আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
edited ago by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর,আমি ছোট কিছু প্রশ্ন করি সঠিক সমাধান দিবেন। 

#আমি আজকে ফজর এর নামাজ এর সময় বের হয় আমার বন্দু সহো নামাজ পড়ার জন্য তো আমাদের আরেক বন্দু কে ডাকতে অর বাসার সামনে যায় তো কিছু খন ধরে অর জন্য অপেক্ষা করতাসি আর তখন আমার ওয়াইফ কল দেই আমাকে (আমার ওয়াইফ আমার শ্বশুর বাড়ি কারন এখনো পারিবারিক ভাবে ওকে উঠাইয়া আনি নাই তাই)  তো আমাকে প্রায় কল দেই প্রতিদিন কল না দিতে পারলে ও নামাজ পড়তে যেন উঠি তাই কল দেই আজকে ও তেমনি কল দিছে আমি কল receive করি আমার কানে নি এর পরে আমি কিছু মুখ দিয়ে সাউন্ড করি আর অই পাশ থেকে আমার বউ ও হু ওহু মানে মুখ দিয়ে কিছু সাউন্ড করে বুজালো আমাকে কিন্ত সমস্যা এইখানে না সমস্যা হচ্চে এর পরে যখন আমি বা আর বউ ফোন রেখে দেই বা দি আমার সাথের বন্দু বলে কে কল দিছে বা আমার যেই বন্দুর জন্য অপেক্ষা করছি ওই কল দিলো নাকি তাই জিজ্ঞাসা করসে আমি তার কয়েক সেকেন্ড বা ১/২ মিনিট পরে বা এর মধ্যে বলি তাসনিয়া কল দিচে বা তাসনিয়া শুধু এতটুকুই বলি (আমার বউ এর নাম এইটা)  তো আর বন্দু জিজ্ঞাসা করে তোরা এত রাতে ও chat করোস (আর আমার সব বন্দু জানেনা আমি বিবাহিত কিছু ক্লোজ বন্দু জানে যাইহোক) তো আমি এর পরে মুখ নাড়িয়ে না বুজাই বা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করেই না বুজাই আর তার সাথে সাথে বা এমন মুখ নাড়িয়ে বা উচ্চারণ করে না বলার পর পর আমার চিন্তা হওয়া শুরু হয় আমি যে না বললাম বা মুখ নাড়িয়ে বুজালাম এতে কোন সমস্যা তো হবে না আমার মনে হচ্চে আমি সারাজীবন কথা বলি না বা বলবো না এমন জবাবে বা এমন কথায় না বুজাইছি কি আজব ব্যাপার এত রাতে chat করস এর জবাবে এইটা বলি তাও সাথে সাথে না কয়েক সেকেন্ড বা হয়ত ১/২ মিনিট এর মধ্যে বা পরে বলি বা মুখ নাড়িয়ে বুজাই। আমাকে সমাধান দিন উস্তাদ এতে আমার বিবাহিত সম্পর্কে কোন সমস্যা তো হবে না❓

যদি আমার বন্দু আর কথা বলি বা সারাজিবন কথা বলি কিনাহ এমন কথায় বা জবাবে আমি এমন না বুজাতাম হোক বলে বা মুখ দিয়ে না বলে শুধু মুখ নাড়িয়ে  তখন যদি এমন চিন্তা বা সন্দেহ হতো তা ঠিক বলা যাই বা তা স্বাভাবিক হয়ত বলা যাই তাইনা তাও এমন চিন্তা sad

 

#আর হুজুর আমরা ঝগড়ার বা কোন বিষয় নিয়ে যদি রাগা রাগি অবস্থায় বা রাগ করে কথা বার্তা বলি তখন মাঝেমধ্যে বলি এমনো যে আমার তোমার প্রতি বিশ্বাস নেই/নাই বা আমার তোমার প্রতি Trust issue আছে এমন কথা বলে থাকি বা বলিও তো এইগুলা তো আমি যতটুকু জানি কিনায়া বাক্য না বা তালা'''' এর কোন শব্দ বা বাক্য ও না যে এর কারনে কোন তালা''' হওয়ার আদো কোন সম্ভাবনা আছে তাইনা তো আমাকে এইটা ও বলবেন এইসব এর জন্য বা এমন কথা বার্তার জন্য কখনো বিবাহিত সম্পর্কে /সাংসারিক জীবন এ কোন রকম এর  সমস্যা তো হবে না❓

