আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে আমাকে ওসওয়াসা কোর্স  করতে বলবেন না। শুধু মাত্র জানার জন্য প্রশ্ন করতেছি হুজুর। দয়া করুন। অনেক অশান্তি তে আছি। আর কোথাও প্রশ্ন করার সুযোগ নাই হুজুর।
#
আমার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের আগে আমার হাসবেন্ড এর সাথে পরিচয় ছিল অল্প কয়েক দিনের। তখন আমরা তালাক নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তো একদিন সে আমাকে মজা করে বলেছিল যে, " আচ্ছা বিয়ের পরে তোমার তালাক নেয়ার দরকার হইলে তালাক নিও, আমাকে তালাক দিও". এমন টাইপ এর কিছু। আর কাবিন নামার ১৮ নং কলামে আমাকে বিয়ের অধিকার দেয় নাই। তাকে যখন কাজি কাবিন  নামা পুরন করার সময় জিজ্ঞেস করলো, আমার জামাই ভাবতেছিলো যে দিবে কি দিবে না। কিন্ত সে নাকি কাজি কে বলেছে দিবে না আমাকে তালাকের অধিকার। আর তাই কাজি সেখানে লিখে দিয়েছেন" তালাকের অধিকার দেয়া হয় নাই". আর তার মনে নাকি আগে থেকেই ছিলো আমাকে এই অধিকার দিবে না কোনো সময় ই।   এটা কি ইজাব কবুল এর আগে নাকি পরে করেছে কাজি, মনে নাই হুজুর।
১)- প্রশ্ন হলো : আমাকে যে বিয়ের আগে বলেছিলো যে, "যাও বিয়ে হইলে দরকার হইলে,  তুমি তালাক নিয়ে নিও, আমাকে তালাক দিয়ে দিও"। এগুলা বলার কারনে কি আমি বিয়ের পরে এখন তালাকের অধিকার পাবো? যদিও কাবিন নামার ১৮ নং কলামে লিখা আমাকে দেয় নাই অধিকার। মানে বিয়ের দিন আমাকে অধিকার দেয় নাই। কাজি কেও না করেছে আমাকে অধিকার দিতে। কিন্তু আগে এমন কথা বলেছে আমার হাসবেন্ড আমাকে মজা করে। এখন আমি কি অধিকার পাবো কিনা?
২) বিয়ের আগে একদিন একটু প্রব্লেম হয়েছিল, তখন  আমাকে বলেছিল আমার জামাই, " আমার মনে হয় না, আমাদের বিয়ে হইলেও বেশি দিন টিকবে, এখন ই যেই খারাপ অবস্থা "। তো বিয়ের আগে  এই কথা বলার কারনে বিয়ের পরে কি আমাদের শর্ত যুক্ত কোনো তালাক হবে? বা কোনো প্রব্লেম হবে?
হুজুর মাফ করে দিবেন। দয়া করে ঊত্তর দিয়েন।

1 Answer

0 votes
by (592,110 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...