আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by

আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম যেটার লিংক এখানে।

https://ifatwa.info/105737/

যেখানে আমি বলছিলাম যে আমি একটা বাদ্যযন্ত্র সফটওয়্যার ব্যবহার করে সাউন্ড ইফেক্ট ও মিউজিক তৈরি করেছিলাম, কিন্তু যে সফটওয়্যারটা ব্যবহার করেছিলাম সেটার একটা সাউন্ড হিন্দুদের ওম ছিল যেটা আমি প্রথমে বুঝতে পারি নাই। পরে, ওই শব্দটা ব্যবহার করে সাউন্ড ইফেক্ট ও মিউজিক তৈরি করেছিলাম এবং সেগুলা অনলাইন মার্কেটে গেম তৈরি করার মার্কেটে আপলোড করেছি, যেখানে গেম তৈরি যারা করে তারা এসব কিনে থাকে।

সাউন্ড ইফেক্ট ও মিউজিক আপলোড দেওয়ার পর বুঝতে পারি যে এসব তৈরি করার জন্য যে বাদ্যযন্ত্র সফটওয়্যার এর সাউন্ডটা আমি ব্যবহার করেছি সেটা হিন্দুদের ওম ছিল, তাই নিজেকে কাফির মনে হচ্ছিলো এবং ভয় হচ্ছিল যদি এই মুহূর্তে মৃত্যু হলে তো কাফির অবস্থায় মৃত্যু হবে। কিন্তু আমি এটাও জানি যে আমি একটা হারাম কাজের সাথে জড়িতো কিন্তু অন্তত আমি কুফুরি না করা থেকে অনেক সচেতন। যাই করি তাই করি কুফুরি জিনিসটা আমি বড় ভয় পাই তাই আমি লিংকে থাকা ওই প্রশ্নটা করেছিলাম সেখানে আপনাদের উত্তর ছিলো:

> এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। তবে এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে, এবং গুনাহের কাজে সহযোগিতার গুনাহও হবে।

প্রশ্নটা দেখে আমার নিজেকে কাফের ভাবা চিন্তা টা কমলো কিন্তু কিছুদিন পার হওয়ার পর আবার নিজেকে কাফের ভাবা চিন্তা টা ঢুকে গেছে। কোনো মতে শান্তিতে থাকতে পারছিলাম না সবসময় পেরেশানি তাই আমি চিন্তা করলাম ইন্টারনেটে যা আপলোড দিয়েছি সব ডিলিট করে দিয়ে নতুন করে তৈরি করবো এবং হিন্দুদের ওই ওম শব্দটা ব্যবহার করবো না। এবং তাই করেছি অনলাইন মার্কেটে সব ডিলেট করে আবার নতুন করে মিউজিক ও সাউন্ড ইফেক্ট তৈরি করেছি যেটা করতে ১৩-১৪ দিন লেগে গেছে এবং হিন্দু ওম শব্দটা আর ব্যবহার করিনি এবং সেগুলা আবার অনলাইন গেমিং মার্কেটে আপলোড করেছি। কিন্তু এখন আবার নতুন করে সন্দেহ হওয়া শুরু হলো যে হিন্দু ওম শব্দটা হয়তো ভুলে অথবা নিজের অজান্তে নুতন করে মিউজিক ও সাউন্ড ইফেক্ট তৈরি করার সময় কোনোটাতে ব্যবহার করে ফেলেছি অথবা কোনোটাতে থেকে গেছে এবং এই চিন্তার ফলে আবার পেরেশানি বেড়ে যায় এবং নিজেকে কাফের ভাবা আবার শুরু হয়ে যায়। এবং আবার মন চাচ্ছে যে সবকিছু ডিলিট করে ১৩-১৪ দিন সময় আবার নষ্ট করে নতুন করে অনেক মনোযোগের সাথে তৈরি করা (যেটা আমি মোটেও চাচ্ছি না কিন্তু নিজেকে কাফির ভাবা পেরেশানি কমানোর জন্য করতে মন চাচ্ছে)। আমি জানি যে এই হারাম কাজটা আমার ছেড়ে দেওয়ার উচিত কিন্তু আমার বাবা তার ভুলের কারণে অনেক দেনাগ্রস্থ হয়ে গেছে তাই কাজটা ছেড়ে দিলে সে সাংঘাতিক বিপদে পড়বে সেজন্য এই হারাম কাজটাও ছেড়ে দিতে পারছি না। কিন্তু অন্তত নিজেকে কাফের ভাবা পেরেশানি থেকে মুক্তি চাই।

