আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ উস্তায।
১.আজকাল বিভিন্ন রঙের বোরখা,দুই বা ততোধিক রঙের কনট্রাস্ট বোরখা যেমন হিজাব এক রঙের,নিকাব আরেক রঙের,বোরখা আরেক রঙের,নয়তো ডিজাইন করা অন্য রঙের শেডের কাপড় এবং লেজ দিয়ে,এগুলো যদি ঢিলেঢালাও হয়,তবুও কী পর্দা হবে?
২.সালাত খিমার/নন মাহরাম খিমার নামে এখন বিভিন্ন রঙের কারুকার্য খচিত লেস লাগানো প্রিন্টের বোরখা,খিমার সেট পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে বাসার মধ্যে গাইরে মাহরামের সাথে পর্দা রক্ষা করা হয় এবং বাহিরেও পরিধান করা হয়।এই যে মেয়েরা এই কাজ করা প্রিন্টের রঙচঙা লেস লাগানো বোরখা খিমার পড়ে বাহিরে যায়,গাইরে মাহরামের সামনে পরিধান করে,এতে কী পর্দা হয় যদিও তা সতর ঢাকে, ঢিলেঢালা পোশাক হয়?
৩.আমি অক্ষম এবং মাজুর নারী। মেরুদন্ড ভেঙে যাওয়া এবং বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে প্যারালাইজড। বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে ওয়াকার,পায়ের জন্য বানানো বিশেষ ডিভাইস ও জুতা,ডাবল স্টিক নিয়ে কোনোরকমে নির্ভরশীল জীবন যাপন করি,একা একা তেমন কিছুই করতে পারিনা,খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও অন্যের মুখাপেক্ষী জীবন।আল্লহর রহমতে আমার বিয়ে হয়েছে আড়াই বছর আগে।
আমি সর্বোত্তম পর্দা করার চেষ্টা করি হুইলচেয়ার থাকা অবস্থায় থেকেই, কিন্তু এখন বিভিন্ন অসুস্থতা ও দূর্বলতার কারণে,শক্তি কমে যাওয়ায় আমার পক্ষে খুবই কষ্ট হয় এবং দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে,পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে,বোরখা হিজাব ব্যালেন্স করতে পারিনা,সহজে নড়াচড়া করতে পারিনা।হাতমোজা আগে পড়লেও এখন হাত পিছলে যায়, পা মোজা পড়তে ডাক্তার নিষেধ করেছে ডিভাইসের কারণে,পায়ের নিচে বোরখা আটকে যায়, হাঁটতে গিয়ে ব্যালেন্স করতে পারিনা, আমার পায়ের কদম দেখতে পাইনা,রাস্তা দেখতে পাইনা, খুবই ভয়ে চলতে হয়।
আমার জানামতে পর্দা করা আমার জন্য ফরজ নয়, আমার জন্য ছাড় রয়েছে।
এক্ষেত্রে আমি কী করতে পারি, আমার করণীয় কী?