জবাব,
بسم الله الرحمن الرحيم
https://ifatwa.info/34818/
ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে, দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান
হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের
ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক।
কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء
মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান
১৪)
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ
আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য
নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি। (বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)
ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,
فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك
সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা
কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য
জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া। (ফাতাওয়া
লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন! শিক্ষক
যদি নারী হয়, আর স্টুডেন্ট যদি প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ হয়, সেক্ষেত্রে অনুমতি নেই। প্রশ্নেল্লিখিত
ছেলেটির বয়স ১০ বছর এবং এই বয়সে অনেকে বালেগও হয়ে যায়। সুতরাং যদি সে বালেগ হয়ে যায়
তাহলে মহিলা শিক্ষিাকার নিকট না পড়ানোই শ্রেয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে নজর হেফাজত আর ফিতনার
আশংকা না থাকার শর্তে কিছু ইসলামী স্কলারগন অনুমতি দিয়েছেন।
https://ifatwa.info/108439/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের
দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান,
তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে
ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা,
ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও
বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য
প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না
করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।(সূরা নূর-৩১)
তাফসীরে জ্বালালাইনে বলা হয়, যে সমস্ত বালকরা
নাবালক,এবং স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে জ্ঞাত নয়,তাদের সামনে হাটু থেকে নাভী পর্যন্ত ব্যতীত
শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রকাশ করা নাজায়েয নয়।তবে যারা নাবালক হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রী
সহবাস বুঝে,তারা সাবালক পুরুষেরই মত।সাবালক পুরুষের সামনে যেভাবে পর্দা করতে হয়,ঠিক
তেমনি তাদের সামনেও পর্দা করতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রশ্নের বিবরন মতে ছেলেটির বয়স আনুমানিক
১২/১৩ হতে পারে। কারণ সাধারণত ৮/৯ বছরের বাচ্চারা ক্লাস-৬ এ পড়ে না। তবে বাস্তবেই সে
যদি নাবালেগ হয়ে থাকে, এমতাবস্থায় তার সামনে পর্দা করা আপনার উপর ফরজ নয়। আপনি তাকে
পড়াতে পারবেন।
তবে আপনি যদি ফিতনার আশংকা বোধ করেন, যেমন
কুদৃষ্টি ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে তার সামনেও পর্দা করবেন। তাকে পড়ানো যাবেনা। সে নাবালেগ
হওয়া সত্ত্বেও তাকে দেখতে যদি বালেগের মতো বলে মনে হয়, সেক্ষেত্রেও পর্দা করবেন। সেক্ষেত্রেও
তাকে পড়ানো যাবেনা। আর যদি সে বালেগ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তো তার সামনে পর্দা করা ফরজ,
এমতাবস্থায় তাকে পড়ানো জায়েজ হবেনা।
সুতরাং সে বালেগ হওয়ার প্রবল আশংকা থাকলে
এমতাবস্থায় ফিতনার এই যুগে, ইন্টারনেটের এই যুগে তার সামনে পর্দা করা আবশ্যক ও তাকে
না পড়ানোরই পরামর্শ থাকবে।
বিস্তারিত জানুনঃ- https://ifatwa.info/63035/
২. এবিষয়ে স্থানীয় কোন মুফতীর নিকট থেকে উত্তর জেনে নেওয়ার বিনীত অনুরোধ থাকবে।