ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/92183/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে পাত্রিকে দেখা জায়েজ আছে।
□ হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ
قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّىْ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ
قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِى اعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا».
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী
নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে)
তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে। (মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৪৬, আহমাদ ৭৮৪২, সহীহাহ্ ৯৫ মিশকাত
৩০৯৮।)
□ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ جَابِرٍ قَالَ :
قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ الْمَرْأَةَ فَإِنِ
اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلٰى مَا يَدْعُوهُ إِلٰى نِكَاحِهَا فَلْيفْعَلْ»
জাবির রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব
দেবে, আর যদি তার পক্ষে এমন কোনো অঙ্গ দেখা সম্ভব হয় যা বিবাহের পক্ষে
যথেষ্ট, তখন তা যেন দেখে নেয়। (আবূ দাঊদ ২০৮২, সহীহাহ্ ৯৯, আহমাদ ১৪৫৮৬, ইরওয়া ১৭৯১, সহীহ আল জামি‘ ৫০৬।)
□ ইসলামে পাত্র-পাত্রীর সরাসরি দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে, ছবির মাধ্যমে
নয় । কারণ- একে তো বিনা প্রয়োজনে ছবি তোলা, ব্যবহার ও আদান-প্রদান শরীয়তে নিষিদ্ধ । তাছাড়া ছবিতে
বাস্তব অবস্থা পুরোপুরি যাচাই সম্ভব নয় । অধিকন্তু পাত্রের নিকট
ছবি পাঠানোর দ্বারা বারবার তার জন্য বেগানা নারীকে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়। যেটি নাজায়েজ।
অথচ বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্র পাত্রীকে বারবার দেখার বৈধতা নেই । তাছাড়াও এ ছবি পাত্র
ব্যতীত অন্যকোন পুরুষও দেখতে পারে ।
অথচ শরীয়তের দৃষ্টিতে তা জায়িয নয় । এ সকল কারণে ছবির মাধ্যমে
পাত্রী দেখা বা পাত্রীর ছবি পাত্রের নিকট পাঠানো ইসলামের
দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ।{সূত্রঃ রদ্দুল মুখতার, ৬ : ৩৭০}
বিস্তারিত জানুনঃ-
https://ifatwa.info/5061/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার জন্য ছবি দেয়াই জায়েজ হবে না। ছবি দিলে আপনারও গুনাহ হবে। তাদেরকে এভাবে বলা যেতে পারে যে,
যখন দেশে আসবেন তখন এসে সরাসরি দেখবেন। আর যদি ছেলে বিদেশে থাকতে উকীল বানানোর
মাধ্যমে বিয়ে করতে চান তাহলে একান্ত চাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।
আর প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ছেলে সম্পর্কে অবশ্যই আরো খোঁজ-খবর
নিবেন। কারণ, ঐসব দেশের দ্বীনদার বুঝাতে ও আমাদের দেশের দ্বীনদারের মধ্যে অনেক পার্থক্য
আছে। কারণ, ঐসব দেশে অনৈতিক কাজ রাস্তা ঘাটেই হয়ে থাকে।
অমুসলিম দেশে যাওয়ার
বিধান সম্পর্কে জানুন - https://ifatwa.info/100633/