ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম
জবাব,
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে
বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা
কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না
থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই
যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।
আমরা আমাদের
বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা
মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত
হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক।
এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন
বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।
যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা
করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক
সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না এবং আমরা আশা
করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ
হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের
ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের
ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের
সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।
https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa
ওয়াসওয়াসা
থেকে বাঁচতে বিস্তারিত জানুন: https://ifatwa.info/68666/
প্রশ্নকারী সম্মানিত দ্বীনি ভাই/বোন!
১. জন্মদিন পালন একটি বিজাতীয়
সংস্কৃতি। আর ইসলামি শরিয়তে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
শরীয়তের বিধান হলো জন্মদিন -(Birthday)- পালন করা এবং এ উপলক্ষে কাউকে হ্যাপি বার্থডে বলে উইশ- (Wish)-করা বা গিফট লেনদেন করা জায়েয নেই। কারণ তা অমুসলিমদের সংস্কৃতি।
আর ইসলামে অমুসলিমদের অনুসরণ-অনুকরণ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ-চাই তা ইবাদতের ক্ষেত্রে
হোক অথবা আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, রীতি-নীতি বা কৃষ্টি-কালচারের ক্ষেত্রে হোক।
শুধু শুভেচ্ছা
জানানো সুতরাং যেহেতু জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানানো জন্মদিন পালনের'ই নামান্তর, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত জন্মদিন পালন না করে শুধুমাত্র যদি শুভেচ্ছা জানানো হয় তবুও
তা নাজায়েজ।
যদিও তা লিখিত
ভাবে হোক.কিংবা আনূষ্ঠানিক ভাবে, কিংবা মৌখিক ভাবে হোক৷
ইসলামে জন্মবার্ষিকী মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার নিয়ম নেই। এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোও
ঠিক নয়। বরং এমন কালচার গুলোকে বর্জণ করতে হবে৷
তবে হ্যাঁ একজন
মুসলমান হিসেবে অপর মুসলমানের জন্য কেবলমাত্র দূ'আ করতে পারে,এটা উত্তম কাজ৷ রাসূলুল্লাহ
সা,
সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন কারো যামানায় জন্মদিন পালনের কোনো একটি রেওয়ায়াতও পাওয়া যায় না৷
হাদিস শরিফে
এসেছে,
عن ابن عمر
قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من تشبه بقوم فهو منهم
‘যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের
সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩১)
২-৪. উক্ত প্রশ্নগুলো ওয়াসওয়াসার কারণে
এসেছে। ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে উপরের নির্দেশনাগুলো
ফলো করুন। তবে উপরের কোন ছুরতে তালাক তালাক হবে।
৫. মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।
বিবাহিত হওয়ার পরও নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেওয়া গুনাহের কাজ।
তবে এতে তালাক হবে না।