ID disabled kore dewa jayej hobe ki na

Question

আসসালামু আলাইকুম।
গতোকাল আমার এক ব্যাচমেট গ্রুপে জানায় যে ওর ছবি ব্যবহার করে কেও একজন ফেসবুক আইডি খুলছে এবং সে আইডিতে যেন আমরা রিপোর্ট করি এরকমটা বলছে।এবং এটাও বলছে যে ফেইক আইডিটা কে খুলেছে সেটা ও জানে। এবং যে খুলেছে সে চমাদের ব্যাচেরই একজন
আমি ওকে বলি যে সাইবার মামলা করতে,তাহলে এভিডেন্স সহ ধরা পড়বে।আমি তখনও সে ফেইক আইডি দেখিনি । তার অনেক পরে আমি লিংকে ক্লিক করি এবং দেখি আইডিতে From এবং Lives in আমার District দেয়া,আর আমাদের ব্যাচে আমার ডিসট্রিক্টের আমি একাই ।আমি তো দেখে পুরাই থ হয়ে গিয়েছিলাম। আবার কয়েকদিন ধরে স্বপ্নেও দেখি কেও একজন আনার নামে মিথ্যা বলছে । সব মিলিয়ে মনে হলো আমাকে ইঙ্গিত করছে ও।
এইদিকে আমি ফেসবুকই চালাইনা ধরতে গেলে।বছরে ৪-৬ মাসই ডিএক্টিভেট করে রাখি।এইমাসের শুরুতে আমি ফেসবুকের যে দায়িত্বে ছিলাম সেখান থেকে লিভ নিয়ে আইডি ডিএক্টিভ করে দেই।কারন আমি প্রয়োজনে ফেসবুকে গেলেও প্রপারলি কন্ট্রোল করতে পারিনা নিউসফিড এস্ক্রোল করে ফেলি।তারমধ্যে এরকম একটা অবস্থা করতেছে আল্লহর বান্দিগুলান।
নিশ্চয়ই খারাপ উদ্দেশ্যে ফেইক আইডি খুলে এমন কিছু করছে যেটা মনে হবে যেন আমি করেছি।
আমি একজন সাইবার টিমের প্রতিনিধির সাথে কথা বলি, সে গতোকাল সে আইডি দেখার চেষ্টা করে। এবং যখন তারা চেষ্টা করে আনার ব্যাবমেটের কাছে নোটিফিকেশন গেলে সাথে সাথে প্রফাইল পিক চেঞ্জ করে, তার পরে আবার অন্য একটা মেয়ের ছবি দেয় এবং পরে ডিসট্রিক্ট কেটে দেয়।সাইবার টিমের প্রতিনিধি আমাকে জানায় যে আইডি কোন ডিভাইস দিয়ে,কোন লোকেশন থেকে চালানো হচ্ছে সেটা প্রাশাসনের লোকজন ছাড়া তারা জানতে পারবে না।তারা শুধু পারবে আইডি নষ্ট করে দিতে।

এখন আমার প্রশ্ন -
১. আইডি নষ্ট করে দেয়া আমার জন্য কী জায়েজ যেহেতু আইডিতে বেপর্দা মেয়োদের ছবি দেয়া? আইডি দিয়ে কী কী অকাজ কুকাজ করছে আল্লহ মালুম।

আল্লহর বান্দাকে যদি আল্লহ কোনোদিন হিদায়াত দেয় তখন এই বেপর্দা ছবির জন্য তো গুনাহগার হবে আফসোসও হবে হয়ত।আমি নষ্ট করে দিলে আর চালাতে পারবে না।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

الضَّرُورَاتُ تُبِيحُ الْمَحْظُورَاتِ

 وَمِنْ ثَمَّ جَازَ أَكْلُ الْمَيْتَةِ عِنْدَ الْمَخْمَصَةِ، وَإِسَاغَةُ اللُّقْمَةِ بِالْخَمْرِ، وَالتَّلَفُّظُ بِكَلِمَةِ الْكُفْرِ لِلْإِكْرَاهِ  وَكَذَا إتْلَافُ الْمَالِ، وَأَخْذُ مَالِ الْمُمْتَنِعِ الْأَدَاءِ مِنْ الدَّيْنِ بِغَيْرِ إذْنِهِ وَدَفْعُ الصَّائِلِ، وَلَوْ أَدَّى إلَى قَتْلِهِ (غمز عيون البصائر شرح الأشباه والنظائر ج:١ ص:٢٧٥)

জরুরত অনেক অবৈধ ও হারাম জিনিষকে মুবাহ করে দেয়। যেমন, ক্ষুধায় মরণাপন্ন অবস্থায় পতিত ব্যক্তির জন্য মৃত জিনিষ বা মদ খাওয়াও জায়েয। অপারগ ও মজবুরি অবস্থায় কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করা জায়েয। মাল ধ্বংস করাও জায়েয। তাছাড়া কারো নিকট পাওনা থাকলে, সেই পরিমাণ মাল তার অনুমতি ব্যতিত তার কাছ থেকে নিয়ে আসাও জায়েয। সন্ত্রাসকে প্রতিহত করা জায়েয।এমনকি তাকে হত্যা করা ব্যতিত নিজেকে বাঁচানো সম্ভব না হলে, তখন তাকে হত্যা করাও জায়েয। (আল আশরাহ ওয়ান-নাযায়ির-১/২৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনি নিজেকে বাঁচাতে নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে বিশেষ জরুরতের দরুণ আইডি ডিজেবল করতে পারবেন।