জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْضَلُ الصَّدَقَةِ أَنْ تُشْبِعَ كَبِدًا جَائِعًا» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ক্ষুধার্ত জীবকে পেট পুরে খাওয়ানো উত্তম সদাক্বার অন্তর্ভুক্ত। (বায়হাক্বী’র শু’আবুল ঈমান)
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْضَلُ الصَّدَقَةِ أَنْ تُشْبِعَ كَبِدًا جَائِعًا» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
وعن انس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «افضل الصدقة ان تشبع كبدا جاىعا» . رواه البيهقي في شعب الايمان
(শু‘আবুল ঈমান ৩০৯৫, সিলসিলাহ্ আয্ য‘ঈফাহ্ ৭০৩৩, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৫৫৪, য‘ঈফ আল জামি‘ আস্ সগীর ১০১৫। )
عَنْ أَبيْ أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ أَفْضَلَ الصَّدَقَةِ الصَّدَقَةُ عَلَى ذِي الرَّحِمِ الْكَاشِحِ
আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় সর্বশ্রেষ্ঠ সাদকা সেই সাদকা, যা শত্রুতাপোষণকারী নিকটাত্মীয়কে করা হয়।
(আহমাদ ২৩৫৩০, হাকেম ১৪৭৫, ত্বাবারানী ৩৮২৬, বাইহাক্বী ১৩৬০৩, দারেমী ১৬৭৯)
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَىُّ الصَّدَقَةِ أَعْظَمُ أَجْرًا ؟ فَقَالَ أَمَا وَأَبِيكَ لَتُنَبَّأَنَّهُ أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيحٌ شَحِيحٌ تَخْشَى الْفَقْرَ وَتَأْمُلُ الْبَقَاءَ وَلاَ تُمْهِلْ حَتَّى إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ قُلْتَ لِفُلاَنٍ كَذَا وَلِفُلاَنٍ كَذَا وَقَدْ كَانَ لِفُلاَنٍ
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! সওয়াবের দিক থেকে কোন সদকাহ সবচেয়ে বড়? উত্তরে তিনি বললেন, তোমার সুস্থতা ও অর্থপ্রয়োজন থাকা অবস্থায় কৃত সদকাহ, যখন তুমি দারিদ্রকে ভয় কর এবং ধনী হওয়ার আশা কর। আর এ ব্যাপারে গয়ংগচ্ছ করো না। পরিশেষে তোমার প্রাণ যখন কণ্ঠাগতপ্রায় হবে, তখন বলবে, অমুকের জন্য এত, অমুকের জন্য এত (সদকাহ), অথচ তা তো (প্রকৃতপক্ষে) অমুক (ওয়ারিসের) জন্যই।
(বুখারী ১৪১৯, মুসলিম ২৪২৯-২৪৩০)
عَن سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الصَّدَقَةِ أفضل؟ قَالَ: سقِِي المَاء
সা’দ বিন উবাদাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কোন দান সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ? তিনি উত্তরে বললেন, পানি পান করানো।
(আবু দাউদ ১৬৮১, ইবনে মাজাহ ৩৬৮৪)
عَن سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أُمَّ سَعْدٍ مَاتَتْ فَأَىُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ قَالَ الْمَاءُ قَالَ فَحَفَرَ بِئْرًا وَقَالَ هَذِهِ لأُمِّ سَعْد
উক্ত সা’দ হতেই বর্ণিত, তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! উম্মে সা’দ (আমার মা) মারা গেছে। অতএব কোন্ দান সবচেয়ে উত্তম হবে? তিনি বললেন, পানি।
বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং সা’দ (রাঃ) একটি কুয়া খনন করে বললেন, এটি উম্মে সা’দের।
