ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
অমুসলিম দেশে বসবাসের দরুণ ঈমান আমলে বিরূপ প্রভাব পড়ে, যেজন্য ফুকাহায়ে কেরাম অমুসলিম দেশে বসবাস করতে নিষেধ করে থাকেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/3447
তবে নিজ ঈমান আমলকে মজবুত রাখার কারো দৃঢ় মনোভাব থাকলে, এবং দাওয়াত ও তাবলীগের নিয়ত অন্তরে থাকলে বা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখলে , তখন অমুসলিম দেশে বসবাস করা যাবে। তখন কোনো সমস্যা হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি জন্মগত ভাবে অমুসলিম দেশের নাগরিকদের আপনার দাদা অনেক আগে আমেরিকাতে সেটেল হয়েছিলেন পরিবার সমেত। এখন দ্বীন পালনে যদি আপনাদের কোনো অসুবিধা না হয়, তাহলে আপনারা আমেরিকাতে বসবাস করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
(২) খ্রিষ্টান মহিলা ডাক্তার দ্বারা খতনা বা সারকামসিশন হওয়ার কারণে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।
হ্যা, অবশ্যই উত্তম ছিলো, কোনো মুসলামন ডাক্তার দ্বারা খতনা করানো ।
(৪) ফাইন আর্টস চারুকলাতে যেহেতু ফটো ভাস্কর্য অঙ্কন ইত্যাদি শিখানো হয়, তাই এই শিক্ষা গ্রহণ করে ফটো ভাস্কর্য তৈরী করা জায়েয হবে না।
(৫) মিউজিক বিহীন নাশিদ শুনে রিপ্লেস করে মিউজিককে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা প্রশংসনীয় ।
(৬) Police / Army / CBP ইত্যাদিতে চাকুরী করার দ্বারা ইসলাম ও মুসলমানের উপর যদি আঘাত আসে , আর আঘাত আসাটাই স্বাভাবিক, তাই এই চাকুরীগুলো করা জায়েয হবে না। তবে ইসলাম ও মুসলমানের উপর কোনো আঘাত না আসলে, জায়েয হবে।