন্য বিবাহে বিলম্ব করা উচিত নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...