আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহ।

একজন বোন তিনি তওবা করেন আল্লাহ কাছে ওয়াদা করেন আর এসব গল্প পড়বেন না। ফেসবুকে কোন গল্পই তিনি পড়বেন না এটা ওয়াদা করেন।
এর পরে অনেক দিন বিরত থাকেন। তারপর কয়েকদিন ইসলামিক গল্প ফেসবুকের আবার পড়েন তবে এগুলা তে অশ্লীলতা ছিলো না। আবার তওবা করেন আবার পড়েন
এখন কি উনার গুনাহ হবে। যেহেতু আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেন।

এখন প্রশ্ন হলো: উনি কি ফেসবুকের ইসলামিক উপন্যাস যেগুলাতে  অশ্লীলতা নেই। এইগুলা পড়লেও কি গুনাহগার হবেন যেহেতু আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছেন আর কোনো গল্প পড়বেন না। উনি কি কোনো ধরনের গল্প আর পড়তে পারবেন না?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার পূরণ করা ওয়াজিব।

 পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে, 
يا ايها الذين امنوا اوفوا بالعقود
'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত : ১)
الا الذين عاهدتم من المشركين.....

তবে যেসব মুশরিকের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, পরে তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সেই চুক্তি তোমরা মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবা, আয়াত ৪)
,
ওয়াদা (চুক্তি) পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার জানা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার সেই বোন যেহেতু ওয়াদা করেছেন যে ফেসবুকে কোন গল্পই তিনি আর পড়বেননা।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার ওয়াদা খেলাফির গুনাহ হবে।
এক্ষেত্রে তওবা করে নিতে হবে।

★এখন তিনি নিম্নোক্ত শর্তের ভিত্তিতে ফেসবুক বা অন্যত্র হতে গল্পের বই পড়তে পারবেনঃ-

কল্পকাহিনী,গল্পের বই, উপন্যাস এর বই পড়া জায়েজ, তবে শর্ত হচ্ছে দুটি। 

প্রথমত, অশ্লীল ও যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন কিছু হতে পারবে না। কারণ, এগুলো পড়লে এর মাধ্যমে আপনি নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবেন। অনেক গল্প আছে, যেগুলোতে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য অনৈতিক কথাবার্তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

দ্বিতীয়ত, বিষয় হচ্ছে, ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের কোনো বিষয় যদি সেখানে এসে যায়, তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে। যেমন শিরক শিক্ষা দিচ্ছে, যৌনতার শিক্ষা দিচ্ছে, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছে, যদি এমনি কিছু সেখানে থাকে, তাহলে সেগুলো পড়বেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
উনি ওয়াদা করেছেন ফেসবুকের কোনো গল্প/ উপন্যাস  পড়বেন না। 
পরে উনি যদি জায়েজ উল্লিখিত  শর্ত  অনুযায়ী ইসলামিক ভালো গল্প/ উপন্যাস পড়েন তহলে কি আল্লাহ সাথে ওয়াদা ভংগ করা হবে।    
by
তিনি ফেসবুকের সকল প্রকার গল্প না পড়ার ওয়াদা করেছেন।

এখন শর্ত মোতাবেক জায়েজ গল্প পড়লে ও কি ওয়াদা ভংগ হবে? কবিরা গুনাহ হবে? 
by (574,050 points)
এক্ষেত্রে ওয়াদা ভঙ্গের গুনাহ হবে।
তাকে তওবা করতে হবে।
এরপর হতে এধরণের জায়েজ গল্প পড়লে আর কোনো সমস্যা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...