আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

উস্তাদ আমার জন্য একটা প্রবাসী পাত্রের প্রস্তাব এসেছে। তারা পুরো পরিবার ইংলেন্ডে থাকে। এবং পাত্র ইংলেন্ডে জন্ম সেখানেই বড় হয়েছে। পাত্র দ্বীনদার বলেছে, ইংলেন্ডে কোনো মাদ্রাসায় পড়ে,, তার পরিবার ও নাকি দ্বীনদার।  ঘন ঘন তাবলীগে অর্থাৎ দাওয়াতি কাজে অংশ নেয়। প্রাথমিক আলোচনার পর ওরা বলেছে আমার ওখানে দ্বীন মেনে চলতে কোনো অসুবিধা হবে না।  যেহেতু তারা দ্বীন মেনে চলে। এখন পাত্রের মা আমার ছবি চাচ্ছে।  উনারা বলেছে পাত্রের বোন বা মায়ের মোবাইলে আমার কিছু ছবি দিতে দেখার জন্য।  ছবি তাদের মহিলা ও পাত্র ছাড়া অন্য কেউ দেখবে না। আর যেহেতু উনারা বিদেশে থাকেন তাই দেশে এসে যদি পছন্দ না হয় আবার ফেরত যেতে হবে সেটা অনেক ঝামেলার।
বর্তমানে ওয়াট্সএপ এ ছবি এমন ভাবে পাঠানো যায় যে একবার দেখার পর সেটা অটোমেটিক ডিলেট হয়ে যায়। ২য় বার আর দেখা যায় না।  তাই আমি এই অবস্থায় কি পাত্রের মা/বোনের মোবাইলে এইভাবে ছবি দিতে পারবো তারা একবার দেখার পর সেটা অটোমেটিক ডিলেট হয়ে যাবে। যেহেতু তারা বলেছে ছবি মহিলা ছাড়া আর কাউকে দেখবে না বলেছে। দেখার সুযোগ ও থাকবে না ছবিগুলো একবার ই দেখা যাবে আর এভাবে ছবি দিলে স্ক্রিনশট ও নেওয়া যায় না।  ওনাদের পক্ষে দেশে এসে পাত্রী দেখাও সম্ভব না একেবারে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন তাই। আমাকে একটা উত্তম পরামর্শ দিবেন ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/92183/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে পাত্রিকে দেখা জায়েজ আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ    

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّىْ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِى اعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا».

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে) তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে। (মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৪৬, আহমাদ ৭৮৪২, সহীহাহ্ ৯৫ মিশকাত ৩০৯৮।)


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ الْمَرْأَةَ فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلٰى مَا يَدْعُوهُ إِلٰى نِكَاحِهَا فَلْيفْعَلْ»

জাবির রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে, আর যদি তার পক্ষে এমন কোনো অঙ্গ দেখা সম্ভব হয় যা বিবাহের পক্ষে যথেষ্ট, তখন তা যেন দেখে নেয়।  (আবূ দাঊদ ২০৮২, সহীহাহ্ ৯৯, আহমাদ ১৪৫৮৬, ইরওয়া ১৭৯১, সহীহ আল জামি‘ ৫০৬।)


ইসলামে পাত্র-পাত্রীর সরাসরি দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে, ছবির মাধ্যমে নয় । কারণ- একে তো বিনা প্রয়োজনে ছবি তোলা, ব্যবহার ও আদান-প্রদান শরীয়তে নিষিদ্ধ । তাছাড়া ছবিতে বাস্তব অবস্থা পুরোপুরি যাচাই সম্ভব নয় । অধিকন্তু পাত্রের নিকট ছবি পাঠানোর দ্বারা বারবার তার জন্য বেগানা নারীকে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়। যেটি নাজায়েজ।


অথচ বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্র পাত্রীকে বারবার দেখার বৈধতা নেই । তাছাড়াও এ ছবি পাত্র ব্যতীত অন্যকোন পুরুষও দেখতে পারে ।

অথচ শরীয়তের দৃষ্টিতে তা জায়িয নয় । এ সকল কারণে ছবির মাধ্যমে পাত্রী দেখা বা পাত্রীর ছবি পাত্রের নিকট পাঠানো ইসলামের

দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ।{সূত্রঃ রদ্দুল মুখতার, ৬ : ৩৭০}


বিস্তারিত জানুনঃ-

https://ifatwa.info/5061/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার জন্য ছবি দেয়াই জায়েজ হবে না। ছবি দিলে আপনারও গুনাহ হবে। তাদেরকে এভাবে বলা যেতে পারে যে, যখন দেশে আসবেন তখন এসে সরাসরি দেখবেন। আর যদি ছেলে বিদেশে থাকতে উকীল বানানোর মাধ্যমে বিয়ে করতে চান তাহলে একান্ত চাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।

আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ছেলে সম্পর্কে অবশ্যই আরো খোঁজ-খবর নিবেন। কারণ, ঐসব দেশের দ্বীনদার বুঝাতে ও আমাদের দেশের দ্বীনদারের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। কারণ, ঐসব দেশে অনৈতিক কাজ রাস্তা ঘাটেই হয়ে থাকে।

অমুসলিম দেশে যাওয়ার বিধান সম্পর্কে জানুন  - https://ifatwa.info/100633/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...