আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ..আমি এসএসসি ২৪ অর্থাৎ এইচএসসি ২৬।বর্তমানে একটা মহিলা কলেজে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে আছি-গ্রুপ সায়েন্স,সেখানে পুরাপুরি সাদা বোরখা,সাদা হিজাব এমনকি নিকাবও সাদা পড়তে হয়।আমার প্রশ্নসমূহ-

১.সাদা যেহেতু অত্যন্ত শুভ্র তবং আকর্ষণীয় এতে করে কি আমার শরীয়া পর্দা সম্পূর্ণ হবে?কলেজে পুরুষ টিচার আছেন এবং পুরুষ টিচারের সাথে প্র্যাকটিকাল ক্লাস বিষয়ে কথাও বলতে হয়।কিন্তু রাস্তায় যাতায়াতের সময় আমি কালো বোরখা পড়ি কলেজে গিয়েই সাদা পড়ি।

২.আমার কলেজ বাসা থেকে মোটামুটি দূরে,দূরত্ব ১০০ টাকার ভাড়া...যাওয়া আসাতে নজর হেফাজতে অক্ষম হয়ে পড়ি চোখের যিনা,অন্তরের যিনা লাগাতার হয়েই যাচ্ছে, এর সাথে সুদর্শন পুরুষ চোখে পড়লে খুব বেশি ফেতনা হয়ে যায়! এই অবস্থায় জেনারেল লাইনে পড়াশোনা টা আমার জন্য জায়েজ হবে?উল্লেখ্য আমার পরিবার চান আমি এইচএসসি পর্যন্ত পড়ি।এছাড়া আমাদের ক্লাসে ১৫০ এর অধিক মেয়ের মাঝে আমিসহ শুধুমাত্র  ৩ জন শরীয়া পর্দা করি আলহামদুলিল্লাহ, তাই প্রচুর ফেতনার আশংকা থাকে সহবতে খুব বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ি হারামে আগ্রহ আসে।

৩.আমি কোচিং-এ না পড়লেও অনলাইনে ক্লাস করি সেক্ষেত্রে কন্ঠ কিংবা অন্য কোনো পর্দা লঙ্ঘন হয় না কিন্তু আমার নজর হেফাজত হয়না এই পড়া কি আমার জন্য জায়েজ?এই ক্লাস করার জন্যই ফেসবুকে একাউন্ট খুলেছি একাউন্টে কিছু না থাকলেও আমি নিজে প্রচুর ফেতনায় পড়ছি।

৪.সর্বোপরি আমি চাচ্ছি এখানেই আমার জেনারেল লাইনের পড়াশোনা ছেড়ে দিতে শুধু মাত্র নিজেকে পবিত্র রাখতে এবং কতিপয় যিনা থেকে বাঁচতে,আমার আম্মি অসুস্থ তাকে খিদমাতের একটা ব্যাপার আছে পড়াশোনার জন্য দেখা যায় আম্মির হক আদায় হচ্ছে না এতে আমার জন্য কোনটা যরুরত,পড়ালেখা নাকি আম্মির খিদমাত?আমি দ্বীনি বিভিন্ন বিষয়ে কোর্সভিত্তিক অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক ইনশাআল্লাহ।
৫.আমি আলহামদুলিল্লাহ ইস্তেখারা এবং ইস্তেশারা করেছি, যারা জেনারেল লাইনে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছেন, আমার অবস্থা শুনে তারা যত দ্রুত সম্ভব এর থেকে বের হয়ে আসতে বলেছেন,কিন্তু যারা এখনো এর মাঝে আছেন তাদের পরামর্শ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াটা অপ্রয়োজনীয় কিছু না এটাও জরুরী আমার প্রশ্ন আমার জীবনে কোন ক্ষেত্রে আমি এই জ্ঞান ব্যবহার করতে পারবো?আমি একদমই এই পড়াশোনা আর চালিয়ে যেতে চাই না আমার ইমান আমাল এর খুবই বাজে অবস্থা, এমনকি যেদিন কলেজ যাই সেদিন ৮ টায় গেলে ২.৩০ টায় আসি শরীর প্রচন্ড ক্লান্ত লাগে দেখা যায় আমার ফরজ ইবাদাত ও করা হয়ে ওঠেনা।

৬.আমি পরিবারকে কীভাবে বুঝাবো আমার অন্ততের গুনাহের কথা?আমার জন্য জেনারেল পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়াই কি সর্বোত্তম নয়?

আমি খুবই পেরেশানি ও হতাশা থেকে প্রশ্ন গুলো করেছি,অনেকগুলা প্রশ্ন হয়ে গেসে আফওয়ান আমায় মাফ করবেন।দয়া করে আমাকে একজন অসহায় আল্লাহর বান্দী মনে করে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর  দিয়ে সহযোগীতা করুন।আমার এখানে কোনো আলেম বা মুফতি নেই যাকে জিজ্ঞেস করে আমি পরামর্শ নিব,মাসজিদের ইমাম আছেন কিন্তু তাদেরকে প্রশ্ন না সম্ভব নয়। অগ্রিম জাযাকাল্লাহু খাইরান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আপনাদের এই প্রচেষ্টা  কবুল করে নিন আমিন ইয়া রব্বুল আল আমিন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাধারণত ফুকাহায়ে কেরামগণ যেসব শর্তে জেনারেল শিক্ষার অনুমোদন দিয়ে থাকেন, সে সব শর্ত আপনার বর্ণিত পরিস্থিতিতে অনুপস্থিত। তাই আপনি হয়তো পর্দাসম্মত দ্বীনি পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের অনুকূলীয় কোনো নার্সিং কলেজ খুজে বের করে তাতে ভর্তি হবেন।নতুবা এই শিক্ষা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন। আল্লাহ আপনার জন্য বিষয়গুলো সহজ করে দেউক। আমীন।চুম্মা আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...