আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
اسلام عليكم
আমি কাপড় ধোয়া নিয়ে খুবই পেরেশানিতে আছি,অদৃশ্যমান নাপাকি যুক্ত কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে

১.কাপড় ধোয়ার সময় গায়ে ছিটেফোটা লাগে, সেই গা ধুতে যেয়ে আবার বালতিতে ছিটে ফোটা লাগে সেই বালতি ধুতে যেয়ে আবার গায়ে ছিটেফোটা লাগে, ট্যাপ, শাওয়ারের হ্যান্ডেলে লাগে, সব ধোয়াধুয়ি করতে যেয়ে প্রচুর সময় আর পানি নষ্ট হয় এক্ষেত্রে করণীয় কি?বালতির হ্যান্ডেল ধুতে যেয়ে প্রচুর পানি ছোটে ফলে আবার সব ধোয়াধুয়ি ঝামেলা হয়

২.আমি এই ভয়ে বালতিতে কাপড় ধুইনা যে কাপড় একবার ধুয়ে যেখানে রাখবো সেটা নাপাক হবে, ট্যাপ দিয়ে পানি অফ করবো তাও নাপাক হবে, বালতি নাপাক হবে, হাত তো নাপাকই থাকবে ফলে যাই করতে যাবো নাপাক হবে, এই চিন্তা কি ঠিক?

৩.হায়েজের রক্ত বা সাদাস্রাবের উপর দিয়ে পানি গড়িয়ে কাপড়ে লাগে কিন্তু কাপড়ে দাগ লাগেনি এমন অবস্থায় ওই কাপড় কি নাপাক ধরতে হবে? সেগুলো তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া লাগবে?তৃতীয়বার নিংড়ানোর সময় যদি এমন ভাবে নিংড়াই যাতে কাপড় পানি ঝরবেনা কিন্তু আরও জোরে নিংড়ালে পানি বের হবে তাহলে কি পাক হবে? নায়লনের দড়িতে নাপাক/নাপাকি থাকার সম্ভাবনা আছে এমন কাপড় দিলে কি দড়ি নাপাক হবে?ওই দড়িতে পরবর্তীতে অন্য কাপড় দিলে সেই কাপড় নাপাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
কোর্সে এনরোল করা যাচ্ছেনা

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 211 views
0 votes
1 answer 278 views
...