ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত ফাতেমা বিনতে কায়েস রাযি বলেন,
فَلَمَّا انْقَضَتْ عِدَّتِي خَطَبَنِي أَبُو جَهْمٍ وَمُعَاوِيَةُ . قَالَتْ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " أَمَّا مُعَاوِيَةُ فَرَجُلٌ لاَ مَالَ لَهُ وَأَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَرَجُلٌ شَدِيدٌ عَلَى النِّسَاءِ " . قَالَتْ فَخَطَبَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَتَزَوَّجَنِي فَبَارَكَ اللَّهُ لِي فِي أُسَامَةَ -
অতপর আমার ইদ্দত শেষ হলে আমার কাছে আবূ জাহম ও মুআবিয়া বিয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলাম এবং তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করলাম। তিনি তখন বললেন, মুআবিয়া তো এমন ব্যক্তি যে, তার কোন ধন-সম্পদ নেই। আর আবূ জাহম তো স্ত্রীদের উপর খুবই কঠোর। ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তারপর আমার কাছে উসামা বিয়ের প্রস্তাব দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়ে দেন। আল্লাহ্ তা’আলা উসামাকে আমার জন্য বরকতময় করে দিলেন। - [ইরওয়া ৬/২০৯, সহিহ আবু দাউদ ১৯৭৬, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৩৫]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6923
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের একাধিক প্রস্তাবের আসলে, তন্মধ্যে যাচাই-বাছাই করে কোনো একটিকে নির্ধারণ করা যাবে। যখন কোনো একটিকে নির্ধারণ করে নেয়া হবে, তখন অন্য কারো প্রস্তাবাে গ্রহণ করার নিমিত্তে যাচাই-বাছাই করা জায়েয হবে না। মোটকথা, এক পাত্র/পাত্রীর খোঁজ নেওয়া অবস্থায় অন্য পাত্র/পাত্রীর খোঁজ নেওয়া হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধতার আওতাধীন হবে না।