আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (22 points)
১।একদিন ঝামেলা করার সময় আমি তাকে বলছি যে,এই ঝামেলার কারন আমি আমার আম্মার কাছে বলবো এবং ফোন হাতে নিছি কল দিয়ে বলার জন্য। তখন স্বামী বলেন,যদি তুমি তোমার আম্মারে কও তাহলে তুমি তালাক হয়ে যাবে। তখন আমি কথাটা আর আম্মাকে বলি নাই।কিন্তু পরবর্তীতে অনেকদিন পর ঝামেলার কথাটা আমার আম্মাকে আংশিক বলছি।(তার মতে সে শর্তটা দিছে যাতে আমি ভয় পেয়ে কথাটা না বলি,ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলেনি।

২।আরেকদিন রাগারাগির সময় আমি তাকে বলছি তাহলে আমাকে ছেড়ে দাও,সঙ্গে সঙ্গে সে বলেছে "যাও তোমাকে ছেড়ে দিলাম"

৩।লাস্ট ৪/৫দিন আগে সে আমাকে বলে, তোমাকে আমি আগেও ২ বার বলছি(উপরের ২ টার কথা বলছে)এখন আবার বলতাছি,আমি তোমাকে রাখবো না,তোমার সাথে আমার কোন সাংসারিক কাহিনি নাই।
আমাদের কি পুরোপুরি তালাক হয়ে গেছে?
প্রশ্নকারী
এক বোন।

1 Answer

0 votes
by (564,690 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর এমনিতেই বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

আরো জানুনঃ- 

স্ত্রীকে "ছেড়ে দিলাম" বলার বিধান জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

(০১)
আপনি ঝামেলার আপনাকে আম্মাকে বলে থাকেন,সেক্ষেত্রে এক তালাক পতিত হবে। 
অন্যথ্যায় তালাক পতিত হবেনা। 

(০২)
এক্ষেত্রে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে। 

(০৩)
উক্ত বাক্য বলার স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক হবে,অন্যথায় তালাক হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক নং ছুরতে আপনি সেই ঝামেলার কথা আপনার আম্মাকে বললে আর তিন নং  ছুরতে আপনার স্বামী তালাকের নিয়তে উক্ত বাক্য বলে থাকলে আপনাত উপর তিন তালাক পতিত হয়েছে। 

শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত ঘর সংসার করার কোনো সুযোগ নেই।

আর যদি ১ আর ৩ নং ছুরতে তালাক না হয়,সেক্ষেত্রে দুই নং ছুরত অনুপাতে আপনার উপর এক তালাকে রজয়ী পতিত হয়েছে। 
এক্ষেত্রে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার আগেই ঘর সংসার করতে চাইলে স্বামী যদি বলে যে "ফিরিয়ে নিলাম" তাহলেই হবে।
অথবা আপনার সাথে স্বামী সুলভ দৈহিক কোনো আচরণ করলেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...