আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
একজন কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে তার মায়ের বয়সী এক মহিলা অন্যায়ভাবে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে মারে। ছেলেটা রেগে গিয়ে মহিলার হাত থেকে স্ট্যাম্প নিয়ে একই ভাবে মহিলাকে আঘাত করে। পরবর্তীতে এইকাজ করার জন্য মহিলার ছেলে এসে তাকে আরও মারধর করে, এমনকি রক্তাক্ত করে। পরে ২ পক্ষ একসাথে বসে বিষয়টা মীমাংসা করে এবং ওই মহিলা ক্ষমাও চায়।


প্রশ্ন: মহিলার গায়ে হাত তুলা কি তার জন্য ঠিক হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ -
আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা শূরা-৪০)
ﻭَﻟَﻤَﻦ ﺻَﺒَﺮَ ﻭَﻏَﻔَﺮَ ﺇِﻥَّ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﻤِﻦْ ﻋَﺰْﻡِ ﺍﻟْﺄُﻣُﻮﺭِ
অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।(সূরা শূরা-৪৩)

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ
ﻭﻗﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻳَﺎ ﻋُﻘﺒَﺔَ ﺑﻦَ ﻋَﺎﻣِﺮ : ﺻِﻞْ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚَ ، ﻭَﺃَﻋْﻂِ ﻣَﻦْ ﺣَﺮَﻣَﻚَ ، ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻤَّﻦ ﻇَﻠَﻤَﻚَ
হে উকবা তুমি সম্পর্ক স্থাপন কর তার সাথে যে তোমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে,এবং দান কর তাকে  যে তোমাকে বঞ্চিত করেছে,এবং মাফ করে দাও তাকে যে তোমার উপর যুলুম করেছে। (মসনদে আহমদ-৪/১৫৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ জুলুম নির্যাতন করলে তার জুলুমের প্রতিবাদ বা প্রতিশোধ ততটুকুই জায়েয যতটুকু সে করেছে। জুলুমকারী নারী হোক বা পুরুষ হোক। তবে সাধারণত ক্ষমা করে দেয়াই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত। বিশেষত যুদ্ধের ময়দানে নারীদের উপর হাত তুলতে নিষেধ করা হয়েছে, যেমন 
ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى امْرَأَةً مَقْتُولَةً فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ فَنَهَى عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ .
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নারীকে নিহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলেন। অতঃপর তিনি নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেন।(সহীহ বুখারী-২৮৪১)

তাছাড়া হযরত হানজালা আল-কাতিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ حَنْظَلَةَ الْكَاتِبِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَرْنَا عَلَى امْرَأَةٍ مَقْتُولَةٍ قَدِ اجْتَمَعَ عَلَيْهَا النَّاسُ فَأَفْرَجُوا لَهُ فَقَالَ (مَا كَانَتْ هَذِهِ تُقَاتِلُ فِيمَنْ يُقَاتِلُ)
 তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধ করলাম। আমরা এক নিহত নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, যার নিকট লোকজন ভীড় জমিয়েছিল। লোকেরা তাঁর জন্য পথ করে দিলো। তিনি বলেনঃ যারা যুদ্ধ করে, সে তো তাদের সাথে যুদ্ধ করতো না!(সহীহ বুখারী-২৮৪২)

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ঐ মহিলার জন্য বালকের উপর ব্যাট দ্বারা প্রহার করা উচিৎ হয়নি এবং বালকের জন্যও মহিলার উপর চড়াও হওয়াটাও উচিৎ হয়নি। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক জিনিষ অনুধাবন করার এবং সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...