জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
বর্তমান আমাদের সমাজে প্রচলিত কোনো মাহফিল বা তালিম শেষে যে তাবারক দেয়া হয়,এটি মহানবী সাঃ এর যামানায় ছিলোনা।
যেহেতু ছিলইনা,তাই রাসুল সাঃ এর তা খাওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠেনা।
,
এই জন্যই তো যদি কেহ কোনো মাহফিল বা তালিম শেষে তাবারকে জরুরি মনে করে,তাহলে এটি বিদআত হবে।
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ
‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’
আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
.
দ্বীনি প্রোগ্রামে দূর দুরান্ত থেকে যেহেতু অনেকেই আসে,তাদের জন্য খাবারের আয়োজন করা জায়েজ আছে।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 153300 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।