اسـلــــــــم علـــــــيكم ورحمةالله وبركته
১. আজকে রাতে স্বপ্ন দেখি- পরিবারের সবাই লঞ্চে করে কোথাও যাচ্ছি, কোথায় যাচ্ছি তা স্পষ্ট নয়,তবে দুশ্চিন্তাও নেই।লঞ্চ এতো বড়ো যে মনেই হয়নি এটা লঞ্চ। তো একসৃয় মা আমাকে বলে খিচুড়ি রান্না করার জন্য। বাসায় হাতে করা চাল (আমন চাল) বিধায় চিকন চাল খুজতে ছিলাম।মা বললো একজনের থেকে পাব দেখি ওরা দেয় কি না।একটু তারা তাদের ধারণকৃত চাল ফেরত দেয়।আমি উপর থেকে চাল নিয়ে রান্না বসিয়ে দেই।এরপর সব চাল ঢেলে দেখি চালের মাঝে নিম্নমানের অনেক চাল দিয়ে দিয়েছে।আমি মাকে বলি তারা এটা কী করলো মা! এই চাল গুলো মিশিয়ে দিয়েছে কেন,না দিলেওতো সমস্যা ছিল না!মা বলে থাক কিছু বলিস না গবির মানুষ।পরে ওদেরকেই দিয়ে দিব।এরপর দেখি এস্কেলেটর দিয়ে উপরে উঠতেছি আবার নামতেছি।এদিকে খিচুড়ি হয়ে গিয়েছে, এতো খিচুড়ি যে মনে হলো লঞ্চে লর সবার জন্য রান্না করা।
এরপর দেখি লঞ্চের একসাইডে আমরা।তো একটা বড়ো গাছের নিচে বড়ো উচু সিমেন্টের তৈরি।আমি গাছ ধরে এক কর্নার দিয়ে হাটতেছি।আমার মা ও হাটতেছেন সেটার উপর,আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কী?মা বললো এটা লঞ্চের ট্যাংক।এক পর্যায়ে দেখি সেটা ভেঙে পরে যাচ্ছে। আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম যে এটার মধ্যে ময়লা পরে গেলে কী হবে?আর দুয়া করছিলাম আল্লহ এবারের মতো বাচায় দেন।এরপর ভেঙে গেলে সেটার মধ্যে মা পরে যায় আমি এক সাইডে দাঁড়িয়ে ছিলাম ভিতরে পরে যাইনি।মা দেখি খুব সুন্দর করে হাটতেছে মানে কোনো ময়লা নেই এবং সেটার ভিতরে শুকনা।মা একটু পর পর অনেকগুলো বই দিলেন আমাকে।এবং একটার পর একটা বই উঠিয়ে দিচ্ছেন আমাদের সবাইকে।আমরা সে বই পড়ছিলাম।এবং একটা কিতাবে পড়তে নিয়ে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী বা তাঁকে নিয়ে লিখা এমন।একটা লাইন স্পষ্ট মনে আছে।আমি পড়ছি যে,রসূল সঃ আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। এরকম কয়েকলাইন।আমার ভাবি পাশের টেবিল থেকে বলতেছে,তোমাদের বাড়িতে রসূল সঃ এসেছেন কই আমাকে তো কোনোদিন বললে না!! আমি বলি এটা কিতাবের লিখা।কিতাবটি সম্ভবত আশরাফ আলি থানবি রহঃ বা এরকম কারো লিখা ছিল।নাম মনে পড়ছে না এখন।ঘুম ভেঙে যায় রাত ৪.২০ এর দিকে।খুব শান্তি ফিল হচ্ছিল। এ স্বপ্নের ব্যখ্যা কী হবে উস্তায?
