জবাবঃ-
ফরয গোসল করার সময় যদি কোনো কারনে বায়ু ত্যাগ হয় অথবা পেশাব বের হয় তখন আবার কুলি করা ও নাকে পানি দিতে হবেনা।
বিস্তারিতঃ-
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
গোসলের দ্বারা শরীর পাক হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত বায়ু বের হওয়া ও না বের হওয়ার কোন সম্পর্কই নেই। এর দ্বারা গোসলের মাঝে কোন প্রভাব সৃষ্টি করবে না। গোসলের ফরজ আদায় করে গোসল আদায় করলে গোসল আদায় হবে যাবে। বায়ু বের হওয়ার দ্বারা মানুষ হুকুমের দিক থেকে নাপাক হয়, শারিরিক দিক থেকে নাপাক হয় না।
"و لو ضرب یدیه فقبل أن یمسح أحدث لا یجوز المسح بتلک الضربة کما لو أحدث في الوضوء بعد غسل بعض الأعضاء الخ."
(الفتاوی الهندیة، کتاب الطھارة، الباب الرابع فی التیمم، الفصل الأول،26/1، ط: المطبعة الکبری الأمیریة، بولاق، مصر)
সারমর্মঃ-
যদি কাহারো তায়াম্মুম করার জন্য মাটিতে হাত মারার পর মাসাহ করার পূর্বেই অযু ভেঙ্গে যায়, তাহলে ওই হাত দ্বারা মাসাহ জায়েজ নেই। কারো যদি গোসলের কয়েকটি অঙ্গ ধোয়ার পর আবার অজু ভেঙ্গে যায় সেক্ষেত্রেও এমনটি হবে।
যদি গোসলের মাঝে ওযু ভেঙ্গে যায় তাহলে পুরোপুরি গোসল দ্বিতীয়বার করা আবশ্যক হবে না তবে গোসলের পূর্ণতার জন্য বাকি অঙ্গ গুলো ধোয়াই যথেষ্ট।
তদুপরি গোসলের মধ্যে ওযু ভেঙ্গে যাওয়ার পর যদি ওযুর অঙগুলো ধোয়া না হয় সেক্ষেত্রে গোসলের পর পুরোপুরি অজু করে নেওয়া আবশ্যক তবে যদি গোসলের মাঝে ওযু ভেঙ্গে যাওয়ার পর অজুর অঙ্গ গুলো ধোয়া হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে অযু করা জরুরী নয়।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় আপনার মনের সন্দেহ বলেই মনে হচ্ছে। সুতরাং এভাবে আপনার ফরজ গোসল হবে।
★গোসল শেষে টিস্যু দ্বারা পরিষ্কার করার সময় আপনি কি টিস্যুতে কোনো নাপাকি দেখেন?
যদি না দেখেন,সেক্ষেত্রে এই সন্দেহকে আর পাত্তা দিবেননা।
আর যদি সত্যিই টিস্যুতে নাপাকি দেখতে পান,সেক্ষেত্রে গোসলের পর টিস্যু দ্বারা উক্ত স্থান পরিষ্কার করে অযু করে নিবেন।