আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহ। উস্তাজ দ্বীনে ফেরার পর থেকে নিয়ত করেছিলাম হাফিজা হবো আলহামদুলিল্লাহ আমি ৩ বছর থেকে হিফজ যাত্রায় আছি কিন্তু নানা প্রতিকূলতা পারিবারিক মানসিক বদনজর এর সমস্যা সব কিছু মিলে আমি এত দিন থেকে হিফজ কন্টিনিউ করতে পারছি না বা করলে  আঘাতে পারছি না এখন আমার জন্য এক দ্বীনদার পাত্র থেকে প্রস্তাব আসছে কিন্তু তারা চায় মেয়ে হাফিজা হতে হবে ,হিফজ টা দ্রুত শেষ করলে কথা আঘাবে,আমার পরিবার চায় একাডেমিক শেষ হক তারপর হিফজ।l আমার অনেক স্বপ্ন হাফিজা হবো এখন উস্তাজ আমি তো আগে থেকেই হিফজের যাত্রা শুরু করেছি কিন্তু নানা প্রতিকূলতার জন্য আগাতে পারি নি,আমি মন থেকে চাই আমার যেন দ্রুত শেষ হোক বা কন্টিনিউ হোক এতে আমারই ভালো। মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা একবার ছিলাম পরে একটা সমস্যার জন্য চলে আসি এখন আমার পরিবার যেতে দিচ্ছে না আগে একাডেমিক পড়া টা শেষ করার জন্য তাই আমি ও অপেক্ষা বসে আছি আর ঘরে চেষ্টা করে ও হচ্ছে না।ভাবতেছি পাত্র যেহেতু দ্বীনদার তাহলে হিফজ টা দ্রুতই শেষ করে দেই না এতে আমারি ভালো তারা ও কথা আঘাবে ।

*১/এখন প্রশ্ন হলো পাত্র পক্ষের এই বিষয় টা শুনার পর যদি দ্রুত হিফজ শেষ করার বা আগানোর জন্য চেষ্টা করি যেখানে ২/৩ বছর লাগার কথা সেখানে আরও দ্রুত আগানোর চেষ্টা করি তাহলে আমার হিফজের ইখলাস বা নিয়তে কী কোনো ক্ষতি হবে? বা গুনাহ হবে?

(আগে থেকে ও ইচ্ছা ছিল আগানোর কিন্তু এখন চাপে পরে আগাতে হবে এই আর্কি)

*২/আমি কি পরিবার কে একাডেমিক ক্লাস এর কথা বলে হিফজ মাদ্রাসায় লুকিয়ে যেতে পারি?(মাদ্রাসা খুব কাছেই এলাকার মধ্যে)
by (2 points)
একটা কথা বলা হয়নি আমার পরিবার চায় অনলাইনেই হিফজ করতে কিন্তু আমি অনলাইনে আঘাতে পারছি না তাই মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছি কিন্তু দিচ্ছে না

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনরসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবেতার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে। বুখারী ১মুসলিম ১৯০৭তিরমিযী ১৬৩৭নাসায়ী ৭৫আবূ দাঊদ ২২০১ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭আহমাদ ১৬৯৩০২।


https://ifatwa.info/57202/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

কুরআনের হাফেজদের জন্য হাদীসে বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছে-  রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো। কেননা তা কিয়ামতের দিন তার ধারকের জন্য সুপারিশকারী হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩০২)


কিয়ামতের দিন কোরআন মুখস্থকারীদের প্রতিটি আয়াতের বিপরীতে মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন অধ্যয়নকারীকে বলা হবে, কোরআন পাঠ করতে করতে ওপরে উঠতে থাকো। তুমি দুনিয়াতে যেভাবে ধীরে-সুস্থে পাঠ করতে, সেভাবে পাঠ করো। কেননা তোমার তিলাওয়াতের শেষ আয়াতেই (জান্নাতে) তোমার বাসস্থান হবে।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৪৬৪)


আপনি ঘরে বসে কুরআন শরীফ মুখস্থ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার জন্য কিছু পরামর্শঃ-

আপনার মেধা ও স্মরণশক্তি অনুপাতে প্রতিদিন একটি নির্ধারিত পরিমাণ মুখস্থ করুন। এক পৃষ্ঠা হোক বা আধা পৃষ্ঠা হোক,সর্বনিম্ন পাঁচ লাইন মুখস্থ করার চেষ্টা করুন।


প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দুইবার হিফজের জন্য সময় দিন। সকালে নির্ধারিত পরিমাণ মুখস্থ করুন এবং সারা দিন মনে মনে আবৃত্তি করুন। রাতে দেখে তা আরো ভালোভাবে আত্মস্থ করুন। সকাল ও সন্ধ্যায় কমপক্ষে ৪০ মিনিট করে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন।


পরের দিন একজন কোরআনের হাফেজ বা যাঁর কোরআন তিলাওয়াত বিশুদ্ধ তাঁকে মুখস্থ করা অংশটুকু শোনান। কোনো স্থানে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নিন এবং পরের দিন তা আবার শোনান।


প্রতিদিন নতুন অংশ মুখস্থ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পেছনের অংশ মুখস্থ রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুযোগমতো পেছনের অংশ বারবার তিলাওয়াত করতে হবে। এবং তাহা সেই উস্তাদকে/অন্য যেকোনো শুদ্ধ পাঠকারীকে শোনাতে হবে, সম্ভবপর না হলে নিজেই নিজেই কুরআন বন্ধ রেখে ভালোভাবে পিছনের পড়া তিলাওয়াত করবেন।


রাতে-দিনে বিশ্রামের সময় মনে মনে তিলাওয়াত করুন। বিশেষত ঘুমানোর আগে প্রতিদিনের নতুন মুখস্থ করা অংশটি আগের দিনের অংশের সঙ্গে মিলিয়ে তিলাওয়াত করুন।


একাধিক পারা মুখস্থ হওয়ার পর সম্ভব হলে ধারাবাহিকভাবে পেছনের এক পারা করে একবার দেখে তিলাওয়াত করুন এবং তারপর একবার না দেখে তিলাওয়াত করুন এবং তাহা সম্ভব হলে কোনো উস্তাদকে বা অন্য যেকোনো শুদ্ধ পাঠকারীকে শোনানোর চেষ্টা করুন।

সম্ভবপর না হলে নিজে নিজেই কুরআন বন্ধ রেখে ভালোভাবে মুখস্থ তিলাওয়াত করুন।


মুখস্থ অংশ শোনানোর সময় যেসব জায়গায় ভুল ধরা পড়ে—তা (রুল দিয়ে) চিহ্নিত করে রাখা (পরবর্তীতে যেনো মিশে ফেলা যায়) এবং পরবর্তী সময় এসব শব্দ ও তার উচ্চারণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা। (কিছু তথ্য সংগৃহীত।)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


১. আপনি নিয়তটা আবার একটু সংশোধন করে নিবেন। আল্লাহ তায়ালার জন্যই কুরআন হেফজ করবেন।

২. এভাবে লুকিয়ে না গিয়ে এমনি বাসায় বলতে পারেন যে, আপনি একটু মাদ্রাসায় সময় দিচ্ছেন। তারপর তারা অনুমতি দিলে মাদ্রাসায় গিয়ে হেফজ করলেন। আর অনুমতি না দিলে বাসায় হেফজ করার চেষ্টা করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...