২. এরপর অসুস্থার জন্য ৭ টার দিকে ঘুমিয়ে পরি তখন কয়েকটি স্বপ্ন দেখি-
(A) আমাদের বড়ো বাড়ি গিয়েছি ভাইয়ের ছেলে মেয়ে দুটোকে নিয়ে।ওদের গোসল করিয়ে দিয়েছি সাথে আমিও করি।এবং সেখানে খুব সুন্দর জায়গা আছে রেস্ট করার সেখানে ছিলাম।আমার ভাইয়া আসে মসজিদে যাবে নামাজ পড়তে,ভাইয়া শীতের জন্য কম্বল পেচিয়ে আসছে।আমাকে বলে একটা কিছু দাও কান ঢেকে মসজিদে যাব।আমি নতুন কিছু পেলাম না।পাশেই অনেকগুলো বেবি নকশি কাথা রোদে দেওয়া।আমি সেখান থেকে একটা ভাইয়াকে দেই।সেদিন শুক্রবার ছিল,ভাইয়া তার ছেলেমেয়ে দুজনকেই নিয়ে গিয়েছ এবং মাগরিব সলাতের পরে মিষ্টি দিয়েছে মসজিদে।
।এরপই খোজনিয়ে জানতে পারি সেগুলো এক কাকির।আমি সে বাসায় যাই এবং বলি একটা কাথা আমি ভাইয়াকে দিয়েছি আপনার অনুমতি ছাড়া।হয় কাথাটার সমপরিমাণ টাকা নিন,নয়ত যেটুকু সময় ভাইয়া রেখেছে অতটুকুর টাকা নেন।এরপর ঘুম ভেঙে যায়।(ফার্স্টের দিকে কুশল বিনিয়ম হয়েছে অনেকক্ষণ, জানতে পেরেছি উনি অনলাইনে বিজনেস করে এগুলোর)
(B) আবার দেখি আমি আমাদের বড়ো বাড়ির দরজায় দাড়িয়ে এমন সময় একজন ক্লাসমেট তার বান্ধবীদের নিয়ে আসছে টোটাল ৪ জনকে।আমার সে ক্লাসমেটের বাসা মনে হলো আমাদের বাসার পাশেই।
(C) বাড়ি আসতে নিয়েছি তখন দেখি কার যেন বিয়ের আয়োজন আমাদের বাসার সামনে রান্না করছে।আমি দেখি বলি আর কোনো জায়গা পেলো না! এখান দিয়ে আসাযাওয়া করতে হয় আব্বা কেন আমাদুএ জমিতেই রান্নার অনুমতি দিল!
সেখান দিয়ে আসার সময় দেখি যে রান্না করতেছে, সে একটা জ্যান্ত বিড়াল রান্না করার জন্য রেডি করেছে অন্য গোসের সাথে।মশলা কসানোর থেকে উঠিয়ে বিড়ালটির উপর ঢালছে দেখেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।আমি কাকে যেন ডেকে বলি এবং সে বিড়াল টিক বাচায়।
(D) বিড়ালটিকে বাচানোর দরুন একজন ব্যক্তি আমার উপর খেপে যায় বাট আমি তাকে পাত্তাই দিচ্ছিলাম না,আমাদের বাসায় আসে আমার মায়ের কাছে নালিশ করেছ মা ও কিছু বলেনি।এরপর দেখি আমাকে কে যেন হাসের বাচ্চা দিয়েছে। আমি হাসের বাচ্চা গুলো পেয়ে খুব খুশি হই এবং সেগুলোকে লালন পালন করব এরকম খেয়াল,হাসের বাচ্চা গুলো একটা গর্ত মধ্যে যেয়ে খেলছে,আমি বুঝতে পারি ঐইটা এটা ব্যঙ এর বাসা,সুযোগ পেলে খেয়ে ফেলবে তাই ব্যঙএর গর্ত ঢেকে রাখার উপায় খুজতেছিলাম এরপর।হাসের বাচ্চাগুলোর সাথে আমিও সময় দিচ্ছিলাম ওদের ছুটাছুটি দেখতেছিলাম
এগুলোর কোনো ব্যাখ্যা হয় নাকি কল্পনাপ্রসূত? বা আমার করনীয় আছে কী না এসবে
জাযাকুমুল্লহু খইরন ফিদ-দুনইয়া ওয়াল আখিরহ