ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য ইজাব কবুল হওয়া শর্ত। ইজাব কবুলের মধ্যে একটি অতীতকাল বাচক এবং অন্যটি বর্তমান বা ভবিষ্যত কাল বাচক হলেও বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। উভয়টি অতীতকাল বাচক হওয়া শর্ত নয়। যে কোনো একটি অতীতকাল বাচক হলেই বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
لما في الفتاوي الهندية ج ١- ص:٢٧٠
ينعقد بالإيجاب والقبول وضعا للمضي أو وضع أحدهما للمضي والآخر لغيره مستقبلا كان كالأمر أو حالا كالمضارع،
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দু'জন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দু'জন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী)র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2679
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুজন সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হওয়ার নামই হল আকদ। মূলত বিয়ে এই আকদের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। কাবিন নামা হল, এই মৌখিক আকদের লিখিত রূপ।
পাত্র পাত্রী মুখে কিছু না বলে, যদি কোনো প্রকার চাপে না পড়ে বরং নিজেদের সন্তুষ্টিতে কাবিন নামায় শুধুমাত্র দস্তখত করে থাকেন, তাহলে সহজতার স্বার্থে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার ফাতাওয়া প্রদাণই মুনাসিব হবে।তথাপি সতর্কতামূলক বিয়েকে দোহড়িয়ে নেওয়াই উত্তম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/80073
সুতরাং
(১) আকদ পরে করিয়ে এখন শুধু কাবিন নামা করালে, সতর্কতামূলক এই অবস্থায় পাত্র-পাত্রীর জন্য কথা না বলাই মুনাসিব।
(২) আকদ কাবিন সব করিয়ে নেয়ার পর ২-৩ মাস পিত্রালয়ে থাকাকালীন সময়ে যদি স্ত্রী না চায় যে, তার স্বামী শ্বশুর বাড়িতে বারবার আসুক (দৃষ্টিকটু লাগে এ জন্য)। এক্ষেত্রে স্বামীকে কষ্ট দেয়ার কারণে কোনো গুনাহ না হলেও বিষয়টা সম্পূর্ণ অনুচিত।