ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
ভালো নাম রাখা পিতা-মাতার
সর্বপ্রথম দায়িত্ব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস
রা. ও আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من
حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.
অর্থ : সন্তানের সুন্দর
নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। (মুসনাদে বাযযার,আলবাহরুয যাখখার-৮৫৪০)
عَنْ
أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
إِنَّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ
آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ
আবূ দারদা (রাঃ) সূত্রে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন তোমাদেরকে,
তোমাদের ও তোমাদের পিতাদের
নাম ধরে ডাকা হবে। তাই তোমরা তোমাদের সুন্দর নামকরণ করো। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৯৪৮,
সুনানে দারিমী, হাদীস নং-২৭৩৬,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৮২৭]
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শে'ফা প্রদাণকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা। বান্দা কখনো শে'ফা প্রদাণকারী হতে পারে
না। ইয়াশফি অর্থ সে শে'ফা প্রদাণ করছে বা করবে। সুতরাং এই অর্থের নাম ইয়াশফি না রাখাই ভালো ও উত্তম।
অতএব
ভুলবশত উক্ত নাম রাখাতে গুনাহ হবে না। ফেয়েল হিসেবে যেহেতু উক্ত নামে উপরিল্লিখিত প্রবলেম
চোখে পড়ছে তাই ইখতিলাফ থেকে বেঁচে থাকার জন্য উত্তম হবে নামটি পরিবর্তন করে দেওয়া।
তবে মানুষকে উক্ত নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে অবগত করার পরও যদি কেউ উক্ত নামে ডাকে
তাহলে এতে আপনার বোনের গুনাহ হবে না।