আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম । আমি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেতাম । ২ বছরে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা পেয়েছিলাম ( সঠিক পরিমান মনে পড়ছে না, ৮৫ ই হবে খুব সম্ভবত) । পরবর্তীতে আমি জানতে পারি যে সুদী ব্যাংক থেকে বৃত্তি নেওয়া হালাল হয়না । তাই আর নেইনি । ৮৫ হাজারের মাঝে বেশ কিছু টাকা আমি খরচ করে ফেলেছি ্বাকিটা আমার মায়ের কাছে আছে ।
আমি চাই এই ৮৫ হাজার টাকা দান করে দিতে, সওয়াবের উদ্দেশ্য ছাড়া । বাইরের কাউকে দান করা সম্ভব নয়, টাকা যেহেতু আমার কাছে নেই । আমি কি আমার পরিবারের সদস্যদের মাঝে (বাবা,মা,ভাই বোন, ভাই বোনের ছেলেমেয়ে ) সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিতে পারবো?
আর যদি এভাবে দান না করা যায় আমার এখন করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/106189/?show=106189#q106189  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশের বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের তাহকীক  মতে বাংলাদেশে কোন ব্যাংকই সঠিক পদ্ধতিতে ইসলামীক রুলস মেনে ব্যাংকিং করছে না।

তাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংকে টাকা না রাখা ভাল। কিন্তু প্রয়োজন হওয়ার কারণে কারেন্ট একাউন্ট খোলা জায়েজ। ডিপোজিট এ জাতীয় দীর্ঘমেয়াদী কোন একাউন্ট খোলা জায়েজ হবে না।

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যেহেতু বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকগুলো ছাড়া বাকি ব্যাংকগুলো আমভাবে সুদী কারবার করে থাকে। শরয়ী বিধানের কোন তোয়াক্কাই করে না। সেই হিসেবে ইসলামী ব্যাংকগুলো শরয়ী বিধান পালনের কিছুটা হলেও চেষ্টা করে থাকে। যদিও পূর্ণাঙ্গ শরয়ী রুলস তারাও অনুসরণ করে না বলেই আমরা জানি। কিন্তুর মন্দের ভাল অবশ্যই। তাই অন্য ব্যাংকে একাউন্ট খোলার তুলনায় ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা নিরাপদ বলেই মনে হয়। বাকি আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন।

আর যদি কারেন্ট একাউন্ট খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে বাধ্য হলে ডিপোজিট ও দীর্ঘমেয়াদী একাউন্টও জায়েজ আছে। তবে ডিভিডেন্টটি সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।

فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٢:١٧٣

অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু। (সূরা বাকারা-১৭৩)

বিস্তারিত জানুনঃ   https://ifatwa.info/4260/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

যেহেতু দেশের কোনো ব্যাংকই সঠিক ভাবে ইসলামী রুলস মেনে কাজ করছেনা,তাই টাকা রেখে লভ্যাংশ গ্রহন করা যাবেনা।

ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক লভ্যাংশ ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।  সুতরাং বিগত মাসে পাওয়া ফিক্সড এমাউন্টের টাকা সুদের অন্তর্ভুক্ত ধরা হবে। রুলস অনুযায়ী যাকাত গ্রহণের হকদার ব্যাক্তিদের নিকট সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া উক্ত টাকা সদকা করে দিতে হবে। তবে মাতা পিতা যদি যাকাত গ্রহণের হকদার না হয় তাহলে তাদের জন্য এজাতীয় টাকা গ্রহণ করা জায়েয হবে না। সর্বপরি উত্তম হলো যে, নিজ পরিবারে উক্ত টাকা ব্যয় না করে একান্ত অসহায় মানুষদের মাঝে তা বিতরণ করা। কারণ, ওয়াজিব সদাকা স্বীয় পিতা মাতাকে দেওয়া জায়েয নেই। আর প্রশ্নেল্লিখিত টাকা সদাকা করা আপনার উপর উপর ওয়াজিব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
বাবা মাকে না দিয়ে কি ভাই বোনদের দেওয়া জায়েজ হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...