য়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
https://ifatwa.info/6115/ নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসএ্যাপ ইত্যাদিতে
চ্যাটিং-এর সময় বিভিন্ন ধরণের emoji ব্যবহারের বিধান: যদি
emoji
এর পূর্ণ অবয়ব তথা emoji তে ব্যবহৃত প্রাণীর মাথা,মুখ,চোখ,নাক,কান ইত্যাদি স্পষ্টভাবে বুঝা যায়,তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে না।কেননা এগুলো হাদীসে বর্ণিত
নিষিদ্ধ ছবির অন্তর্ভুক্ত।
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
আব্দুল্লাহ
ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
كُلُّ
مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ
فَيُعَذِِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ
প্রত্যেক ছবিনির্মাতা
জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি
ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে। (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)
ইবনে আব্বাস
রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عنﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ
ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ
আমি রাসূলুল্লাহ
ﷺ কে বলতে শুনেছি,তিনি বলেছেন,যে ব্যক্তি পৃথিবীতে
কোন প্রাণীর ছবি অঙ্কন করবে,কিয়ামত দিবসে উক্ত
অঙ্কিত প্রাণীর ভিতর রূহ প্রদানের দায়িত্ব তাকে দেয়া হবে।কিন্তু কস্মিনকালেও তা তার
জন্য সম্ভবপর হবে না। {সহীহ বুখারী-৫৬১৮}
যদি চোখ-মুখ
বা শারীরিক অবয়ব স্পষ্ট বুঝা না যায়, তবে এমন ইমোজি ব্যবহারে দোষ নেই। কেননা তা প্রাণীর হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয়। তারপরেও সব ছুরতেই এগুলোর ব্যবহার পরিত্যাগ করা উচিত।
এ সংক্রান্ত
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/6045/?show=6045#q6045