আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহু উস্তাজ। কোন মহিলার যদি পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে মাঝে একদিন বা এরবেশি সময় রক্তপাত না হয়, তার যদি সাদাশ্রাবও না যায় এমনকি  তিনি সুস্থ হয়েছেন এমন আলামত পাওয়া না গেলে  তখন উনি কি সালাত আদায় করবেন?পিরিয়ডকালীন সময়ে উক্ত মহিলার প্রায়ই মাঝে একদিন বা এরবেশি সময় রক্তপাত বন্ধ থেকে পরে আবার শুরু হয়( উনার এই সময়টাতে সাদাশ্রাব যায় না কিন্তু অতি অল্প পরিমাণ পানির ন্যায় তরল জেলি জাতীয় মিউকাস দেখা যায় মাঝে মধ্যে যেটা সাদাশ্রাব নয়, ডাক্তারগণের মাধ্যমে কনফার্ম এই বিষয়ে, এই মিউকাসে অনেক সময় অতি সামান্য রক্তের রেখা দেখা যায় আবার অনেক সময় দেখা যায় না)।এক্ষেত্রে তিনি অনেকসময়  সালাত কাজ্বা হওয়ার ভয়ে রক্তপাত বন্ধের সময়ে সালাত আদায় করে থাকেন কিন্তু  পরে দেখা যায় আবার রক্তপাত শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য বিষয় হলো এই রক্তপাত বন্ধের সময়টা হয় পরিয়ডের ৩য়/৪র্থ দিনে এবং ৫ম/৬ষ্ঠ দিন থেকে আবারোও সামান্য বা মিডিয়াম রক্তপাত হয়ে থাকে। এরূপ অবস্থায় করণীয় কি যদি জানাতেন মুনাসিব হতো উস্তাদ।উক্ত মহিলা কি সাদাশ্রাব আসা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে সালাত আদায় করে ফেলবে নাকি পরে সালাত ক্বাজা করবে উস্তাদ? এখন এই ব্যাপারটা উনার প্রায়সময়ই হয় তাহলে কি উনি মাঝের সময়ে সালাত আদায় করবে না উস্তাদ? উস্তাদ কোনমাসে যদি উনার আর রক্তপাত নাহয় তাহলে কি মাঝের সময়টার সালাতগুলো ক্বাজা করবে,এক্ষেত্রে কি সালাত ক্বাজা করার গুনাহ হবে উস্তাদ ? উনি তো জানেন না যে উনার পরে রক্তপাত হবে কি নাকি হবে না আর উনার অভ্যাসবশত পিরিয়ডকালীন সময় হলো ৬-৭ দিন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কোন মহিলার পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে মাঝে একদিন বা এর চেয়ে বেশি সময় রক্তপাত না হয়, এবং তার সাদাশ্রাবও না যায়, তাহলে তার আদত বা অভ্যাস যতদিন কিংবা সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত হায়েয গণ্য হবে।মাঝে যে এক বা দুইদিন রক্তস্রাব বন্ধ ছিলো, সেই সময়টাকে হায়েয হিসেবেই গণ্য করা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...