আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
اسـلــــــــم علـــــــيكم ورحمةالله وبركته

১. আজকে রাতে স্বপ্ন দেখি- পরিবারের সবাই লঞ্চে করে কোথাও যাচ্ছি, কোথায় যাচ্ছি তা স্পষ্ট নয়,তবে দুশ্চিন্তাও নেই।লঞ্চ এতো বড়ো যে মনেই হয়নি এটা লঞ্চ। তো একসৃয় মা আমাকে বলে খিচুড়ি রান্না করার জন্য। বাসায় হাতে করা চাল (আমন চাল) বিধায় চিকন চাল খুজতে ছিলাম।মা বললো একজনের থেকে পাব দেখি ওরা দেয় কি না।একটু তারা তাদের ধারণকৃত চাল ফেরত দেয়।আমি উপর থেকে চাল নিয়ে রান্না বসিয়ে দেই।এরপর সব চাল ঢেলে দেখি চালের মাঝে নিম্নমানের অনেক চাল দিয়ে দিয়েছে।আমি মাকে বলি তারা এটা কী করলো মা! এই চাল গুলো মিশিয়ে দিয়েছে কেন,না দিলেওতো সমস্যা ছিল না!মা বলে থাক কিছু বলিস না গবির মানুষ।পরে ওদেরকেই দিয়ে দিব।এরপর দেখি এস্কেলেটর দিয়ে উপরে উঠতেছি আবার নামতেছি।এদিকে খিচুড়ি হয়ে গিয়েছে, এতো খিচুড়ি যে মনে হলো লঞ্চে লর সবার জন্য রান্না করা।

এরপর দেখি লঞ্চের একসাইডে আমরা।তো একটা বড়ো গাছের নিচে বড়ো উচু সিমেন্টের  তৈরি।আমি গাছ ধরে এক কর্নার দিয়ে হাটতেছি।আমার মা ও হাটতেছেন সেটার উপর,আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কী?মা বললো এটা লঞ্চের ট্যাংক।এক পর্যায়ে দেখি সেটা ভেঙে পরে যাচ্ছে। আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম যে এটার মধ্যে ময়লা পরে গেলে কী হবে?আর দুয়া করছিলাম আল্লহ এবারের মতো বাচায় দেন।এরপর ভেঙে গেলে সেটার মধ্যে মা পরে যায় আমি এক সাইডে দাঁড়িয়ে ছিলাম ভিতরে পরে যাইনি।মা দেখি খুব সুন্দর করে হাটতেছে মানে কোনো ময়লা নেই এবং সেটার ভিতরে শুকনা।মা একটু পর পর অনেকগুলো বই দিলেন আমাকে।এবং একটার পর একটা বই উঠিয়ে দিচ্ছেন আমাদের সবাইকে।আমরা সে বই পড়ছিলাম।এবং একটা কিতাবে পড়তে নিয়ে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী বা তাঁকে নিয়ে লিখা এমন।একটা লাইন স্পষ্ট মনে আছে।আমি পড়ছি যে,রসূল সঃ আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। এরকম কয়েকলাইন।আমার ভাবি পাশের টেবিল থেকে বলতেছে,তোমাদের বাড়িতে রসূল সঃ এসেছেন কই আমাকে তো কোনোদিন বললে না!!  আমি বলি এটা কিতাবের লিখা।কিতাবটি সম্ভবত আশরাফ আলি থানবি রহঃ বা এরকম কারো লিখা ছিল।নাম মনে পড়ছে না এখন।ঘুম ভেঙে যায় রাত ৪.২০ এর দিকে।খুব শান্তি ফিল হচ্ছিল। এ স্বপ্নের ব্যখ্যা কী হবে উস্তায?
২. এরপর  অসুস্থার জন্য ৭ টার দিকে ঘুমিয়ে পরি তখন কয়েকটি স্বপ্ন দেখি-

