ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/90862/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
সন্তান জন্মের ৭ম দিনে অভিভাবকের দায়িত্ব হল, সন্তানের আকীকা
করা, মাথার চুল মুণ্ডন করা এবং তার সুন্দর নাম রাখা। সপ্তম দিনে বাচ্চার
চুলগুলো মুণ্ডন করা ও চুলের ওজন বরাবর রৌপ্য সদকা করা মুস্তাহাব।
আলী (রায়িঃ) বলেন:
” عقّ رسول الله – صلى الله عليه و سلم – عن
الحسَن بشاةٍ و قال يا فاطمة احلقي رأسه و تصدقي بزنةِ شعره فضّةً ” رواه الترمذي
في كتاب الأضاحي، باب العقيقة بشاة.
“আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসানের পক্ষ
হতে ছাগল আক্বীকা করেন এবং ফাতেমা (রাযি:) কে বলেন: তার মাথা মুণ্ডন করে দাও এবং চুলের
ওজন বরাবর রৌপ্য সদকা করে দাও”। [তিরমিযী, অধ্যায়,
আযাহী,
হাদীস নং ১৫১৯]
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সন্তান আকীকার
সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে
পশু জবাই করবে, নাম রাখবে ও মাথা মুণ্ডন করে দিবে। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫২২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান রা.-এর আকীকা
দিয়ে ফাতেমা রা.-কে বললেন, তার মাথা মুণ্ডন করে দাও এবং চুলের ওজন পরিমাণ রূপা সদকা করে
দাও। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫১৯)
অপর এক হাদীসে রূপা বা স্বর্ণ সদকা করার কথাও এসেছে। (আলমুজামুল
আওসাত, হাদীস ৫৫৮;
মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস ৬২০৪; ইলাউস সুনান ১৭/১১৯)
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/89184/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
জ্বী হ্যাঁ, তিনি চাইলে ২৮ তম দিনে বাচ্চার মাথা মুণ্ডন করতে
পারেন বা যেকোনো দিনেও করতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
অতঃপর চুলের ওজন বরাবর রৌপ্য বা তার মূল্য সদকা
করে দেওয়া মুস্তাহাব।