#আজ থেকে অনেক দিন আগে আমার মা কোন এক নামাজ এর সময় বা যতটুকু মনে আস্তাছে বা প্রবল একটা চিন্তা বা ধারণা হচ্চে বা আস্তাছে মাগরিব এর নামায এর সময় আমাকে নামায নিয়ে বলতাসিল বা নামাজ পড়ার কথা বলতাছিলো এমন কিছু তো আমি তখন বা আমার মা বলার পরে বলি পরমু তো কচু বা পড়বো তো কচু এমন কিছু বলি মানে নামাজ পরবো বলসি আর কচু কথা টাও বলসি কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলসি এই কথা গুলা তখন তেমন চিন্তায় বার বার আসে নাই বা আমি কোন সমস্যা হবে না ভেবে বা ইত্যাদি কারনে হবে হয়ত জিজ্ঞাসা করিনাই আমি তো আর এইখানে নামাজ নিয়ে খারাপ কিছু বা আল্লাহ মাফ করুক নামাজ সম্পর্কে এমন কিছু বলিনাই যাতে আমার ইমানে সমস্যা হতে পারে কিন্ত এখন প্রশ্ন টা করলাম কারন চিন্তায় আবারও এখন এই চিন্তা নাড়া দিচ্চে বা দিলো তাই আমাকে এইটা ও বলবেন এতে আমার ইমানে কোন সমস্যা হওয়ার সম্বাবনা তো নেই❓

#হুজুর মনে মনে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে বলতে বা ভাবতে ভাবতে যদি মুখ দিয়ে ইসস এমন টান দিয়ে কয়েকবারি কিছু বলি বা শব্দ করি বা যেইকোন ধরনের শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি করি এতে ও কি ইমানে কোন সমস্যা তো হবে না❓

আশা করি যতটুকু বলার বা উল্লেখ করার করসি বা যতটুকু জানার তা বলসি বাকিটা আল্লাহ ভালো জানেন। সমাধান গুলা দিবেন অনুরোধ। ২/৩ বার বা কয়েকবারি এডিট করি প্রশ্ন বা কথা গুলা সাবমিট করার পরে উত্তর যেইটার যেইটার দরকার তা যেন পাই। জাযাকাল্লাহ খায়ের হুজুররা।

1 Answer

0 votes
ago by (60,840 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/103624/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায় এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন - https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।


এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।


রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)

 

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!


না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। তবে আপনি সব রকম ওয়াসওয়াসা পরিহার করে চলবেন। এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
ago by (11 points)
হুজুর  বিবাহিত সম্পর্কে ও কোন সমস্যা হবে না তো❓ 
আমি এইটা কিছু টা বুজিনাই আশা করি জবাব টা দিয়ে ক্লিয়ার করবেন। 
তোমার প্রতি বিশ্বাস নাই/নেই/ trust issue আছে ইত্যাদি এমন কথা তো কিনায়া না তো এইসব বাক্য বলাই ও তো কোন সমস্যা নাই বিবাহিত জীবনে❓

এইগুলার জবাব আবারও দিলে ভালো হয় বুজতে সুবিধা হবে আমার। জাযাকাল্লাহ খায়ের। 
ago by (11 points)
উস্তাদ এই জবাব গুলা দিবেন কষ্ট করে প্লিস
ago by (11 points)
হুজুর আপনি আমার কমেন্ট টা কি দেখেছেন প্লিস অনুরোধ করছি যদি দেখে থাকেন আমার কমেন্ট টা আমাকে এই জবাব গুলা দিবেন অনুরোধ আপনার কাছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...