(A) আমাদের বড়ো বাড়ি গিয়েছি ভাইয়ের ছেলে মেয়ে দুটোকে নিয়ে।ওদের গোসল করিয়ে দিয়েছি সাথে আমিও করি।এবং সেখানে খুব সুন্দর জায়গা আছে রেস্ট করার সেখানে ছিলাম।আমার ভাইয়া আসে মসজিদে যাবে নামাজ পড়তে,ভাইয়া শীতের জন্য কম্বল পেচিয়ে আসছে।আমাকে বলে একটা কিছু দাও কান ঢেকে মসজিদে যাব।আমি নতুন কিছু পেলাম না।পাশেই অনেকগুলো বেবি নকশি কাথা রোদে দেওয়া।আমি সেখান থেকে একটা ভাইয়াকে দেই।সেদিন শুক্রবার ছিল,ভাইয়া তার ছেলেমেয়ে দুজনকেই নিয়ে গিয়েছ এবং মাগরিব সলাতের পরে মিষ্টি দিয়েছে মসজিদে।
।এরপই খোজনিয়ে জানতে পারি সেগুলো এক কাকির।আমি সে বাসায় যাই এবং বলি একটা কাথা আমি ভাইয়াকে দিয়েছি আপনার অনুমতি ছাড়া।হয় কাথাটার সমপরিমাণ টাকা নিন,নয়ত যেটুকু সময় ভাইয়া রেখেছে অতটুকুর টাকা নেন।এরপর ঘুম ভেঙে যায়।(ফার্স্টের দিকে কুশল বিনিয়ম হয়েছে অনেকক্ষণ, জানতে পেরেছি উনি অনলাইনে বিজনেস করে এগুলোর)

(B) আবার দেখি আমি আমাদের বড়ো বাড়ির দরজায় দাড়িয়ে এমন সময় একজন ক্লাসমেট তার বান্ধবীদের নিয়ে আসছে টোটাল ৪ জনকে।আমার সে ক্লাসমেটের বাসা মনে হলো আমাদের বাসার পাশেই।

(C) বাড়ি আসতে নিয়েছি তখন দেখি কার যেন বিয়ের আয়োজন আমাদের বাসার সামনে রান্না করছে।আমি দেখি বলি আর কোনো জায়গা পেলো না! এখান দিয়ে আসাযাওয়া করতে হয় আব্বা কেন আমাদুএ জমিতেই রান্নার অনুমতি দিল!

সেখান দিয়ে আসার সময় দেখি যে রান্না করতেছে, সে একটা জ্যান্ত বিড়াল রান্না করার জন্য রেডি করেছে অন্য গোসের সাথে।মশলা কসানোর থেকে উঠিয়ে বিড়ালটির উপর ঢালছে দেখেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।আমি কাকে যেন ডেকে বলি এবং সে বিড়াল টিক বাচায়।

(D) বিড়ালটিকে বাচানোর দরুন একজন ব্যক্তি আমার উপর খেপে যায় বাট আমি তাকে পাত্তাই দিচ্ছিলাম না,আমাদের বাসায় আসে আমার মায়ের কাছে নালিশ করেছ মা ও কিছু বলেনি।এরপর দেখি আমাকে কে যেন হাসের বাচ্চা দিয়েছে। আমি হাসের বাচ্চা গুলো পেয়ে খুব খুশি হই এবং সেগুলোকে লালন পালন করব এরকম খেয়াল,হাসের বাচ্চা গুলো একটা গর্ত মধ্যে যেয়ে খেলছে,আমি বুঝতে পারি ঐইটা এটা ব্যঙ এর বাসা,সুযোগ পেলে খেয়ে ফেলবে তাই ব্যঙএর গর্ত ঢেকে রাখার উপায় খুজতেছিলাম এরপর।হাসের বাচ্চাগুলোর সাথে আমিও সময় দিচ্ছিলাম ওদের ছুটাছুটি দেখতেছিলাম

এগুলোর কোনো ব্যাখ্যা হয় নাকি কল্পনাপ্রসূত? বা আমার করনীয় আছে কী না এসবে

জাযাকুমুল্লহু খইরন ফিদ-দুনইয়া ওয়াল আখিরহ

1 Answer

0 votes
by (567,630 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নগুলো আপনার মনের কল্পনা প্রসূত স্বপ্ন।

সুতরাং কোনো প্রকারের টেনশন না করার পরামর্শ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...