ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শর্তের মাধ্যমে তালাক প্রদাণের জন্য নিম্নোক্ত হরফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যথা-
(১)إنْ-যদি
(২)إِذَا-যখন
(৩)إِذْمَا-যখন
(৪)كُلُّ-সব
(৫)كُلَّمَا-যখনই
(৬)مَتَى-যখন
(৭)مَتَى مَا-যখন
বাক্যর প্রারম্ভে এ সকল শব্দ প্রয়োগ করে কোনো কাজের সাথে সম্পর্কিত করে তালাক প্রদাণ করলে যখনি উক্ত শর্ত পাওয়া যাবে,তখন তাৎক্ষণাৎ তালাক পতিত হয়ে উক্ত শর্তযুক্ত বাক্য বিনষ্ট হয়ে যাবে।পরবর্তীতে একাজের পূনরাবৃত্তি ঘটলে আর তালাক পতিত হবে না।তবে শুধুমাত্র ৫ নং বাক্য এর বিপরিত।এটা ব্যবহার করলে যখনই শর্ত পাওয়া যাবে তখনই তালাক পতিত হতে থাকবে।যতক্ষণ না উক্ত বিয়ে বন্ধন শেষ হচ্ছে।শরীয়া মোতাবেক দ্বিতীয়বার উক্ত স্বামী উক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করলে তখন আর তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1237
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের পর সহবাস বা খালওয়াতে সহীহা হওয়ার আগে স্ত্রীর উপর শর্তযুক্ত তালাক দিলে, যদি তালাকের সংখ্যা উল্লেখ করা না হয়,তাহলে সর্বনিম্ন হিসেবে এক তালাকই পতিত হবে। সুতরাং হাজবেন্ড যদি এভাবে বলে - "অমুক কাজ করলে তালাক"। কোনো সংখ্যার উল্লেখ ছাড়াই, তাহলে এক তালাক পতিত হবে। এবং সহবাস বা খালওয়াতে সহীহার পূর্বে হওযার কারণে এক তালাক বায়েন হিসেবে বিবেচিত হবে।
আবার নতুন করে বিয়ে পড়ালে সেই শর্তযুক্ত তালাক আর কায়েম থাকবে না।