আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
আজকে স্বপ্ন দেখি আমি আর আমার এক কাজিন পুকুরে সুন্দর ক্লিন পানি দেখে সাতার কাটতেছি।পুকুরের এক পাশ থেকে অন্যপাশে যাচ্ছি ৫-৭ পদ্ধতিতে সাঁতার কেটে কেটে।খুব খুশি প্রশান্তি ফিল করতেছিলাম।সাঁতার কাটছিলাম আমাদের মাঝারি সাইজের একটা পুকুরে।আমার কাকি ঘাটে দাড়িয়ে দেখছিলেন, প্রশংসা করছিলেন।পুকুরটা ছিলো রাস্তার পাশের একটা পুকুর।তো একটা কোনো ১ হাতের মতো ফাকা যেখান দিয়ে দেখা যায় পুকুরের ঘাট।তো আমি ভাবছি আজকে জুমুআা।একটু পর লোকজন আসবে হয়ত দেখে ফেলবে।চল আমরা উঠে যাই।আর ফাকা জায়টিতে কিছু দিতে হবে যাতে দেখা না যায়।

এরপর স্বপ্নে দেখি জুমুআর নামাজ পড়ে আমার আব্বা ভাইয়া।আমরা দূরে কোথাও গিয়েছি।তো সেখান থেকে আমি বাসায় আসব।একটা অটো ঠিক করেছি যিনি ২২০ টাকায় আমাদের বাড়ি নিয়ে আসবে।এক পর্যায়ে জ্যাম পড়ায় অন্য রাস্তায় আসি কিছু কিনতে,তখন এক লোককে জিজ্ঞেস করলে সে বলে ৫০০ টাকার নিচে যাবে না।আমি ভাবলাম ঐ লোক এতো কম টাকায় নিবে কেন সে কী পথ চিনে না? এরপর ভাবি পূর্বের লোকটাতো বসে আছে তার সাথে ভাড়া নিয়ে আলোচনা করব এতো কম টাকায় কেন আসবে?তারপর সেই অটোতে আসি।এসেই দেখি আমার ছোট সময়ের একজন শিক্ষিকা। উনাকে দেখে খুব খুশি হই এবং আমার অটোতে আসতে বলি।এরপর দেখি আমার আব্বাও আসে এরপর আমি ম্যাম আর আব্বা আসতেছিলাম অটোতে।

এরপর দেখি কোনো এক বৃদ্ধা লোক আমার মাথায় হাত দিয়ে অনেক্ষণ ধরে অনেক দুয়া করতেছেন।আমি খুব প্রশান্তি ফিল করি।বৃদ্ধা লোকটির অবয়ব মনে নেই তবে মনে হলো আমার দাদাভাই ছিলেন।ঘুম ভাঙার পরে খুব প্রাশান্তি ফিল করতে ছিলাম।

[বি.দ্র. আমি সাঁতার পারি তবে ২-৩ টা পদ্ধতিতে পারি তার খুব বেশি পারদর্শী না।সাতার শিখি ক্লাস ৫ এ এবং ক্লাস ৭ এর সময় ছোট পুকুরের একপাড় থেকে অন্যপাড় যেতে পারতাম তাও কষ্ট হয়ে যেত।এরপর ২০১৪ সালের পর আর সাতার কাটা হয়নি সেভাবে (পুকুরেই নামা হয়নি )।

আমার দাদাকে আমি কখনও দেখিনি।আমি পৃথিবীতে আসারা আগেই দাদা পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।]

উক্ত স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী হবে উস্তায?

1 Answer

0 votes
ago by (565,350 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পুকুরে সাঁতার কাটার স্বপ্নের ব্যখ্যা হলো,আপনি সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

স্বপ্নের পরবর্তী অংশ গুলো আপনার মনের কল্পনা প্রসূত বলেই মনে হচ্ছে। 

সুতরাং চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...