আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)

আসসালামু আলাইকুম 

১) আমি স্টুডেন্ট। বর্তমানে বেকার। এখন আমি ইসলামি ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলে টাকা সেখানে জমা রাখলে গুনাহ হবে? স্টুডেন্ট একাউন্ট না করে সাধারণ চলতি একাউন্ট করলে সেখানে বছরে বিভিন্ন চার্জ দিতে হবে। এতে আমার জমানো টাকা কমে যাবে। 

 

২) ওরা যে মুনাফা দিবে তা কি হারাম হবে? আর উপার্জন শুরু করলে এমন স্টুডেন্ট একাউন্ট চালানো জায়েজ হবে? 


 

৩) কোনো কাজে জড়ালে পথভ্রষ্টতার আশংকা থাকলে  এজন্য উক্ত কাজ ত্যাগ করলে তা আল্লাহর জন্য ত্যাগ বলা যাবে? 

 

আল্লাহর জন্য ত্যাগ না হলে এতে সওয়াব কেমন হবে? 


 

৪) কোনো কাজ হারাম এবং গুনাহের এ জন্য উক্ত কাজ থেকে অনেক আগে থেকেই বিরত থাকলে, তা আল্লাহর জন্য ত্যাগ বলা যাবে? 

অনেক আগে থেকে বলতে যখন জানতাম না আল্লাহর জন্য ত্যাগের পুরষ্কার সম্পর্কে। 

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(১-২)
https://ifatwa.info/9109/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
সুদ ভিত্তিক ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট সহ কোনো একাউন্ট খোলা জায়েজ নেই,যেহেতু  সেই ব্যাংক গুলোতে একাউন্ট খোলা জায়েজ নেই,তাই সেই ব্যাংক গুলোতে একাউন্ট খুলে এটিএম কার্ড ব্যবহার করাও জায়েজ নেই।      

ইসলামী ব্যাংক গুলোতে একাউন্ট খোলা, এবং মুনাফা গ্রহন বিষয়ে  উলামায়ে কেরামদের মাঝে ২ টি মত রয়েছে।

★এক পক্ষ বলেন যে ইসলামী ব্যাংক গুলো তাদের কার্যক্রম নিয়ে যেসব দাবী করে থাকেন,তা যদি সঠিক হয়,তাহলে সেখানে একাউন্ট খোলা জায়েজ আছে,এবং মুনাফা গ্রহনও জায়েজ আছে।   

★আরেক পক্ষ বলেন যে,বাংলাদেশে কোন ব্যাংকই সঠিক পদ্ধতিতে ইসলামীক রুলস মেনে ব্যাংকিং করছে না। তাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংকে টাকা না রাখা ভাল। কিন্তু প্রয়োজন হওয়ার কারণে কারেন্ট একাউন্ট খোলা জায়েজ। ডিপোজিট এ জাতীয় দীর্ঘমেয়াদী কোন একাউন্ট খোলা জায়েজ হবে না।

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যেহেতু বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক ছাড়া বাকি ব্যাংকগুলো আমভাবে সুদী কারবার করে থাকে। শরয়ী বিধানের কোন তোয়াক্কাই করে না। সেই হিসেবে ইসলামী ব্যাংকগুলো শরয়ী বিধান পালনের কিছুটা হলেও চেষ্টা করে থাকে। যদিও পূর্ণাঙ্গ শরয়ী রুলস তারাও অনুসরণ করে না বলেই আমরা জানি। কিন্তুর মন্দের ভাল অবশ্যই। তাই অন্য ব্যাংকে একাউন্ট খোলার তুলনায় ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা নিরাপদ বলেই মনে হয়। বাকি আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন।

আর যদি কারেন্ট একাউন্ট খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে বাধ্য হলে ডিপোজিট ও দীর্ঘমেয়াদী একাউন্টও জায়েজ আছে। তবে তার মুনাফাটি  সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।

فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٢:١٧٣

অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু। (সূরা বাকারা-১৭৩)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ইসলামী ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারেন,তবে কোনো মুনাফা গ্রহন করবেননা,তবে সেখানে ছেড়েও আসবেননা।

উক্ত মুনাফা উত্তোলন করে তাহা সতর্কতা মূলক মুনাফা গরিব মিসকিনদের মাঝে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।

আরো জানুনঃ 

(০৩)
এজন্য উক্ত কাজ ত্যাগ করলে তা আল্লাহর জন্য ত্যাগ বলা যাবে।

দুনিয়াবী কোনো উদ্দেশ্যে নয়,বরং দ্বীনের উপর অটল থাকা,আখেরাতে নিজেকে বাঁচানো,আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ইত্যাদি এধরণের নিয়তের উক্ত কাজ হতে বিরত হলে 
আল্লাহর জন্য ত্যাগ বলা যাবে। আর এতে ছওয়াব হবে।

(০৪)
এটিকেও আল্লাহর জন্য ত্যাগ বলা যাবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...