আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম হযরত। আমি পারিবারিক সমস্যা হতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটা অনলাইন পেজ খুলি। আমি এত ভাল কন্টেন্ট লিখতে পারতাম তখন, সবাই অবাক হতো, সবখানে আমার আর পেজের প্রশংসা করে বলতো এত ভাল কন্টেন্ট কীভাবে লেখে!
আমার পেজও মাশাআল্লাহ খুব ভাল চলছিল।

লাস্ট এই বছর মার্চে আমি পেজে একজন মডারেটর রাখি। রাখার কয়েকদিন পর থেকে আমার বিক্রির পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমে যায়। পণ্যে কোনো সমস্যা নেই, বরং আগের চেয়েও ভাল পণ্য। তারপরেও এমন হচ্ছে।

পেজের রিচ পড়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমি আর কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট লিখতে পারছি না। আমি লিখতে গেলে আমার মাথা ব্ল্যাংক হয়ে যায়।
আমার বিক্রির পরিমাণ কমে গিয়েছে। আমাদের বাবা মা, শশুর শাশুড়ির চিকিৎসা বাবদ সব খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা হয় প্রতি মাসে। এভাবে সেল পড়ে গেলে আমরা কিছুতেই  কুলিয়ে উঠতে পারছিনা।

আমরা কী করতে পারি? আমি কী করতে পারি? কীভাবে বুঝব নজরের শিকার হয়েছি কিনা? কিভাবে এসব হতে উদ্ধার পাব?
এই পেজটাই আমাদের সবার একমাত্র সম্বল। বিক্রি না হলে আমাদের ভাত জোটা বন্ধ হয়ে যাবে।

আমরা একদম মিনিমাল জীবন যাপন করি। একটু ভাল খাবারও খাইনা। প্লিজ আমাকে পরামর্শ দিন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সূরা ওয়াকেয়া সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯)

সূরা ওয়াক্বেয়ার ফযিলত সম্পন্ন হাদীস সহীহ না যঈফ? এ সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের নিকট মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
মুহাদ্দিস মুনাওয়ী রাহ বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﻨﺎﻭﻱ ﻓﻲ ﻓﻴﺾ ﺍﻟﻘﺪﻳﺮ:
ﻣﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪﺍً . ﻭﻫﻮ ﺣﺪﻳﺚ ﺿﻌﻴﻒ، 
ইমাম বায়হাক্বী যে হাদীস ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণনা করেছেন,সেটা যঈফ।(ফয়যুল ক্বাদির)

সৌদিআরবের 'হাই'আতু কিবারিল উলামা' এর সদস্য সালেহ বিন ফাওযান লিখেন........
সূরা ওয়াক্বেয়া এর ফযিলত সম্পর্কে বিশুদ্ধ হাদীস রয়েছে,এ বিষয়ে তাফসিরে ইবনে ক্বাসির দেখতে পারেন,(তাফসিরে ইবনে কাসির-৪/৩৮৩)
ইবনে আসাকির হযরত ইবনে আব্বাস রাযি এর সূত্রে সহীহ সনদে বর্ণনা করেন যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,সূরায়ে ওয়াক্বেয়া হল ধনরত্নের সূরা।সুতরাং তোমরা তা পাঠ করো এবং তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দাও।
(ফাতহুল কাদ্বীর-৫/১৪৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/459


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনারা সবাই সূরায়ে ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবেন। পরিবারের ইনকামে বারাকাহ হওয়ার জন্য দু'আ করবেন। আল্লাহ আপনার ব্যবসায় বারাকাহ দান করুক।আমীন।

এছাড়াও আপনাকে কিছু আমল করার পরামর্শ দিচ্ছি, আপনি ওগুলো করবেন, ইনশা'আল্লাহ কোনো সমস্যা হবে না। 
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- http://ifatwa.info/1093

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...