আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম
১.তালাকের মজলিসে কোন স্বামী যদি তার স্ত্রী কে  একাধিকবার বলে তোমাকে মুক্ত করে দিলাম, আনুমানিক ২ বার তাহলে কয় তালাক পতিত হবে?  তালাকের মজলিসে কেনায়া বাক্য এরকম অনেক গুলো বলেছে এতে কয়টা তালাক হবে?

২.কোন তালাকের মজলিশে না। কেনায়া বাক্য যদি তালাকের নিয়ত নিয়ে বলে শুধু তাহলে কয় তালাক পতিত হবে?যদি কয় তালাকের নিয়ত নিয়ে বলেছে না জানে শুধু যদি তালাকের নিয়ত নিয়ে বলে তাহলে কয় তালাক পতিত হবে?
৩.কেনায়া বাক্য তালাকের নিয়তে বলে তালাক হবার পর সেই স্ত্রী কে ফেরত নিতে চাইলে করণীয় কি? আর পরবর্তীতে সেই স্ত্রী কে ফেরত নিয়ে আবার যদি তালাক দিলাম বলে তাহলে কি তালাক হবে?  অথবা আবার যদি কেনায়া বাক্য তালাকের নিয়তে বলে তাহলে আবার তালাক হবে?
৪.তালাক তো ৩ বার দিলে স্ত্রী হারাম হয়।কেনায়া  বাক্যে তালাক হয়ে গেলে কি আরও ২ বার তালাকের অধিকার স্বামীর থাকে?
৫.তালাকের মজলিসে স্ত্রী কোন কেনায়া বাক্য বললে কি তালাক হয়?

৬.তালাকের মজলিসে যদি কেনায়া বাক্য বলার কারনে তালাক হয় তাহলে সেটার পর সেই স্ত্রী কে নিতে করণীয় কি? আর নেবার পর স্বামীর হাতে আর কয়টা তালাকের অধিকার বিদ্যমান থাকবে? এভাবে তালাক হওয়ার পর যদি কেউ তার স্ত্রী কে ফেরত নিয়ে সংসার করতে করতে আবার তালাক দিলাম বলে তাহলে কি তালাক হবে?  অথবা কেনায়া বাক্য তালাকের নিয়তে বলে তাহলে কি আাবার তালাক হবে?

৭.একবার তালাক হয়ে গেছে এমন স্ত্রী কে যদি কোন স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া  কেনায়া বাক্য বলে তাহলে কি তালাক হবে?

৮.তোমাকে বাদ দিলাম এটা কি কেনায়া বাক্য?

৯.কেউ যদি ছেড়ে দিলাম বলে তালাক দেয়।তাহলে কয় তালাক আর স্বামির হাতে থাকবে?

আমি একজন আলেম পড়ুয়া স্টুডেন্ট। আমার কাছে অনেকেই এই প্রশ্ন গুলো করে আমি ফতুয়া দেওয়ার যোগ্য নয় তাই ওস্তাদ কে জিগ্যেস করে এখানে প্রশ্ন করেছি। ইনশাআল্লাহ সব গুলো উত্তর পাব সুন্দর সাবলীল সহজভাবে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...