ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লামা সারখাসী রাহ লিখেন,
وليس على النساء خروج في العيدين وقد كان يرخص لهن في ذلك فأما اليوم فإني أكره ذلك يعني للشواب منهن فقد أمرن بالقرار في البيوت ونهين عن الخروج لما فيه من الفتنة
ঈদের নামাযে মহিলারা ঈদগাহে যেতে পারবে না।পূর্বে তাদের অনুমতি ছিলো,কিন্তু বর্তমান ফিতনার জামানায় মহিলাদের জন্য ঈদগাহে যেয়ে ঈদের নামায অপছন্দনীয়।এখন তাদেরকে ঘরে অবস্থানের আদেশ দেয়া হবে।ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ করা হবে।কেননা ঘরের বাহিরে ফিতনা রয়েছে।(মাবসুত-সারখাসী-২/৪১)
শুধুমাত্র মহিলারা কি জুমুআহ এর নামায পড়তে পারবে?উত্তরে বলা যায় যে,পুরুষ ব্যতীত শুধুমাত্র মহিলাগণ জুমু'আহ এবং ঈদের নামায পড়তে পারবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া, ৪/১৫৩) (শেষ)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' বা পরবর্তী যুগে নারীরা কখনো দ্বীন প্রচারের জন্য এভাবে ঘর থেকে বের হতেন না। সুতরাং এরকম দ্বীন প্রচারে নিমিত্বে ঘর থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ নারীদের জন্য নাই বললেও চলে। বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষ কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দাওয়াত ও তাবলীগের জন্য নারী পুরুষকে কোনো বাড়ীতে একত্রিত করা যদি মধ্যখানে পর্দার সাথেই হোক না কেন, ফুকাহায়ে কেরাম নিরুৎসাহিত করে থাকেন। হ্যা, মজলিস শেষে খাবারের আয়োজন নিন্দনীয় হবে না।