তাই আমার প্রশ্ন:

আমি কি আসলে আমার কাজের মাধ্যমে কোনো কুফুরি করে ফেলছি নাতো মানে আমার কাজের মোধ্য হারাম থাকলেও ১০০% কুফুরি নেই এটার নিশ্চয়তা কি দিতে পারবেন? হিন্দু ওম শব্দটা আমি সর্বচ্চো চেষ্টা করেছি অডিও গুলা থেকে বাদ দেওয়া, কিন্তু বাদ দেওয়ার পরেও মনের মধ্যে সন্দেহ লেগে আছে যদি ভুল করে মনের অজান্তে কোনো টাতে থেকে থাকে তাহলে কি হবে? আর এই সন্দেহর কারণে নিজেকে আবার কাফের ভাবা শুরু হয়ে গেছে

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/105737/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে।

যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি।


আল্লাহর কাছে সবচে’ ঘৃণ্য ও জঘন্যতম পাপ হল শিরক। কুরআন মাজীদে পুত্রের প্রতি লুকমান হাকীমের ওসিয়তগুলো বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে তিনি নিজ পুত্রকে ওসিয়ত করে বলেন-

وَ اِذْ قَالَ لُقْمٰنُ لِابْنِهٖ وَ هُوَ یَعِظُهٗ یٰبُنَیَّ لَا تُشْرِكْ بِاللهِ  اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِیْمٌ.

স্মরণ কর, যখন লুকমান উপদেশচ্ছলে নিজ পুত্রকে বলেছিল, বৎস! তুমি আল্লাহ সাথে শরীক করো না। কেননা র্শিক নিশ্চয় মারাত্মক অবিচার ও পাপ। -সূরা লুকমান (৩১) : ১৩


আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-

وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫


অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-

اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.

আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২


আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-

اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যাবে না। তবে এভাবে মিউজিক বানানো ও বিক্রয় করার কারণে গোনাহ হবে। গোনাহের কাজে সহযোগিতা করাও গোনাহও হবে। তারপরও আপনার মনের মধ্যে সন্দেহ হলে আপনার ঈমান নবায় করে নিতে পারেন।

ঈমান নবায়ন করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/52689/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (3 points)
ইমান নবায়ন করার পরেও যদি নিজেকে কাফের মনে হয় তাহলে এটা কি ওয়াস ওয়াসার কারণ হতে পারে?
আবার এভাবে যদি নিজেকে কাফের ভাবা শুরু করি এটা কি ইমানের জন্য ক্ষতিকর?
by (3 points)
আমি চেষ্টা করেছি ওম শব্দটা সব অডিও থেকে বাদ দেওয়া, েকারন ওম শব্দটা হিন্দুদের এবং এই শব্দটা এটা অনেকটা কুফুরি গোনার মতো সমান যদি মিউজিক এর সাথে থাকে, তাই আমি সর্বচ্চ চেষ্টা করেছি সব মিউজিক থেকে ওম শব্দটা বাদ দিয়ে নতুন করে তৈরি করে আপলোড করা এবং সেটাই করেছি। আমি জানি যে মিউজিক এর কারণে আমার গোনাহ হচ্ছে কিন্তু ওম শব্দটা থাকার কারনে যে গুনাহ টা হচ্ছিলো আমি সেটার থেকে কি মুক্তি পাবো? মানে আমি চেষ্টা করেছি যে ওম শব্দটা অডিও থেকে ডিলেট করা এবং আমি সেটাই করেছি এবং  এখন নিজের ভুলের বা নিজের অজান্তে যদি মিউজিক গুলাতে ওম শব্দটা থেকে থাকে যেটা আমি জানি না, এবং এই থাকার কারনে যে গুনাহ টা হওয়ার কথা সেটা থেকে মুক্তি পাবো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...