ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
https://ifatwa.info/3536/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান হলো ছাত্রী যদি বালেগাহ হয়,এবং সে কোনে মহিলা শিক্ষক খুজে না পায়,এবং ফেতনার কোনো আশংকা না থাকে তাহলে তখন ছাত্রীর জন্য পূর্ণ হিজাব পরিধান,এবং ঐ ছাত্রীর মাহরাম কোনো পুরুষ বা ঘরের কোনো বালিগ মহিলা, পাশে থাকার শর্তে গায়রে মাহরাম পুরুষের কাছে কুরআন বা অন্য কোনো শিক্ষা অর্জন করা জায়েজ আছে।
হযরত ইবনে আব্বাস রাযিঃ থেকে বর্ণিত,তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ : " لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ ، وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ، فَقَامَ : رَجُلٌ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا ، وَخَرَجَتِ امْرَأَتِي حَاجَّةً ، قَالَ : اذْهَبْ فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ " . الكتب » صحيح البخاري » كِتَاب الْجِهَادِ وَالسِّيَرِ » بَاب مَنِ اكْتُتِبَ فِي جَيْشٍ فَخَرَجَتِ امْرَأَتُهُ
অনুবাদ- আজনবী পুরুষ-মহিলার মাহরাম ব্যতীত পরস্পর খালওয়াত তথা নির্জনে সাক্ষাৎ করবে না।এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল।অমুক জিহাদে আমার আমার নাম লিখা হয়েছে,অন্যদিকে আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে চাচ্ছে।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্বে যাও। বুখারী-২৮০০ খালওয়াহ শব্দের ব্যখ্যা
الْخَلْوَةُ فِي اللُّغَةِ: مِنْ خَلاَ الْمَكَانُ وَالشَّيْءُ يَخْلُو خُلُوًّا وَخَلاَءً، وَأَخْلَى الْمَكَانُ: إِذَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ أَحَدٌ وَلاَ شَيْءَ فِيهِ، وَخَلاَ الرَّجُل وَأَخْلَى وَقَعَ فِي مَكَان خَالٍ لاَ يُزَاحَمُ فِيهِ
ভাবার্থ যখন কোনো স্থানে উক্ত আজনবী পুরুষ ও মহিলা ব্যতীত অন্য কেউ থাকবে না বা অন্য কোনো এমন জিনিষ থাকবে না যা সহবাসকে বাধা দিতে পারে।তথা এমন খালি স্থান যেখানে লোকসমাগম বলতে নেই। (আল মাওসুআতুল ফেকহীয়্যায়;১৯/২৬৫)
পুরুষ শিক্ষক তিনি ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াবেন।ছাত্রীদেরকে নারী শিক্ষকই প্রাইভেট পড়াবেন।যদি কোথাও পুরুষ শিক্ষক, ছেলে শিক্ষার্থীকে না পান,এবং মেয়ে শিক্ষার্থীরা, নারী শিক্ষিকা-কে না পায়।
এমন পরিস্থিতে শিক্ষার স্বার্থে কয়েকটি শর্তে বিপরিত লিঙ্গের কাউকে পড়ানোর ব্যাপারটা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।
(১) ফিতনার আশংকা থাকতে পারবে না।যখনই শয়তান মনের মমধ্যে কিছু আনয়ন করবে,সাথে সাথেই তখন পড়ানোকে বাদ দিতে হবে।
(২) যতক্ষণ পড়াবেন ততক্ষণ মেয়ে শিক্ষার্থীর একজন মাহরাম পুরুষ সেখানে উপস্থিত থাকবেন বা এক সাথে কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে পড়াবেন।
(৩) মেয়ে শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ হেজাব পড়ে ক্লাস নিবেন।
(৪) মেয়ে শিক্ষার্থীর সাথে নরম ভাষায় কথা বলা যাবে না।
(৫) এছাড়া ফিতনামুক্ত পরিবেশ গড়ার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/4193
ছাত্রী পড়ানো সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1542
প্রশ্নকারী সম্মানিত দ্বীনি ভাই / বোন!
প্রথমত পরামর্শ থাকবে যে, অফলাইনে আরো ভালো ভাবে শিক্ষিকার সন্ধান করবেন। এটিই অধিক নিরাপদ যে, আপনি কোন আলেমা বা দ্বীনি বোনের নিকট কুরআন শিখবেন। যদি কোন ভাবেই তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে অনলাইনে মহিলা উস্তাযার মাধ্যমে বোনদের দ্বীন শিক্ষার অনেক নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আপনি খোঁজ খবর নিয়ে যেকোন ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন।
তবে পুরোপুরি ফিতনার আশংকা না থাকলে এবং কোনো ক্রমেই মহিলার কন্ঠ শোনা না গেলে, উভয়ের ক্যামেরা বন্ধ থাকলে, মহিলার অডিও বন্ধ থাকলে কিছু ইসলামী স্কলারগন অনলাইনে পুরুষ উস্তাযের নিকট পড়ার অনুমতি প্রদান করে থাকেন।
সুতরাং পুরুষ টিচার ব্যাতিত কুরআন শিখার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে ফিতনার আশংকা না থাকলে পরিপূর্ণ পর্দা মেনে উপরে উল্লেখিত শর্ত সাপেক্ষে পড়া জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা বলবেননা।
আরো জানুন: https://ifatwa.info/105761/