বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বীমা নাজায়েয ও হারাম।কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1204
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাধারণত সকল প্রকার বীমা-ই নাজায়েয ও হারাম। শুধুমাত্র সরকারি বাধ্যতা মূলক বীমার রুখসত রয়েছে। কিন্তু যদি কোনো বীমায় নিজেকে টাকা দিতে না হয়, টাকা দেওয়া ব্যতিত এমনি এমনি কোনো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়, তাহলে সেই সুযোগ সুবিধা গ্রহণের রুখসত বা অনুমোদন ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন। সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণের সুযোগ থাকবে। কেননা এই সুযোগ গ্রহণের বিপরীতে গ্রাহককে কোনো প্রকার টাকা দিতে হবে না।
মুফতি ওলী হাসান সাহেব, দারুল ইফতা বিন্নুরী টাউন থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় লিখেন,
سوال
میں ایک پاکستانی سعودی عرب میں مقیم ہوں ، سعودی عرب کے لیبر قوانین کے تحت ملازمین کے تمام طبی اخراجات کمپنی کو برداشت کرنے پڑتے ہیں، لیکن ملازمین کے بیوی، بچوں کے طبی اخراجات کمپنی کے ذمہ نہیں۔ ہماری کمپنی ایک نئی اسکیم رائج کر رہی ہیں جس کے تحت بیوی، بچوں کے اخراجات بھی کمپنی ہی برداشت کرے گی بشرطے کہ ملازم ایک انشورنس (بیمہ) کا فارم بھر کر اور دستخط کر کے دے۔ کمپنی بیوی، بچوں کے طبی اخراجات ادا کر دے گی اور خود انشورنس کمپنی سے یہ پیسہ وصول ہو جائے گا۔ انشورنس پریمیم یعنی انشورنس کمپنی کی فیس ہماری کمپنی خود ادا کرے گی ہمیں کوئی حصہ بھی برداشت نہ کرنا ہوگا۔ میرا جو کمپنی کے ساتھ معاہدہ ہے، اس میں کہیں یہ نہیں لکھا ہوا کہ وہ میرے بیوی، بچوں کے طبی اخراجات اٹھائے گی، لیکن سعودی عرب میں طبی اخراجات بےانتہاء مہنگے ہیں اس لیے دل چاہتا ہے کہ اس اسکیم میں شرکت کر لوں۔ آیا میرے لیے جائز ہے یا نہیں ؟
جواب
جب ملازم اس بیمہ اسکیم میں کوئی رقم ادا نہیں کرتا اور سب کچھ حکومت کرتی ہے تو اس قسم کا بیمہ جائز ہے ۔
(فتوی نمبر: 395، بتاریخ: 30 شعبان، 1400ھ)