(আবু দাঊদ ১৬৮৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দান-খয়রাতের সর্বোত্তম ব্যবহার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে, যখন বেশি প্রয়োজন হয়, তখন এই দান-খয়রাত ব্যয় করার সওয়াব বেশি হবে, উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন আত্মীয় সাধারণ গরীবদের চেয়ে বেশি অভাবী হয়। তাদেরকে দান-খয়রাত করলে সদকার সওয়াবের সাথে রহমতের সওয়াবও পাওয়া যাবে, অথবা সাদা পোশাকের কোন ধার্মিক ব্যক্তি যদি দরিদ্র হয় বা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের কোন নেককার লোক অভাবগ্রস্ত হয়, তাহলে সওয়াব। তাকে দান-খয়রাত করা অধিকতর হবে, এবং যদি কোথাও দ্বীনের পুনরুজ্জীবনের জন্য মাদ্রাসার প্রয়োজন, বা মাদ্রাসার ছাত্ররা বেশি অভাবগ্রস্ত, সেদিকে খেয়াল রেখে দান-খয়রাত করা উচিত সেখানে
সাধারণভাবে, ধর্মীয় বিদ্যালয়গুলির সাথে সহযোগিতা করা ভাল, কারণ ধর্মীয় বিদ্যালয়গুলি ইসলামের দুর্গ, আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে তাদের শক্তিশালী করাই দ্বীনের টিকে থাকা
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 621):
"قال الرحمتي: والحق التفصيل، فما كانت الحاجة فيه أكثر والمنفعة فيه أشمل فهو الأفضل كما ورد: «حجة أفضل من عشر غزوات». وورد عكسه فيحمل على ما كان أنفع، فإذا كان أشجع وأنفع في الحرب فجهاده أفضل من حجه، أو بالعكس فحجه أفضل، وكذا بناء الرباط إن كان محتاجاً إليه كان أفضل من الصدقة وحج النفل وإذا كان الفقير مضطراً أو من أهل الصلاح أو من آل بيت النبي صلى الله عليه وسلم فقد يكون إكرامه أفضل من حجات وعمر وبناء ربط. كما حكى في المسامرات عن رجل أراد الحج فحمل ألف دينار يتأهب بها، فجاءته امرأة في الطريق وقالت له: إني من آل بيت النبي صلى الله عليه وسلم وبي ضرورة فأفرغ لها ما معه، فلما رجع حجاج بلده صار كلما لقي رجلاً منهم يقول له: تقبل الله منك، فتعجب من قولهم، فرأى النبي صلى الله عليه وسلم في نومه وقال له: تعجبت من قولهم: تقبل الله منك؟ قال: نعم يا رسول الله؛ قال: إن الله خلق ملكاً على صورتك حج عنك؛ وهو يحج عنك إلى يوم القيامة بإكرامك لامرأة مضطرة من آل بيتي؛ فانظر إلى هذا الإكرام الذي ناله لم ينله بحجات ولا ببناء ربط"
সারমর্মঃ-
যেখানে হাজত যত বেশি থাকবে,উম্মাহর লাভ যত বেশি থাকবে,সেখানে দান করাই উত্তম।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিজের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে অসহায় গরিব থাকলে তাদেরকে দান করাই উত্তম।
বাবা মাকে তো সদকাহ করা যায়না।
এমনিতেই তাদেরকে সাহায্য করা যায়।
সেক্ষেত্রে সদকাহ আদায় হবেনা।
বাবা মার প্রয়োজন পূরন করা,এটা আপনার ব্যাক্তিগত বিষয়।
তবে সদকাহ আপনি আদায় করতে চাইলে সেক্ষেত্রে নিজের নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে অসহায় গরিব থাকলে তাদেরকে দান করবেন।
ফিলিস্তিনের গাজায় টাকা পাঠানোর কোনো বিশ্বস্ত সোর্স থাকলে তাদের মাধ্যমে টাকা পাঠানোই বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছি।
তবে সোর্সটি শতভাগ বিশ্বস্ত হতে হবে।
আরো জানুনঃ-
(০২)
আপনি استغفر الله واتوب إليه পড়বেন।
পাশাপাশি اللهم صلي وسلم وبارك عليه পাঠ করবেন।