আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।

এক যুবতীর সাথে এক যুবকের বিয়ের কথা চলছিল। বিভিন্ন সমস্যার পরও বিয়ের কথা আগাচ্ছিল বলে দেখা যাচ্ছিল। হঠাৎ কোন কারণ না দেখিয়েই ছেলেপক্ষ শেষ মুহূর্তে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। এরপর ছেলে আবার মেয়ের এক আত্মীয়কে জানায় যে সে তার বাবা মাকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। এমন সময় ছেলের কিছু আচরণে বিরক্ত হয়ে মেয়ে রিয়েক্ট করে বসে। রিয়্যাকশন ঠিক না, শুরু থেকেই ছেলের কিছু বেয়াদবিপূর্ণ আচরণ মেয়ে ও তার পরিবারের ভালো লাগেনি সেটাই মেয়েটা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় আর ছেলের হিদায়াতের জন্য দুয়াও করে দেয়। ছেলেটা আগেই বলে রেখেছিল যে সমালোচনা নিতে পারে - একথা মাথায় রেখেই মেয়ে এসব কথা বলে দেয়। ছেলেটা জানায় এসব কথায় সে কষ্ট পেয়েছে। মেয়েটা সরি বললে সে বলে যে এসবে তেমন কিছু মনে করেনি। মেয়েটা ভাবে যে যাক তাহলে এখনো কথা চলছে।
কিন্তু এরপর ছেলে শুরু করে কনফিউজিং আচরণ। মেয়ে বা তার পরিবারকে এটাও জানায় না যে সে তার বাবা মাকে মানিয়েছে নাকি মানায় নি। বারবার জিজ্ঞাসা করেও উত্তর মেলেনি। হঠাৎই ছেলেটা অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করে নেয়।ছেলেপক্ষ মেয়ে ও তার পরিবারের সাথে এত অসভ্যতার পর মেয়ে ট্রমায় চলে যায়। আর যারাই এই ঘটনা জানে সবাই ছেলেকে অভিশাপ দেয় (ঘটনা আরও অনেক গভীর যা এখানে আলোচনা সম্ভব নয়)। সবচেয়ে বড় কথা হল যে এতকিছুর পরও ছেলে বা তার বাবা মা কারও কাছে ক্ষমা চায়নি।

এরপর কেটে যায় বহুদিন। গতকাল রাতে মেয়েটা হঠাৎ স্বপ্ন দেখে যে ছেলেটা বারবার ঢাকা থেকে খুলনাগামী ট্রেন কোন পর্যন্ত এসেছে সেটা চেক করছে। বলা ভালো যে দুজনের বাড়িই খুলনা বিভাগে, তাদের দুজনেরই খুলনায় আত্মীয় থাকেন। মেয়েটা জিজ্ঞাসা করে যে তুমি বারবার সময় চেক করছ কেন। ছেলে উত্তর দেয় যে তুমি কখন আসবা সেটা বুঝার জন্য। মেয়েটা উত্তর দেয় যে আমি তো তোমার সামনেই আছি। ছেলে উত্তর করে যে না তুমি আমার সামনে নেই, তোমার আত্মা আর আমার আত্মা মিলিত হয়েছে তাই এরকম দেখা যাচ্ছে। এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন মনের কল্পনা প্রসূত বলেই মনে হচ্ছে। সুতরাং চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...