وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এর উপর যদি অন্তর প্রশান্তি অনুভব করে,কোনো সন্দেহকর যদি মনে না হয়,সেক্ষেত্রে কাজটি করতে পারবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)
(০২)
নামাজের রুকু সেজদায় কুরআন হাদীসে বর্ণিত প্রশ্নে উল্লেখিত দোয়াগুলো পড়া যাবে। এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রুকু ও সিজদায় কখনো কখনো তাসবিহের সঙ্গে এ দোয়াটিও পড়তেন-
سبوح قدوس رب الملأ كة والروح
উচ্চারণ : ‘সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।’ (মুসলিম)অর্থ : ‘সকল ফেরেশতা এবং জিবরিলের প্রতিপালক অতিপবিত্র।’
-হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সিজদা করতেন তখন তিনি বলতেন
اللهم لك سجدت وبك آمنت و لك أسلمت سجدا وجهي للذي خلقه و صوره وشق سمعه تبارك الله احسن الخالقين
-উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাজি খালাকাহু ওয়া চাওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সামআ’হু ওয়া বাচারাহু তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সিজদা করছি। একমাত্র তোমার প্রতিই ঈমান এনেছি এবং তোমার কাছেই আত্মসমর্পন করেছি। আমার মুখমণ্ডল ঐ সত্ত্বার জন্য সিজদাবনত হয়েছে, যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন, সুসমন্বিত আকৃতি দিয়েছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা কত কল্যাণময়!
হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রুকু ও সিজদায় কখনো কখনো তাসবিহের সঙ্গে এ দোয়াটিও পড়তেন-
سبوح قدوس رب الملأ كة والروح
উচ্চারণ : ‘সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।’ (মুসলিম)অর্থ : ‘সকল ফেরেশতা এবং জিবরিলের প্রতিপালক অতিপবিত্র।’
-হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সিজদা করতেন তখন তিনি বলতেন
اللهم لك سجدت وبك آمنت و لك أسلمت سجدا وجهي للذي خلقه و صوره وشق سمعه تبارك الله احسن الخالقين
-উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাজি খালাকাহু ওয়া চাওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সামআ’হু ওয়া বাচারাহু তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সিজদা করছি। একমাত্র তোমার প্রতিই ঈমান এনেছি এবং তোমার কাছেই আত্মসমর্পন করেছি। আমার মুখমণ্ডল ঐ সত্ত্বার জন্য সিজদাবনত হয়েছে, যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন, সুসমন্বিত আকৃতি দিয়েছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা কত কল্যাণময়!
বিস্তারিত জানুনঃ-
شرح النووی علی مسلم: (197/4، ط: دار إحياء التراث العربي)
فیہ النہي عن قراء ةالقرآن في الرکوع والسجود وإنما وظیفة الرکوع التسبیح ووظیفة السجود التسبیح والدعاء فلو قرأ فی رکوع أو سجود․․․ کرہ ولم یبطل صلاتہ۔
সারমর্মঃ-
রুকু সেজদায় কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করা হতে নিষেধাজ্ঞা আছে।নিঃসন্দেহে সেখানে রুকু সেজদাহ এর তাসবিহ পাঠ করতে হবে। কেহ যদি নামাজের মধ্যে সেজদায় গিয়ে কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করে,সেক্ষেত্রে নামাজ মাকরুহ হবে।
তবে নামাজ বাতিল হয়ে যাবেনা
البحر الرائق: (34/1، ط: دار الکتاب الاسلامی)
وأشار المصنف إلی أنہ لا یأتي في رکوعہ وسجودہ بغیر التسبیحات، وما ورد في السنة من غیرہا فمحمول علی النوافل تہجدا أو غیرہ اھ، الدر المنتقی
সারমর্মঃ-
রুকু সেজদায় কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করা যাবেনা।
رد المحتار: (505/1، ط: دار الفکر)
لایأتی فی رکوعہ وسجودہ بغیر التسبیح الی قولہ ینہی عن القرأۃ فی الرکوع والسجود وعدم کونہ مسنوناً لا ینافی الجواز۔
সারমর্মঃ-
রুকু সেজদায় তাসবিহ ব্যাতিত কোনো কিছু তিলাওয়াত করা যাবেনা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেহ যদি নামাজের মধ্যে সেজদায় গিয়ে কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করে,সেক্ষেত্রে নামাজ মাকরুহ হবে।
তবে নামাজ বাতিল হয়ে যাবেনা।
উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে কুরআনের দোয়া মূলক আয়াত পড়লে কোনো সমস্যা নেই।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ সালাতের ৩য় বা ৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ভুলে বিসমিল্লাহ বা সূরা পড়ে ফেলতে নিলে যখন আয়াতের মাঝখানে বা বিসমিল্লাহ বলার মাঝখানে মনে পড়ে তখন আয়াত বা বিসমিল্লাহ শেষ করে রুকুতে যাবেন।
★দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসাকালীন দোয়ার বদলে ভুলে তাশাহহুদ পড়তে নিলে মাঝখানে মনে পড়লে তখন সাথে সাথে ২য় সেজদায় চলে যাবেন,শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন।
★সিজদায় ভুলে কিরাত পড়ে ফেলতে নিলে আয়াতের মাঝখানে মনে পড়লে সেক্ষেত্রে সেক্ষেত্রে নামাজ মাকরুহ হবে।
তবে নামাজ বাতিল হয়ে যাবেনা।