আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
এক লোকের (ভার্সিটির শিক্ষক ছিল আমাদের) উপর রাগান্বিত হয়ে রাগের মাথায় আমার বান্ধবীকে মেসেজে বলেছি ,লোকটার বাচ্চা মারা যাক/লোকটার বাচ্চা মারা যাওয়া উচিৎ । এটা আমি মন থেকে চাইনাই,পরেই মাফ চাইসি আল্লাহর কাছে।এখন কী আমার উপর এটা ঘুরে আসবে?

ওই স্যারের স্ত্রী তখন প্রেগন্যান্ট ছিল তাই এটাই মাথায় আসছে আমার। আমি আসলে এটা চাইনা।রাগে এরকম একটা মেসেজ দিয়ে দিছি।

আর হুজুর, হাদিসে যে এসেছে, অভিশাপ ঘুরে আসবে।- এ ব্যাপআরে একটু আলোকপাত করবেন কী? আবার অন্য হাদিসে এসেছে এমন কোন অভিশাপ নেই যা কোন না কোন সময় সত্য হয়না অর্থাৎ সত্যি হবেই বা ফলবেই।এগুলা পড়ে আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।একজন আমাকে বলেছে হাদিস নিজে নিজে না বুঝতে? এটা কী সত্যি হুজুর?
এটা কাটনোর উপায় আছে? উল্লেখ্য তার কাছে মাফ চাইলে ব্যাপারটা অন্যরকম হতে পারে বা মাফ নাও করতে পারে।স্যারটা তেমন সুবিধার না।তাই আমি এখনও মাফ চাইনাই।আর কীইবা বলব? এটা বলা তো খুব লজ্জার আর উনি অন্য মানুষকে বলেও দিতে পারে

দয়া করে জানাবেন প্লিজ।
by
আস সালামু আলাইকুম হুজুর।
রাগ অবস্থা ছাড়া অন্যান্য অবস্থার অভিশাপও কী একই আমল করে অভিশাপ কাটানো যাবে?
ওই মূহুর্তে রাগে দিশেহারা ছিলাম এমন না, তবে মনে রাগ ছিল।
হয়ত চাইলে কন্ট্রোল করা যেত।

এমতাবস্থায় আপনার প্রশ্নের উত্তর মেনে চললেই ইন শা আল্লহ বিপদ আসবেনা তাইত?

জাজাকাল্লাহ খাইর

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

অভিশাপ দেওয়া সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أنَّ رَجُلًا اِسْمُه عَبْدُ اللّٰهِ يُلَقَّبُ حِمَارًا كَانَ يُضْحِكُ النَّبِىَّ ﷺ وَكَانَ النَّبِىُّ ﷺ قَدْ جَلَدَه فِى الشَّرَابِ فَأُتِىَ بِهِ يَوْمًا فَأَمَرَ بِه فَجُلِدَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ : اَللّٰهُمَّ الْعَنْهُ مَا أَكْثَرَ مَا يُؤْتٰى بِه فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ : «لَا تَلْعَنُوْهُ فَوَ اللهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّه يُحِبُّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه». رَوَاهُ البُخَارِىُّ

‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তির নাম ছিল ‘আবদুল্লাহ, কিন্তু তাকে ‘হিমার’ (গাধা) উপাধিতে ডাকা হতো। সে (অবোধের ন্যায় কথাবার্তা বলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাতো। একদিন মদ্যপায়ীর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর দণ্ড প্রয়োগ করেছিলেন। এরপর আবার একদিন তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে চাবুক মারার নির্দেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহ! তার ওপর তোমার অভিসম্পাত বর্ষিত হোক। কতবারই না তাকে এ অপরাধে আনা হলো? এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে অভিশাপ দিও না। আল্লাহর শপথ! আমি তার সম্পর্কে জানি যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালোবাসে।
 (সহীহ : বুখারী ৬৭৮০,মিশকাত ৩৬২৫)
,
আপনি যে হাদীসের কথা উল্লেখ করেছেন,সেটি হলো:-

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ رَبَاحٍ، قَالَ: سَمِعْتُ نِمْرَانَ، يَذْكُرُ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، قَالَتْ: سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا لَعَنَ شَيْئًا صَعِدَتِ اللَّعْنَةُ إِلَى السَّمَاءِ فَتُغْلَقُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ دُونَهَا، ثُمَّ تَهْبِطُ إِلَى الْأَرْضِ فَتُغْلَقُ أَبْوَابُهَا دُونَهَا، ثُمَّ تَأْخُذُ يَمِينًا وَشِمَالًا، فَإِذَا لَمْ تَجِدْ مَسَاغًا رَجَعَتْ إِلَى الَّذِي لُعِنَ، فَإِنْ كَانَ لِذَلِكَ أَهْلًا وَإِلَّا رَجَعَتْ إِلَى قَائِلِهَا

আবূ দারদা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোনো বান্দা কোনো বস্তুকে অভিশাপ দেয় তখন ঐ অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপ আকাশে উঠার পথকে বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন তা পুনরায় দুনিয়ায় প্রত্যার্বতনের জন্য রওয়ানা হয়, কিন্তু দুনিয়াতে আসার পথও বন্ধ করে দেয়ায় সে ডানে বামে যাওযার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোনো পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ করা হয়েছে তার নিকট ফিরে আসে। তখন সেই বস্তু যদি ঐ অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার উপর ঐ অভিশাপ পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর উপরই তা পতিত হয়।
(আবু দাউদ ৪৯০৫,সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১২৬৯, সহীহুল জামি‘ ১৬৭২, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৭৯২, শু‘আবুল ঈ‘মান ৫১৬২।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কাউকে অভিশাপ দিলে তার গুনাহ মাফের দোয়া চাইতে হবে,অভিশাপের বিপরিত তার জন্য ভালো কিছু আল্লাহর কাছে চাইতে হবে,এবং তওবা ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।
তাহলে ইনশাআল্লাহ ক্ষতি হবেনা।

সুতরাং আপনিও উপরোক্ত আমল গুলি করবেন,সেক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ আর কোনো ক্ষতি হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...