আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমার এক ছেলের সাথে সম্পর্ক হয়েছিলো আমি হারাম সম্পর্কে থাকতে চাইনি তাই ছেলের সাথে সর্ম্পক বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে ছেলে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়।আমাদের বয়স কম থাকায় আমরা গোপনে বিয়ে করে নেই আমাদের ২জনের বয়সই ১৮+ ছিলো।তারপর ছেলের মা জানার পর জোরপূর্বক আমাদের তালাক করিয়ে দেন আর বলেন পারিবারিক ভাবে করেক বছর পর উনি নিজে বিয়ে করায় দিবেন।কিন্তু ছেলে ৩মাস পর বিয়ের কাগজ ঠিক করিয়ে আনে আমাকে কাগজ দেখায় আর আমিও তাকে বিশ্বাস করে নেই।তারপর কয়েক বছর পর সে অস্বীকার করে বিয়ের কাগজ নাকি ঠিক করে নাই নকল কাগজ বানিয়ে প্রতরণা করে আমার সাথে ছিলো।তার মা কে জানানো সহ সব কিছু করেছি তাকে পুনরায় বিয়ের জন্য কিন্তু তার মা ও এখন কোনো সাহায্য করছেন না বরং তার ছেলের পক্ষে কথা বলছেন।আমি ছেলেকে অনেক অনুরোধ করেছি কান্নাকাটি করেছি,তার হাত-পা পর্যন্ত ধরি তাও সে রাজি হয়না। সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং অন্য এক মেয়ের সাথে হারাম সম্পর্কে আছে।এই ছেলেকে মামলা করার কথা বলে বা জোর করে বিয়ে করা কি ঠিক হবে?

আর আমার বাসায় কিছুই জানেনা তাই আমার বিয়ের জন্য ছেলে দেখা হচ্ছে। এখন আমার করণীয় কি?আমি জানি আমি ভুল করেছি আমিও গোনাহগার আমি এজন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রতিনিয়ত মাফ চাই।আর ইসলামের পথে ফিরে এসেছি আর সব ধরনের পাপাচার থেকে দূরে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছি।

এখন যদি আমার ভবিষ্যতে অন্য কোথাও বিয়ে হলে আমার কি বিয়ের বিষয়টা কি জানানো লাগবে?আর জানানো হলে যদি বিয়ে করতে রাজি না হয় বা আমার পরিবারকে জানিয়ে দেয়?আমার পরিবার জানলে অনেক কষ্ট পাবেন আর আমার জন্য বেঁচে থাকাটাও কষ্টকর হয়ে যাবে।

আমি ভুল করেছি জানি। তবে আমি ভীষণ অনুতপ্ত।আমার ইসলাম সম্পর্কে ধারণা কম ছিলো বয়স কম ছিলো অন্ধকারে ডুবে ছিলাম। এখন অন্ধকার জগৎ থেকে বেরিয়ে এসেছি।আমি এরকম কিছু চাইনি।অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছিলাম আমার সাথে প্রতারণা হয়েছে আমি অসহায়।আমি সারাজীবন আল্লাহ কাছে মাফ চাবো আর দোয়া করবো আমার অন্ধকার অতীত যেনো আমার ভবিষ্যতের উপর প্রভাব না ফেলে।

এখন আমার কি অতীত গোপন করে বিয়ে করা উচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,350 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)

হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
আপনি যদি আপনার আগের সেই বিবাহের কথা গোপন করে নতুন বিবাহ করেন,সেক্ষেত্রে তারা দেড়িতে হলেও কোনো ভাবে বিষয়টি জেনে যাবেই।

তারা যদি বিবাহের পর বিষয়টি জানে,তাহলে খুবই মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
বিবাহের পর আবারো বিচ্ছেদের সম্ভাবনা হতে পারে।

যাহা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। 
এমনটি হলে পরবর্তীতে আপনার যে দুইবার বিবাহ হয়েছিলো,এটি আবার ৩য় বিবাহের ক্ষেত্রে পরবর্তী পাত্রদেরকে বলতে হবে। 

★আপনার আগের সেই বিবাহের কথা গোপন করে নতুন বিবাহ করলে,এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে। পাত্রকে ধোকা দেয়ার গুনাহ হবে।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য করনীয়,
আপনি পূর্বের সেই বিবাহের কথা স্পষ্ট আকারে আপনার অভিভাবককে জানাবেন।
প্রয়োজনে অন্য কাহারো মাধ্যমে জানাতে পারেন।

এরপর অভিভাবকরা চাইলে অভিভাবক এর মাধ্যমে পূর্বের সেই ছেলেকে বিবাহের জন্য প্রেশার দিবেন।

তাতে কাজ না হলে সেক্ষেত্রে আইনি সহায়তা নিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...